নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২১
বাংলাদেশ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের দৃশ্যমান হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ এবং সরকারবিরোধী কুৎসিত প্রচারণা আরও বৃদ্ধি হয়েছে। বিরোধী দল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আগামী ২৬ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও উদ্বিগ্ন নন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্ত ষড়যন্ত্র এবং অপচেষ্টাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি মনে করছেন যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।
কি কারণে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন একাধিক কারণে শেখ হাসিনা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন নন, বরং আরো আশাবাদী। কারণ তিনি একজন প্রাজ্ঞ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি জানেন যে, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো কিছু ঘটেনি। যে সমস্ত কারণে তিনি উদ্বিগ্ন নন তার মধ্যে রয়েছে:
১. জনগণের আস্থা: শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি আস্থাশীল। তিনি মনে করেন যে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। এখন জনগণ কর্মমুখর, তারা কাজ করতে চায়, তারা তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতি করতে চায়, তারা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে একধাপ উপরে নিয়ে যেতে চায়। এইরকম একটি উন্নয়নমুখী জনস্রোত কখনো সরকারবিরোধী আন্দোলন বা সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না। জনগণ যদি এই সব ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় তাহলে কখনোই তা সফল হবে না। এজন্য শেখ হাসিনা আশাবাদী, উদ্বিগ্ন নন।
২. অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান: করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অত্যন্ত ভাল অবস্থায় আছে এটা সারাবিশ্ব বলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সহ বিভিন্ন অর্থনীতির সূচকগুলো অত্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী এবং ইতিবাচক। অর্থনীতি যখন ভালো অবস্থায় থাকে, তখন একটি সরকারকে বেকায়দায় ফেলা অত্যন্ত দুষ্কর হয়। আর এই অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন নন।
৩. খাদ্য উৎপাদন: বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ভালো করেছে। বিশেষ করে করানোর সংকটের সময়েও বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করে। খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য প্রবাহ যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে সাধারণ জনগণকে উত্তেজিত করা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আত্মবিশ্বাসী শেখ হাসিনা।
৪. দুর্বল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ: একটি সরকারবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন লাগে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। দুর্বল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন নন।
৫. আন্তর্জাতিক সমর্থন: বাংলাদেশ গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হিসাবে বিশ্বের সামনে উদ্ভাসিত হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায়, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ইস্যুতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে শেখ হাসিনার পক্ষে, এটি শেখ হাসিনা ভালো মতই জানেন।
আর এ সমস্ত কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে বিভিন্ন রকম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে তা স্পর্শ করেনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বরং তিনি মনে করছেন যে, আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের পথেই আছে এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।