নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সময়ের পার্থক্য ছয় ঘণ্টা। বিএনপির তরুণ এক নেতা দিক নির্দেশনার জন্য ফোন করলেন তারেক জিয়াকে। লন্ডনে বাজে সকাল আটটা। অপরপ্রান্ত থেকে এলো ভয়েস মেইল বক্সের আওয়াজ। নেতা ভাবলেন ভাইয়া বোধহয় এখনো ঘুমিয়ে। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা লন্ডন সময় সকাল ১০টা। এবারও ভয়েস মেইল বক্স। নেতা এবার মেইল বক্সে বললেন ‘ভাইয়া আমরা এতিমের মতো অবস্থায় আছি। একটা কিছু ডিরেকশন দেন। এভাবে দুই দিন ১০ বার ফোন করলেন নেতা, ৬ বার ভয়েস মেইল বক্সে জানালেন নানা আকুতি। দুই দিন পর, তার ফোনে ফোন এলো ভাইয়ার ‘কী হয়েছে বার বার ফোন করছ কেন?’ ‘ভাইয়া কিছুইতো হচ্ছে না, আমরা কী করব?’ নেতার আর্তনাদ। অপরপ্রান্ত থেকে নিস্পৃহ কণ্ঠে ‘ চেষ্টা চলছে। অপেক্ষা করো।’ নেতা বললেন ‘অপেক্ষাতো করছি দশ বছর। আরতো পারছিনা।’ ভাইয়া এবার উত্তেজিত হলেন একটু ধমক দিয়ে বললেন ‘না পারলে, আওয়ামী লীগে যোগ দাও।’ নেতাও নাছোড়বান্দা। জানালেন ‘সেই পথওতো এখন বন্ধ। বিএনপি থেকে যাব কেন, এত কষ্ট করলাম। ভাইয়া আমি বলছিলাম কিছু কর্মসূচি টর্মসূচি যদি দেন। কর্মীরা প্রোগ্রাম চায়।’ ভাইয়া এবার আরও একটু উত্তেজনার মিটার বাড়ালেন। বললেন ‘কর্মসূচি দিলেতো আন্ডা পারো। কাউকেতো মাঠে পাওয়া যায় না। এখন রোহিঙ্গা নিয়ে কিছু কর। নেতা বললেন ‘এখন কর্মসূচি দেন, ইস্যু দেন। দেখেন ফাটায় দেব। আর রোহিঙ্গা। আমাদের অবস্থাতো রোহিঙ্গার চেয়েও খারাপ। বিএনপিইতো এখন রোহিঙ্গা।’ তারেক বলল, ‘ঠিক আছে বসে বসে বাদাম চিবাও। আমি এখন একটু জিমে যাব। কিছু হলে তোমাদের জানিয়ে দেব, কী করতে হবে। একটা কিছু হবে।’
নেতা তরুণ, একসময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ছাত্রদল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর এলাকা থেকে একবার আর ঢাকা থেকে একবার নির্বাচন করে, দুবারই হেরেছেন। এখন ১৫৩টি মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। হঠাৎই তার বিশ্ববিদ্যালয়ের তারুণ্য টগবগিয়ে উঠল বললেন, ‘ভাইয়া একটা কথা বলি।’ ওপার থেকে ‘বলো’। ‘আপনিতো ভালোই আছেন জিম করছেন খাচ্ছেন দাচ্ছেন। আর আমাদের গালি দিচ্ছেন। একটা কাজ করেন, ‘আপনি দেশে এসে একটু ফাটায় দেন না, না হলে আমাদের লন্ডনে নিয়ে যান। ওখান থেকে লেকচার দেওয়া সহজ। দেশে আইস্যা দেখান আপনি কেমন ব্যাটা। আর আমরা বাদাম খাব, আপনি খাবেন শ্যাম্পেন?’ এরপর তারেক ফোন কেটে দিলো। এটা আরও এক সপ্তাহ আগের কথা। এরপর বিএনপির প্রধান দুই নেতা বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের। নেতারাও রোহিঙ্গাদের মতো অপেক্ষায় আছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান,নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা জরিমানার আওতায় আনা হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
অভিযানকালে খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার,স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল,আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড প্রয়োগের পাশাপাশি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী এনইসি সম্মেলন
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) গৃহীত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে পরিচালিত অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আমিরাবাদ হাউজিং ও পলিটেকনিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকগণকে ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিজের নামে প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর যাতে প্রকল্প না নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।