নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০২১
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তাকে নিয়ে চিন্তিত বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা। তারা খালেদা জিয়াকে উচ্চ ঝুঁকিতে দেখছেন তার উচ্চ রক্তচাপ এবং আর্থাইটিস থাকার কারণে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বেগম জিয়াকে কোথায় নিয়ে চিকিৎসা করা হবে সে বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতাকে জানানো হয়নি তাদের রাখা হয়েছে অন্ধকারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও জিয়া পরিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে রাজনীতি জড়াতে চাইছেন না।
বেগ খালেদা জিয়াকে কোথায় নিয়ে চিকিৎসা করা হবে এ বিষয়ে জিয়া পরিবার এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা আলোচনা করছেন। সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে ইতিমধ্যে লন্ডনের অবস্থানরত তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে জিয়া পরিবারের একজন সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের যে কয়জন নেতা করোনা থেকে সুস্থ আছেন তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না, আমাদেরকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। এমনিতেই দলের যে অবস্থা তার ওপর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা করোনায় আক্রান্ত এই পরিস্থিতিতে আমরা যারা সুস্থ আছি তারা যদি দলের চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার বিষয়ে পাশে থাকতে না পারি এ থেকে দুঃখ্যের কিছু হতে পারে না।
উল্লেখ্য, আজ রোববার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আজ তার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রিপোর্টে খালেদা জিয়ার বাসার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে গুলশান-২। আইসিডিডিআরবির ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে খালেদার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।