নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতি ইলিয়াস হামিদিসহ সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে শান্তিপূর্ণ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। আর এই আন্দোলনের হুমকি নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন হেফাজতে ইসলাম নয়, জুনায়েদ বাবুনগরী নিজে বাঁচতেই হেফাজতকে এখন বলির পাঠা বানানোর পায়তারা করছেন।
হেফাজতের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে এখন করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি আর এ কারণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলাম একটি সংগঠন হিসেবে আন্দোলন কিংবা জনসমাগম করে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করাটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেবে না। এ ছাড়া এই লকডাউনের মধ্যে যদি আন্দোলন-সমাবেশ করা হয় তাহলে সেখান থেকে বহু মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারেন যার জন্য হেফাজতকে দায়ি করা হবে। সুরতরাং এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কথা বলাটা এক ধরনের বোকামি এবং বাবুনগরী নিজেকে গ্রেফতার থেকে বাচাঁনোর জন্য নেতাকর্মীদের করোনা মধ্যে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন।
একটি সূত্র বলছে, হেফাজত নেতাদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি এবং তাণ্ডব চালানোর রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা চালু করা হয়েছে এবং হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফির মৃত্যুর রহস্য নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। ফলে হেফাজত নেতাদের সামনে যে খড়গ অপেক্ষা করছে সেটা তারা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। আর এ কারণে বাবুনগরী এখন নিজেকে নিরাপদ রাখাতে যেকোনো কিছু করার জন্য প্রস্তুত বলেও জানায় সূত্রটি। আর নিজেকে নিরাপদ রাখতে নতুন মিশন হাতে নিয়েছেন দলটির আমির। যেকোনো মূল্যে নিজে বাঁচতে হবে এতে হেফাজতের কি হবে সেদিকে নজর নেই বাবুনগরীর।
হেফাজতের অনুসারি বেশকিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা সবার জন্য সমান। কাজেই সরকার যেহেতু লকডাউন দিয়েছে তাই হুজুররা এবার আন্দোলনে যেতে বললেও আমরা যাবো না। কারণ একবার করোনা আক্রান্ত হলে আমাদের চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থা হবে না। এ ছাড়া এখন যদি আন্দোলনের জন্য ডাক দেন তাহলে আমাদের পরিবারও এতে সম্মতি দেবেন না। সুতরাং হেফাজতের নেতাদের হেফাজত করতে গিয়ে আমরা কেন ঝামেলায় জরাবো এমনটাও বলছেন মাদ্রাসার ছাত্ররা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হেফাজতের আমির বাবুনগরী এখন প্রচুর পরিমাণে আতঙ্ক এবং চাপে আছেন। আর এ কারণে নিজেকে চাপমুক্ত রেখে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি নিজেই গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন তাই নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিতেও এই হুমকি দিতে পারেন। তবে দেশে যেহেতু কঠোর লকডাউন চলছে তার মধ্যে যদি হেফাজত মাঠে নামার চেষ্টা করে তাহলে সরকার এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করবে এবং দেশের মানুষ হেফাজতকেই দোষি ভাববে এই পরিস্থিতির জন্য। কাজেই বাবুনগরী যা বলছেন তা হুমকি হতে পারে তবে বাস্তবায়ন করতে যাওয়াটা হবে বোকামি। এই পরিস্থিতিতে বাবুনগরী নিজেকে কীভাবে নিরপদ রাখবেন সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন