ইনসাইড বাংলাদেশ

কোন দিকে যাচ্ছে দেশে করোনায় মৃত্যু?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশে চলছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই দ্বিতীয় ঢেউ যেনাে ভালোভাবেই লেগেছে দেশের মানুষের ওপর। গত কয়েক দিন ধরে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন নিত্যনতুন রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। যেখানে এক সময় ২০ থেকে ৩০ জন মারা গেলেই ভয় কাতর হয়ে পড়তো মানুষ সেখানে গতকাল করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। আজও ১০১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে সব থেকে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড রয়েই গেলো। আর এই রেকর্ডই যে শেষ সর্বোচ্চ রেকর্ড তাও বলা যাচ্ছে না। ফলে মৃত্যুর হারের দিক থেকে ভয় জাগাচ্ছে করোনা।

দেশে করোনায় মৃত্যু গত কয়েকদিন ধরেই উর্ধ্বগতি ছিলো এবং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিলো। কিন্তু গতকালের ১০১ জন এবং আজকের ১০১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনার সংক্রমণ যে কতটা ভয়াবহ হয়েছে তা বোঝা গেলো। এর আগে বাংলাদেশে কোনদিন করোনায় একদিনে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এরই মধ্যে দেশে করোনায় সর্বমোট মৃত্যু বরণ করেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। আজ পর্যন্ত করোনায় ১০ হাজার ২৮৩ জন মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপরও এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি। এতো মৃত্যু দেখে নি দেশ। কিন্তু এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা কেড়ে নিচ্ছে অনেকের প্রাণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে মার্চে মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৭১ জন মানুষ মারা গেছে। কিন্তু পরবর্তী এক মাসে, অর্থাৎ মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত এক হাজার চারশ বিয়াল্লিশ জন মানুষ মারা গেছেন। অর্থাৎ পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে পাঁচ গুন বেশি।

দ্রুত মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ চিকিৎসার অভাবে, নাকি নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনার এবারের ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ফুসফুস ড্যামেজ করে দিচ্ছে। অসুস্থতা বুঝে ওঠার আগেই রোগীকে নিতে হচ্ছে আইসিইউতে কিংবা লাইফ সাপোর্টে। সেখান থেকে আর রোগী জীবিত ফিরছে না। 

মৃত্যু বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনায় মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ চিন্তা-ভাবনা করে বলতে হবে। কেউ বলছেন, অক্সিজেনের অভাব, কেউ বলছেন চিকিৎসার অভাব। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ কিনা সেটিও দেখার আছে। তবে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, চিকিৎসার অভাব, আইসিইউ শয্যার সংকট ও অক্সিজেনের অভাবে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। দেশের ৩৬ জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনার সুচিকিৎসা করা যাচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা অনেক সময় পেয়েছি। কিন্তু চিকিৎসাসেবার সক্ষমতা বাড়াতে পারিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যে সব রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগেরই আইসিইউ বেডের প্রয়োজন হচ্ছে। আগে প্রতি ১০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে সর্বোচ্চ একজনের আইসিইউ প্রয়োজন হত। এখন প্রয়োজন হয় তিন জনের। আর সংক্রমিত বড় একটি অংশের অক্সিজেনের মাত্রা শুরুতেই ৭০-৮০ ভাগে নেমে যাচ্ছে। ফলে তাদের আইসিইউ এর প্রয়োজন হচ্ছে। এবার সিরিয়াস রোগীর সংখ্যা বেশি। আর রোগীও প্রতিদিনই বাড়ছে। আইসিইউ সাপোর্ট আগের চেয়ে বেশি লাগছে। কিন্তু  আইসিইউ বেড তো বাড়েনি। ফলে চাহিদা অনুযায়ী আইসিইউ বেড দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করে। গত বছরে এত মৃত্যুর সংখ্যা দেখেনি দেশ। কিন্তু এবার সব রেকর্ড ভেঙে প্রতিদিনই রেকর্ড করছে করোনায় মৃত্যু। ফলে প্রশ্ন জাগছে কোন দিকে যাচ্ছে দেশে করোনায় মৃত্যু?



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময় কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

কালশীপুলিশ বক্সে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনবিআরের চেয়ারম্যান কী ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থা  রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আগামী ১লা জুলাই থেকে এনবিআর বা জাতীয় রাজস্ব উন্নয়ন বোর্ড মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাতে চায়। অন্যদিকে এতে সায় নেই মেট্রোরেল কৃর্তপক্ষের। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় যে, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলে ভ্যাট মওকুফের সুবিধা ৩০ জুন পর্যন্ত রয়েছে। এসময় সীমা বৃদ্ধির জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এনবিআরের কাছে আবেদন করেছিল কিন্তু এনবিআর তা নাকচ করে দিয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট আরোপ নিয়ে এনবিআর ও মেট্রোরেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তখন সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে মেট্রোরেলে কর্তৃপক্ষ টিকিটের ওপর ভ্যাট না বসানোর যুক্তি দেখিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে চিঠি দেয়। বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পর্যন্ত গড়ায় এবং মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

কেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো যৌক্তিক হবে সেটির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর ব্যাপারে এনবিআরের তৎপরতা থেমে থাকেনি। টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে সংস্থা বেশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি আপাতত সরকারের নীতি নিধারণী নেই বলে যখন ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তখন এনবিআরের তৎপরতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠলেন কিনা? একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি কীভাবে সরকারের একজন নীতি নির্ধারকের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন বা সরকারের অবস্থান পরিষষ্কার করার পরও কেন এনবিআর চেয়ারম্যান বিষয়টি এখনও সুরাহা করলেন না সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত আওয়ামী লীগ ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করছে। কতগুলো সুনির্দিষ্ট ইশতেহার নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকারের শীর্ষ ক্ষমতাবান ব্যক্তি ধরা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যতম নীতি নির্ধারক বটে। তিনি যখন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই এবং এটি উচিত নয় তখন এনবিআরের তৎপরতা সবাইকে বিস্মিত করেছে। কোন কোন মহল এনবিআরের এই তৎপরতাকে স্বেচ্ছাচারী বলেও অভিহিত করেছেন। আবার কোন কোন মহল ওবায়দুল কাদের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পরও এনবিআরের এই তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

প্রশ্ন উঠেছে, মেট্রোরেল ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগেই এর ওপর ভ্যাট বসানো কতটুকু যৌক্তিক? এনিয়ে সাধারণ মানুষ মধ্যে তীব্র নেতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্তটি এনবিআরের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় সরকারের অবস্থান জানা পরও এনবিআর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিনা। 

এনবিআর চেয়ারম্যান   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি আনার

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য চলতি মাসে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।  সেখানে গিয়ে তিনি গত ৩ দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।

সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, গত দুদিন ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব উপায়ে চেষ্টা করছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু বলেন, বিষয়টি তার পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

চিকিৎসা   ঝিনাইদহ-৪   আনোয়ারুল আজিম আনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী: টিআইবি

প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক . মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাশীল দলের। অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয় স্বজন। প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষের অধিক্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য একই রকম। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। 

রোববার (১৯ মে) ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে পেশা হিসাবে ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে। পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০.৫১ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী।

যেখানে প্রথম ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

দ্বিতীয় দাপে ১৬০টি উপজেলার মধ্যে ১৫৭টির প্রার্থীর হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি তিনটি করেনি। প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   চেয়ারম্যান   টিআইবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চার বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরলেন মেয়র তাপস

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিগত দিনের উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার (১৯ মে) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। করোনার মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সব খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান- কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন হতেই কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি দুর্নীতির দায়ে বিগত বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনের আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এসময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যাবধি অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারব বলে আশাবাদী।’

আগে সব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর্পোরেশনকে প্রকল্প নির্ভর থাকতে হতো। কিন্তু রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঢাকাবাসীর কল্যাণে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে এখন আর প্রকল্প নির্ভর থাকতে হয় না। বিগত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে হাজার ২০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নানাবিধ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০-২১ সালে ১২১.৮৫ কোটি, ২০২১-২২ সালে ৩৩৯.৪৪ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৩৯০.১৬ কোটি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, খাল- নর্দমা-বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, সড়ক, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, গণশৌচাগার ইত্যাদি অনেক উদ্যোগ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ এক শতাব্দী পর নলগোলা ভাওয়াল রাজবাড়ি (রাজকুঠি), ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, তিন দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, চার দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি হতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছি। ফলে, বিগত চার বছরে শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৫৭.৭২৪ একর ভূমি উদ্ধার করেছি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য হাজার শত ৮৩ কোটি টাকার বেশি।’

এই চার বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, যে সংস্থা একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতো সে সংস্থা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।


মেয়র তাপস   চার বছর   উন্নয়ন কার্যক্রম   ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন