নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
‘মুন্নি বদনাম হুয়ি ডার্লিং তেরে লিয়ে’ লিরিকের ভারতের হিন্দি ছবির একটি খুব জনপ্রিয় আইটেম গান ব্রিটেনের স্কুলে পড়ানো হবে। ইংল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশনের নতুন সঙ্গীত পাঠ্যক্রমে যুক্ত করে এই গানের সম্পর্কেই এবার পড়াশোনা করবেন ইংল্যান্ডের পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি আরও একাধিক গান ইংল্যান্ডের মিউজিক স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কিশোরী আমোনকরের ‘সহেলি রে’, অনুষ্কা শংকরের ‘ইন্ডিয়ান সামার’ এবং এ আর রহমানের অস্কারজয়ী গান ‘জয় হো’। কেন এত ভারতীয় গান রাখা হয়েছে সেদেশের স্কুলের পাঠ্যক্রমে? ভারতীয় গানের বৈচিত্র বোঝাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
এই করোনা কালে জেনে হউক আর নে জেনে হউক “সরকারের দালাল” নামে চিহ্নিত একটি টেলিভিশনের ‘মুন্নির আদলের’ একজন নিউজ কাস্টারের ভিডিও ফুটেজ ঘুরছে সরকার ও দেশ বিরোধীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে, ইন-বক্সের চ্যাটিং এ, নানা জায়গায়। এসব মুন্নিদের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, হচ্ছে চরম। অভিযোগ ৩১ কোটি ও ১৩ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা বসুন্ধরার ৩০০ ফুটের পাশে আর ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের উপরে আইসোলেশন সেন্টার উধাও হয়ে গেছে। অমনি সরকার বিরোধীরা এটা লুফে নিলো, নেবারই কথা। কিন্তু আসল সত্য কি সে ব্যাখ্যা দেবার যিনি মুল দায়িত্বে তিনি গা এড়িয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীকে মিডিয়ার সানে ঠেলে দিলেন। কিন্তু কেন? মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কে?
বাংলাদেশ সরকারের RULES OF BUSINESS 1998 (Revised up to 2012) এর Chapter I, Rule no. 4 (iv) ধারা বলে মন্ত্রী জাতীয় সংসদে তাঁর মন্ত্রণালয়য়ের কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকবেন.........। কিন্তু Rule no. 4 (v) তে বলা হয়েছে যে, একজন সচিব তাঁর মন্ত্রণায়ের প্রশাসনিক প্রধান ও একাউন্টিং চীফ। তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়য়ের অধীনস্থ সকল দপ্তরের এ সব আইন মানা হচ্ছে কি না তা সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং মন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়য়ের কাজ সম্পর্কে অবহিত করবেন। এর বাইরেও ক্ষমতার যে সব ঘাটতি, ফাঁক ফোঁকর আছে তা কভার করার জন্য RULES OF BUSINESS 1998 (Revised up to 2012) এর Chapter I, Rule no. 4 (iiv) এ দেওয়া ক্ষমতা বলে পুরা ক্ষমতা সচিবদের হাতে পোক্ত করে নেওয়া হয়েছে ‘সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪’ জারি করে। এসব না জেনে কেন মন্ত্রীরা মিডিয়ার সামনে বলির পাঠা হত যান! বদনাম হয় সরকারের, প্রধানমন্ত্রীর। এসব মন্ত্রীর আক্কেল জ্ঞান দেখে হতবাক হই আমরা অনেকেই, যারা ১৯৭১ সালের হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়ে নিরন্তর কলম নিয়ে যুদ্ধ করছি।
আজ রোববার ১৮ এপ্রিল উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। ওই হাসপাতালটিতে স্থাপন করা হয়েছে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ। এছাড়া রোগীদের জন্য রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই হাসপাতাল চালু হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের (ছয় তলা) এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষায়িত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে। ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন শতাধিক চিকিৎসক ও দুই শতাধিক নার্স। শনিবারের মধ্যে কাজে যোগ দেবেন বাকিরা। তবে হাসপাতালটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হবে বলেও সূত্রটি জানায়।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আপাতত ওই হাসপাতালে কেবলমাত্র করোনার চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে কোনও অপারেশন করা হবে না বলেও জানান তিনি।
১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিনিময়ে গত বছর একই ভবনে নির্মিত একটি হাসপাতাল এতদিন ব্যবহৃত হতো করোনা আইসোলেশন সেন্টার (বিদেশ থেকে আগতদের) এবং বিদেশ-গামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে। অনেকের মনে থাকার কথা যে, পক্ষ ত্যাগ করে পাকিস্তানি অরিজিন হওয়া বঙ্গবন্ধু প্রেমিক, বর্তমানে আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাসকারী ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে এই আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয় গত বছর জুন মাসে। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে চলবে করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশ-গামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাবের কার্যক্রমও।
অন্য দিকে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে বসুন্ধরায় নির্মাণ করা হয় ২০০০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার। গত বছর করোনা রোগীর সংখ্যা কমে গেলে এ সময় অব্যবহৃত ও আংশিক ব্যবহৃত মহাখালী, বসুন্ধরাসহ সারা দেশে তৈরি করা ১২ টি হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারের ব্যয় কমাতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকার ৫টি, চট্টগ্রামের ৬টি ও সিলেটের ১টি হাসপাতাল। কারণ হয় গত বছর এগুলোর জন্য মাসে মাসে অনর্থক বিপুল অংকের টাকা খরচ হতে থাকে। একারণে ঐ সেপ্টেম্বর মাসেই এসব হাসপাতালের সরঞ্জামাদি সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়।
উপরের এসব কথা সচিব, তাঁর ডিজি, ডাইরেক্টদের নিয়ে মিডিয়ার সামনে কেন আসেন না! লজ্জা করে, নাকি ভয় করে? এত ভয় থাকলে সচিবগিরি বাদ দেওয়াই ভালো। এট জনগণের করের টাকার ইস্যু, আমার বাবার টাকা না যে আমি কাউকে হিসাব দেবো না। নাকি তাঁরা নিজেরাও একেকটা বদনাম করানোর “মুন্নি”! তাঁদের নিয়ে যে সরকারের বদনাম হয় তা কী তাঁরা বোঝেন না, নাকি অন্য কোন উপায়ে বুঝাতে হবে!
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’।
আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা।