নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবের গাড়ি চলল উল্টো পথে। একজন সচিব গাড়িতে থাকা অবস্থায় গাড়ি কীভাবে চলবে তা অবশ্যই তিনি নির্ধারন করবেন। কিন্তু তা যদি না হয়, তার মানে গাড়ির চালকের ওপর সচিবের কোনো প্রকার নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে তো তাঁর সচিব থাকাই উচিত নয়। আর যদি সচিব নিজেই প্রশাসনের লোক হয়ে এভাবে আইন ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে কেন শুধু চালককেই অব্যাহতি দেওয়া হলো? সে ক্ষেত্রে কি সচিবও দোষী নয়?
গত রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে উল্টো পথে যাওয়ার সময় সচিব মাফরুহা সুলতানার গাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরদিন বাংলামোটরে উল্টো পথে গিয়ে আবার ধরা পড়েন মাফরুহা সুলতানার গাড়িচালক বাবুল মিয়া। উল্টো পথে গাড়ি চালানোর দায়ে গাড়িচালককে ইতিমধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে তাকে। পাশাপাশি গাড়িকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
সচিব গাড়িতে থাকা অবস্থায়, গাড়ি এবং চালককে নিয়ন্ত্রণের দায় দায়িত্ব সচিবের। কিন্তু কেন শুধু চালককে অব্যাহতি দেওয়া হলো? এ নিয়ে শুধু প্রশাসনেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্রই সমালোচনা হচ্ছে।
গত সোমবার থেকেই চালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবও সমান দোষী। তাই শুধু চালকের চাকরি নয় তাঁরও চাকরি যাওয়া উচিত নয় কি?
পর পর দুবার গাড়ি উল্টো পথে, দুবারই গাড়িতে সচিব ছিলেন। কিন্তু সচিবকে শোকজ না করে করা হয়েছে শুধু চালককে। প্রভাবশালীরা প্রশ্রয় দেয় বলেই, চালকরা এভাবে আইন ভাঙ্গার সাহস পায়। উল্টো পথে যাওয়ার জন্য কে তাঁকে উৎসাহিত করেছিল? অবশই সচিব তাঁকে মানা করেনি, অথবা হয়ত সেই তাঁকে উল্টা পথে গাড়ি চালাতে বলেছিল। আসলে কি হয়েছে তা হয়ত জানা যাবে না, কিন্তু এই ঘটনায় শুধু একা চালক দোষী নয়, দোষী গাড়িতে অবস্থানরত সচিবও বটে। তাহলে তার কি শাস্তি হবে? নাকি আইন ভঙ্গের শাস্তি কি শুধু গরীবের জন্য?
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন