নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিনে নিয়োগকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে উপাচার্য ভবনের সামনে মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ১৭০ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছেন এমন গুঞ্জন ওঠে। একে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে উপাচার্য ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও চাকরি প্রত্যাশীরা অবস্থান নেয়। বেলা সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয় ও বেধড়ক পেটাতে থাকে।
এসময় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। পরে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়। এই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিড়াবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান চঞ্চল, হবিবুর হলের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহত সবার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ দিনে ১৭০ জনকে নিয়োগ দিলেন। একে কেন্দ্র করেই এই হামলা হয়। এই ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) ।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকের পক্ষে প্রায় ২-৩ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কালিবাড়ি বাজার এলাকায় নির্বাচনী মিছিল করেন এবং মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মী সমর্থকরা সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দের (মটর সাইকেল) প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১ (২) নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাইবে না এর পরিপন্থি। উভয় প্রার্থীকে লিখিতভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জবাবে লিখিতভাবে আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) জানান, ‘আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি শোভাযাত্রা করার অভিযোগ করা হয়েছে। যার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না এবং আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেউ সশরীরে এমন কোন শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিল না। তবুও আমার কিছু আবেগ তাড়িত সমর্থক এই শোভাযাত্রা করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দরুণ আপনাকে আশ্বস্থ করছি।’
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান জানান, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন আচরণ বিধি শোকজ
মন্তব্য করুন
পাবনার সুজানগরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী জহুরা খাতুন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বারেক মৃধা৷ এ সময় তার সাথে থাকা আরো চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি অভিযোগ করেন, অথচ এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন প্রার্থীর লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
জহুরা খাতুন বলেন, আমি নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে ভোট দিয়েছি। এখানে তার লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ভুক্তভোগী পরিবার ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কয়েকটি গণমাধ্যম। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাবাসীর মাঝে।
ধর্ষণ ভিন্নখাতে প্রবাহ সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন