ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২১


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পীরগঞ্জের মানুষ তাকে সুধা মিয়া বলে ডাকতেন। ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে তিনি সামরিক জান্তা আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ জন্য ১৯৬২ সালে গ্রেফতার হন তিনি। 

ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত করে। 

আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ এবং জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলকে আগলে রেখে সুসংহত করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জন্মস্থান রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

দিবসটি পালনে রংপুর ও পীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকালে পৈতৃক নিবাস ফতেহপুর গ্রামে ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কবর জিয়ারত করাসহ সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত করা হবে। বিকেলে ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও জেলা ছাত্রলীগ অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে। 

ড. ওয়াজেদ স্মৃতি পরিষদ, রংপুর জেলা, মহানগর ও পীরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন সীমিত পরিসরে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাত্র সন্তান বৈমানিক অসিম জাওয়াদকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ। সন্তানের লাশ সামনে রেখে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও একমাত্র সন্তানকে তারা বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেখে সন্তান এভাবে চলে যাবে- সেটা কখনো ভাবতে পারেননি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন ।

ড. আমান উল্লাহ বলেন, আমি তো ডাক্তার, আমি জানি কতটা জীবন ঝুঁকি আছে এ দায়িত্বে। ওর মাও নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওর পছন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ঝুঁকি জেনেও বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিনি যে, আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ও শুধু আমাদের ছেড়ে যায়নি। ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকেও ছেড়ে গেল। আমি জানি না, ওর মতো করে বাচ্চাগুলোকে পালন করতে পারব কিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। 

কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পাইলট আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেটিং অ্যাপসে বান্ধবীকে বিক্রি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা. সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।

সেখানে মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট করার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। রুম ডেটের কথা বলে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও নিয়েছে কারও কারও কাছ থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ বাজারও নিয়েছে।

নিজের ছবিতে যখন আর কাজ হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য বিকাশে টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন। অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অডিও ও মেসেজের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

বান্ধবীর দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন অন্য কেউ আর প্রতারিত না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করার পরই নিজের ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


ডেটিং   অ্যাপস   বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যমুনার বুকে দৃশ্যমান হল বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুটির গত এপ্রিল থেকেই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে’।

আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে’।

সেতুটির ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার।

ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। নির্মাণ শেষে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহনের খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে’।


যমুনা নদী   দৃশ্যমান সেতু   বঙ্গবন্ধু রেলসেতু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুগলকে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার মামলায় খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ( মে) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা- সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। বৃহস্পতিবার ( মে) রাতে চেয়ারম্যান লালের বরখাস্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং- (জি.আর ১৫৫/২০২৩), তারিখ: ১২/১০/২০২৩-এর অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, চুয়াডাঙ্গা আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪() ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন; যেহেতু, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।‘


যুগল   ইউপি   চেয়ারম্যান   বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস?

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বদলির আদেশ হয়েছে। তাকে সরিয়ে নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বার্তা দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ডেভিড স্লেটন মিলকে বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। ডেভিড স্লেটন মিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এমন এক সময় যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য এবং দৃঢ় অবস্থান অনেকটাই টলটলয়মান। 

উল্লেখ্য, পিটার ডি হাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২০২২ সালে ১৫ মার্চ। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। আর একারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের প্রকাশ্য বৈরিতা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাঁর আলাদা অবস্থান এবং পক্ষপাত আওয়ামী লীগকে ক্ষুব্ধ করেছিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেছিল। কিন্তু এ সব উপেক্ষা করে পিটার ডি হাস বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেছিলেন। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে সরাসরি নাক গলিয়ে ছিলেন এবং বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি রীতিমতো একটি পক্ষ হয়ে গিয়েছিলেন। 

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে ডোনাল্ড লু'র চিঠি নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। যখন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন তিনি ছুটিতে চলে যান। সেই সময় বোঝা যাচ্ছিল যে, পিটার ডি হাসের বাংলাদেশের মিশন ব্যর্থ হয়েছে এবং তাকে ফিরে যেতে হবে। অবশেষে পিটার ডি হাস ফিরে যাচ্ছেন। 

বাংলাদেশে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাধারণত তিন বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন এবং এই তিন বছর মেয়াদ পূর্তির পরই নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়। কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পিটার ডি হাসের আগে যিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ছিলেন আর্ল আর মিলার তিনি ২৯ নভেম্বর ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করে ২১ জানুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পালন করে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর তাঁর দায়িত্ব শেষ করেন। অর্থাৎ তিন বছরের বেশি সময় তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একইভাবে ড্যান মজিনাও ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৫ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ থেকে দায়িত্ব শেষ করে চলে যান। 

অবশ্য কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদের কম সময়েও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হ্যারি কে টমাস। যিনি ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে দুই বছরের কম সময়ের আগেই ২০০৫ সালের ২ জুলাই বিদায় নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রদূতরা তাদের মেয়াদ পূর্ণ করেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিটার ডি হাস তার মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ পেলেন না। কেন পিটার ডি হাসকে তার মেয়াদ পূর্তির আগেই সরিয়ে নেওয়া হল, এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। 

তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পরই নির্ধারিত ছিল পিটার ডি হাস আর বাংলাদেশে থাকছেন না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য। বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান এবং নীতি কৌশল ছিল সেটা বাস্তবায়নই ছিল পিটার ডি হাসের প্রধান কাজ। আর এই কারণেই তিনি সরকার বিরোধী একটি প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।

বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল মনে করেন যে, পিটার ডি হাস যে অবস্থান নিয়েছিলেন সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নীতির অংশ। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই তার অবস্থান থেকে সরে আসে এবং এখন নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এ কারণেই এই পিটার ডি হাস রাষ্ট্রদূত থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নটা একটা অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এই বাস্তবতা থেকেই পিটার ডি হাসকে সরিয়ে নেওয়া হল বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

পিটার ডি হাস   মার্কিন রাষ্ট্রদূত   বাংলাদেশের নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ডেভিড স্লেটন মিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন