নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি অবসরে যাওয়া কয়েকজন সবিচকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একইভাবে পূর্বে সময় বাড়ানো কয়েকজন সচিবের মেয়াদ শেষ হলে তা আর বাড়বে না। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
চলতি মাসের ৪ তারিখে অবসরে গেছেন অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। তাঁকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে নতুন নিয়োগ হয়েছে।
আর আগামী ১৪ অক্টোবর অবসরে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম। তাঁকেও কোনো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ১ জুন অবসরে গেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহ উল আলম। তাঁকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একই ভাবে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট অবসরে যাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব আবু মোহাম্মদ মুস্তফা কামালকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আরও নিয়োগ পাননি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান (অবসর ৩০ এপ্রিল), প্রবাসী কল্যান ও প্রবাসী কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামসুন নাহার (অবসর ১৪ জুন), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় (অবসর ১৪ এপ্রিল)
চলতি মাসের ২৮ তারিখে অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব মুশফেকা ইকফাৎ। আর চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কানিজ ফাতেমা। ৯ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন জ্বলানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তাঁদের কোনো চুক্তিভিত্তিকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে গত বছর ডিসেম্বরে ৩০ তারিখ মেয়াদ শেষের পর এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষের পর তাঁকে আবার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এইভাবে মেয়াদ শেষের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তথ্য সচিব মারতুজা আহমেদ (২২ ডিসেম্বর ২০১৬), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম (৩১ জানুয়ারি) এর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর বাড়ানো হচ্ছে না।
সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে যেমন বাড়তি খরচের বোঝা টানতে হয়। তেমনি ১৭ জন বঞ্চিত হন যে কারণে প্রশাসনে থাকে অসন্তোষ। প্রশাসনকে গতিশীল ও আরও কার্যকর করতেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরুদ্ধে সরকারের এই অবস্থান।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন