কালার ইনসাইড

ব্যান্ডের ভাঙা-গড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

বাংলাদেশের রয়েছে এক গৌরব উজ্জ্বল ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস। সময়ের স্রোতে বহু ব্যান্ডের আগমন ঘটেছে। সেসব ব্যান্ডে যেসব সদস্যরা মাত করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঠিকানা বদল করেছেন। সেসব ব্যান্ড বিচ্ছেদের খবর টুকিটাকি দেয়া হল:

সোলস:

`সোলস` বাংলা অর্থ দাঁড়ায় `আত্মারা`। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংগীতজ্ঞরা এই ব্যন্ড থেকে আত্নপ্রকাশ করেছেন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে  তপন চৌধুরী, নকীব খান, পীলু খান, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু ,কুমার বিশ্বজিৎ ও পার্থ বড়ুয়ার মতো বাংলাদেশের ব্যান্ডে সঙ্গীতের সব খ্যাতিমানদের নাম। সোলসের গঠন হয় স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে। চট্টগ্রামের স্থানীয় কিছু গানপাগলা তরুনের হাত ধরে এর শুরু। শুরুর দিকে যাদের নাম ছিল তারা হলেন সাজিদ উল আলম (গিটার), লুলু (গিটার) নেওয়াজ (পারকিউশন), রনি বড়ুয়া(ড্রামস) ও তাজুল (ভোকাল)।

শুরুর বছরই ব্যান্ড ত্যাগ করেন লুলু। যোগ দেন নকীব খান। যিনি পরবর্তীতে ব্যান্ড ‘রেনেসা’ গড়েন। নকীবের পথ অনুসরণ করে সোলসে যোগ দিয়েছিলেন নকীবের বড় ভাই পীলু খান ও তপন চৌধুরী। ১৯৭৭ এ ব্যান্ড এ যোগ দেয় আরেক তরুণ নাসিম আলী খান। ১৯৭৮ এ যোগ দেন আরেক ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ব্যান্ডের একজন গিটারিস্ট , ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার। ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে যোগ দেয় বাংলা আধুনিক গানের আরেক দিকপাল কুমার বিশ্বজিৎ।



১৯৮২ সালের দিকে নকীব খান ও পীলু খান ব্যান্ড ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে রেনেসাঁ ব্যান্ড গঠন করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কুমার বিশ্বজিতও ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান। `সোলস` থেমে থাকেনি। তখন ব্যান্ড এর ভোকাল তপন এর পরেই ছিলেন নাসিম আলী ও আইয়ুব বাচ্চু। তিনজনেই সমান্তরলে গাইতেন।

ইতোমধ্যে `সোলস` এর পথ ধরে `চাইম` `অবসকিউর` `মাইলস` `ঝিঙ্গা` সহ আরও কয়েকটি ব্যান্ড এর তাদের পথচলা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বাংলা গানে `ব্যান্ড সঙ্গীত` নামের একটি ধারার শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করা শুরু করলো।

১৯৮৯ সালের দিকে আইয়ুব বাচ্চু `সোলস` ত্যাগ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর শূন্যস্থান পূরণ করতে তখন চট্টগ্রামের আরেক সদ্য তরুণে পা দেয়া গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে দলে যোগ দেয় পার্থ বড়ুয়া। ১৯৯২ সালে `সোলস` এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয় `এ এমন পরিচয়` অ্যালবামটি। এই অ্যালবামটি ছিল সোলস এর সাথে তপন চৌধুরীর শেষ অ্যালবাম। এই অ্যালবাম পরেই তপন চৌধুরী পুরোপুরি একক অ্যালবাম এর দিকে নিজের পথ চলা শুরু করেন। একে একে সব ভোকাল চলে গেলে দলের সবচেয়ে পুরনো সদস্য ব্যান্ড লিডার রনি বড়ুয়া মূল ভোকাল পার্থকে সরিয়ে নাসিম আলী খানকে করেন। এভাবেই চলছে।

ফিলিংস এবং নগর বাউল :

ফিলিংসের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই আশির দশকের শুরুতে- চট্টগ্রাম থেকে । শুরুতে এই ব্যান্ড কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চুও বাজাতেন । এহসাল এলাহি ফান্টি নামে একজন ব্যান্ডের মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতেন। ১৯৮১ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন নগরবাউল জেমস। চট্টগ্রামে শুরু হলেও একটা পর্যায়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন। জেমসের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ভেঙ্গে যায় ফিলিংস। জেমসের নিজস্ব ব্যান্ড নগর বাউল গড়া হয়।  ফিলিংস ব্যান্ডে তখন অর্থহীনের সুমনও ছিলেন। ফিলিংস ভেঙ্গে হলো দুটো ব্যান্ড। জেমসের নগর বাউল ও সুমনের অর্থহীন। ফিলিংস ও নগর বাউলে এক সময় পান্থ কানাই ছিলেন ড্রামার হিসেবে। জেমসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ‘তান্ডব’ নামের ব্যন্ড গড়েন। বর্তমানে তিনি আছেন অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসে।

আইয়ুব বাচ্চু ও এলআরবিঃ

আইয়ুব বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠনের অনেক আগ থেকেই সংগীতের সঙ্গে জড়িত। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোলস ও ফিলিংস ব্যান্ডও। সোলস ব্যান্ড ছেড়ে ১৯৯১ সালে গঠন করেন পিউর রক ব্যান্ড এলআরবি ! দীর্ঘদিন একই সেটআপ ছিল। সেখান থেকে ক্রমাগত বের হয়ে আসে এস আই টুটুল , রিয়াদ, সুমন, মিল্টন আকবররা। এল আর বি চলছে তার নিজের নিয়মে। এস আই টুটুল পরবর্তীতে ‘ধ্রুবতারা’ নামে ব্যন্ড গঠন করেন। ২৬ বছর হয়ে গেল। এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে মাত্র দুজন এখনো টিকে আছেন আইয়ুব বাচ্চু আর স্বপন।

আর্ক ও হাসানঃ

আশিকুজ্জামান টুল ১৯৯১ সালে চাইম ব্যন্ড থেকে বের হয়ে গঠন করেন আর্ক। এই । এই অ্যালবামের বেশিরভাগ গানের কথা ও সকল গানের সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের করা । ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডে যোগ দেন গায়ক হাসান। তারপর ৯০ দশকের শেষের দিকে পঞ্চম, হাসান ও আশিকুজ্জামান টুলুর আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড ‘স্বাধীনতা’ গঠন করেন ।২০০৪ সালে তিনি ‘জন্মভূমি’ নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন। হাসান ঘোষনা দিয়েছিলেন আর্কে আবার ফিরে যাবেন। কিন্তু টুলু কানাডায় স্থায়ী হওয়াতে আর্ক কখনো নবচেতনায় আর ফেরেনি। পঞ্চম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সংগীতায়োজনের কাজে।

ফিডব্যাক-মাকসুদ ও ঢাকা:

শুরুটা সত্তরের দশকে। শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ গান প্রাকটিসের মাধ্যমে। এই ব্যন্ডে রয়েছে বেশ কয়েকজন পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। মাকসুদ-ফুয়াদ নাসের বাবু-লাবু রহমান-পিয়ারু খান। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছাড়েন মাকসুদ। মাকসুদ ও ঢাকা নামে নতুন ব্যান্ড করেন তবে ফিডব্যাকের মত জনপ্রিয়তা পায়নি ব্যান্ডটি। মাকসুদের বদলে এখন লুমিন ফিডব্যাকের ভোকাল হিসেবে আছেন।

ওয়ারফেজের ভাঙ্গা গড়া :

ওয়ারফেজের যাত্রা শুরু সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। সেই লাইনআপের একমাত্র কমল ছাড়া বর্ত‌মানে আর কেউ নেই। বর্ত‌মান প্রজন্মের কারো হয়তো তাদের নামও জানা নেই। অধিকাংশই মনে করেন ওয়ারফেজের প্রথম ভোকাল সঞ্জয় কিন্তু এই ধারনাটি ভুল। তবে হ্যাঁ, সঞ্জয় ভোকালেই তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ পায় এবং দর্শ‌কদের চোখে পড়ে। ওয়ারফেজের প্রথম লাইনআপটি ছিল কমল(বেইস গীটার), হেলাল ( ড্রামস), মীর (গীটার), নাইমুল(গীটার), বাপ্পী(ভোকাল)। পরবর্তী‌তে মীর, হেলাল এবং বাপ্পী ব্যক্তিগত কারণে ব্যান্ড ছেড়ে দেন। এমন সময় কমল হাতে তুলে নিলেন লিড গীটার, বেইজ এ চলে এলেন বাবনা করিম, ড্রামে টিপু আর ভোকালে রাশেদ। এই লাইন আপটিও বেশী দিন স্থায়ী হলো না, নাইমুলও চলে গেলেন ইউএসএ। তখন সেইসময়ের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড `ইন ঢাকা` এর মাসুক এবং ফুয়াড গেস্ট মেমবার হিসেবে সহায়তা করে ওয়ারফেজকে।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় তাদের তৃতীয় অ্যালবাম। এ অ্যলবামের পর ওয়ারফেজে আবার আসে পরিবর্তন। তাদের বেশ কিছু সদস্য চলে যান দেশের বাহিরে। বাবনা, কমল, সঞ্জয়, ফুয়াদ, টিপু, রাসেল। অনেকের মতে এটিই ছিল ওয়ারফেজের বেস্ট লাইন আপ।

এরপর বর্তমানে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে পরিচিত জুয়েল এবং অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন জয়েন করেন ওয়ারফেজে। সঞ্জয় ব্যক্তিগত কারনে মিউজিক ছেড়ে দেবার পর মিজানের কন্ঠে ওয়ারফেজ যেভাবে অসাধারন কিছু গান সৃষ্টি করেছে তার প্রশংসা করেছেন অনেক সংগীত বিশ্লেষকেরা।

মিজান তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভোকালে আসে বালাম। বলে রাখা ভালো বালামের সাথে ওয়ারফেজের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। একটা সময় বালাম চলে গেলেন তার সলো ক্যারিয়ার নিয়ে। এসময় ওয়ারফেজ বেশ অস্থিতীশীল অবস্থায় ছিল। আর্টসেল ব্যান্ডের সেজানও বেশকিছু দিন ছিলেন ওয়ারফেজের সাথে। শুধুমাত্র ড্রামার টিপু ছাড়া সবারই বেশ পরিবর্তন হয়েছে ব্যান্ডে। পরবর্তীতে টিপু ব্যান্ডকে আবারও গুছিয়ে নিয়ে আসলেন। ব্যান্ড ভাইব থেকে অনি আর মেটাল মেইজ থেকে রজার জয়েন করলেন। অন্যদিকে কমল আবারও ফিরে আসলেন দেশে, মিজানও আবার জয়েন করলেন। মিজান নানা কর্মে দল থেকে বহিস্কিত হন। মিজানের পরে রেডিও অ্যাক্টিভের সাবেক ভোকাল পলাশ ওয়ারফেইজে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন।

মাইলস

শুরুটা আশির দশকের প্রথমে। ২০১০ সালে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে যান শাফিন আহমেদ। ব্যান্ডের দুই সদস্য শাফিন হামিনের দ্বন্দ্বের বিষয়টা সামনে আসে। ‘রিদম অব লাইফ’ নামে নতুন একটা ব্যান্ডও করেছিলেন শাফিন। তবে অভিমানটা খুব বেশিদিন থাকেনি। ওই বছরই মাইলসে ফেরত আসেন শাফিন। মাইলসের লাইন আপ এখনও অটুট আছে হামিন-শাফিন-মানাম-তূর্য-জুয়েল লাইনআপে।

‘বাংলা’ ভেঙ্গে ‘প্রেয়ার হল’, ‘অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’:

অর্নব , আনুশেহ , বুনো মিলে বেশ আলোড়ন তুলছিলো ‘বাংলা ব্যন্ড’। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পাওয়া গেছে। আনুশেহ- বুনো বিয়ে করে। কিন্তু সে বিয়ে টিকলো না। অর্নবও সলো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। মাঝখানে ‘প্রেয়ার হল’ নামে নতুন একটি ব্যান্ড গঠন করে। সে ব্যান্ড থেকে অ্যালবামও প্রকাশ করে। কিন্তু সে ব্যন্ডও টিকেনি। পরবর্তীতে অর্নব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস চলছে অনেকদিন ধরে। সেখানে অর্নবের পাশে আছে বুনো ও পান্থ কানাই।

ব্ল্যাক-তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ-ইন্দালো:

১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়থা পেয়েছিল ব্যান্ডটি। জন-জাহান-টনি-তাহসান-মিরাজ লাইন আপের সবাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু ভেঙ্গে গেল। সলো ক্যারিয়ারের টানে তাহসান বেরিয়ে যান, সেটা অনেকদিন আগের গল্প। রোড অ্যাকসিডেন্টে আহত হয়ে ব্যান্ড, গান দুটোই ছাড়েন মিরাজ। জন কিছুদিন আগে বেরিয়ে গিয়ে ‘ইন্দালো’ নামের ব্যান্ডে করেন। তাহসানও ব্যান্ড গড়েছিলেন ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’। তবে তার কার্যক্রম খুব বেশি চোখে পড়েনি। টনি আর জাহান নিজের কাজে ব্যস্ত। ব্যান্ড থাকলেই সেই আগের স্বাধটা তো নেই।

আর্টসেল

ব্লাক ও আর্টসেল প্রায় একই সময়ে জন্ম নেয়। আর্টসেলের খোঁজ খবর নেই। লিঙ্কন-এরশাদ-সাজু-সেজান কেউই ব্যান্ড ছাড়েনি। তবে তাদের কার্যক্রম অনেকদিন থেকেই বন্ধ। মাঝেমধ্যে লিঙ্কন পুরনো গানগুলো গেয়ে ইউটিউবে ছাড়ে।

চিরকুট:

২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি বেশ নাম করেছিল। বনিবনা না হওয়াতে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পিন্টু গতবছর ব্যান্ড ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাতে জনপ্রিয়তার কোন কমতি পড়েনি। ভোকাল ও দলনেতা সুমিসহ লাইন আপে আছেন ইমন-দিদার-পাভেল।

শিরোনামহীন:

বর্তমান সময়ে ব্যন্ড সংগীতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘শিরোনামহীন’ থেকে তুহিনের চলে যাওয়া। এ নিয়ে তুহিন ও ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে। দেখার বিষয় আসলেই কি ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্যান্ড।

দূরবীন:

এ ব্যান্ডেরও প্রায় পনেরো বছর বয়স হয়ে গেল। ব্যান্ডের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কাজী শুভ ও আরেফিন রুমি ব্যান্ড ছেড়ে দেন। তবে দলনেতা ও ভোকাল শহীদ আছেন আগের মতোই। তার সঙ্গে আরও ছয় তরুন আছেন। শুরুর দিককার সদস্য আইয়ূব শাহরিয়ারও আছেন এখনও।

 

 বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নিপুণের সমালোচনায় জায়েদ খান

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অভিনেত্রী নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

এদিকে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে  নিপুণের এই রিটের প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান  বলেন, ‘একজন মানুষ লোভে পড়ে, যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা উনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বলে গেলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সব মেনে নিয়ে ওনার এত দিন পরে মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।


নিপুণ   সমালোচনা   জায়েদ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের শর্ত কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারব না

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘লাপাতা লেডিস’র মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে বেশ আলোচনায় এসেছেন কিরণ রাও। এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।

গল্পটি নির্মল প্রদেশ নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু। প্রধান চরিত্র তিনটি। এর একটি হলো ফুল কুমারী। চরিত্র রূপায়ণ করেছেন নীতাংশি গোয়েল। সহজ-সরল চরিত্রটি রূপায়ণ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ১৬ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেত্রী।

এবার এক সাক্ষাৎকারে নীতাংশি প্রেম নিয়ে কথা বলে এসেছেন আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘আমার মা শর্ত দিয়েছেন, কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারব না। তবে বন্ধুত্ব থাকতে পারবে, তাদের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি রয়েছে। আসলে এ বয়সে প্রেম করার কথা চিন্তা করছি না আমি।’ নীতাংশির মা রাশি গোয়েল। মা-মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।

২০০৭ সালের ১২ জুন উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন নীতাংশি গোয়েল। ইনস্টাগ্রামে তাকে অনুসরণ করেন ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। ‘লাপাতা লেডিস’র আগেও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এ সিনেমাটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে।


লাপাতা লেডিস  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার শরিফুল রাজের নায়িকা স্বস্তিকা মুখার্জি

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার শরিফুল রাজের নায়িকা হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। গত সেপ্টেম্বরে নির্মাতা হিমু আকরাম তার সিনেমা ‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’র নায়িকা হিসেবে স্বস্তিকার নাম ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এই অভিনেত্রীর বিপরীতে কে অভিনয় করবেন, তা জানাননি। অবশেষে জানা গেল নায়কের নাম।

সিনেমাটিতে স্বস্তিকার বিপরীতে অভিনয় করবেন রাজ। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলতে নারাজ নির্মাতা। আর রাজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। প্রযোজনা সংস্থার সূত্রে, স্বস্তিকার বিপরীতে শরিফুল রাজ চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এখন দিন-তারিখ দেখে শুটিংয়ে নামার অপেক্ষা।

এদিকে বহু নাটক নির্মাণ করেছেন হিমু আকবর। এবার নিজের গল্পেই প্রথম সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তিনি। চিত্রনাট্য লিখেছেন হিমু আকরাম, মোহাম্মদ নাজিম উদ দৌলা ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

সৈয়দপুর, সুন্দরবন, রাজেন্দ্রপুরের শালবনে এর দৃশ্যধারণ হবে বলে জানা গেছে। তারকাবহুল এই সিনেমায় স্বস্তিকা-রাজের পাশাপাশি ইরেশ যাকের, মামুনুর রশীদ, সোহেল মণ্ডলসহ অনেকেই অভিনয় করবেন।


শরিফুল রাজ   নায়িকা   স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মৃণালের চরিত্রে বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৃণাল সেনের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘পদাতিক’। সত্তরের দশকে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার নামে তৈরি হয়েছে মৃণাল সেনের বায়োপিক। বানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। এতে মৃণালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ পেয়েছে ১৪ মে। যেখানে প্রথম ঝলকেই চমকে দিয়েছেন এ অভিনেতা।

১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতেই দেখানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চির বিদায় জানানো হচ্ছে। গলায় মালা দিয়ে শ্মশান ঘাটের দিকে নেওয়া হচ্ছে। হাজারো মানুষের ভিড়ে সেখানে উপস্থিত আছেন মৃণাল সেন। যার চরিত্রে দেখা গেছে চঞ্চল চৌধুরীকে।

টিজার অল্প সময়ের হলেও, নির্মাতা সৃজিত বার্তা দিয়েছেন বিপ্লব, বিদ্রোহ, সংসার, জীবন ও সিনেমার। এতে অল্প সময়েই মুগ্ধ করেছেন চঞ্চল। ‘পদাতিক’-এ মৃণালের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন মনামী ঘোষ। পরিচালকের ছেলে কুণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে সম্রাট চক্রবর্তীকে। এ ছাড়া যুবক মৃণালের চরিত্রে দেখা যাবে কোরক সামন্তকে। সিনেমাটি এ বছর মুক্তির কথা রয়েছে।


মৃণাল   বাংলাদেশ   চঞ্চল চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কান চলচ্চিত্র উৎসবে চোখ ধাঁধানো লুকে ভাবনা

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ বিশ্বের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব। দক্ষিণ ফ্রান্সের রিজোর্ট শহর কান-এ প্রতি বছর সাধারণত মে মাসে এই উৎসব হয়ে থাকে। এই উৎসবের ৭৭তম আসরের পর্দা উঠেছে।

১২ দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এ উপলক্ষ্যে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকায় ভরে ওঠে কান শহর। প্রথমবারের মতো এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।

ভাবনা বুধবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে নজরকাড়া পোশাক ও চোখ ধাঁধানো অভিনব লুকে দেখা গেছে। ভাবনার সেই পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। পুরো সাজে রয়েছে স্নিগ্ধ আমেজ। কারুকাজ করা নীল রঙের শাড়িতে অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে।


কান চলচ্চিত্র   ভাবনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন