ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১ অভিযোগ: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ ১১ টি অভিযোগ রয়েছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতি তাঁর সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে চাননি। আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

‘ছুটিভোগরত মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস,কে,সিন্‌হা মহোদয়ের বিদেশ গমনের প্রাক্কালে প্রদত্ত লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বক্তব্য’ শিরোনামে বিবৃতিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ছুটি ভোগরত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ১৩ অক্টোবর বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে একটি লিখিত বিবৃতি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। লিখিত বিবৃতিটি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই লিখিত বিবৃতি বিভ্রান্তিমূলক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি নিম্নরূপ: ’

‘গত ৩০/০৯/২০১৭  তারিখ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় বিচারপতি এস কে সিনহা ব্যতিত ৫ জন বিচারপতিকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান। মাননীয় বিচারপতি ইমান আলী দেশের বাইরে থাকায় তিনি উক্ত আমন্ত্রণে উপস্থিত হতে পারেননি। অপর চারজন অর্থাৎ মাননীয় বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, মাননীয় বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মাননীয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং মাননীয় বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার মহোদয়গণ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।দীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্বলিত দালিলিক তথ্যাদি হস্তান্তর করেন। তন্মধ্যে বিদেশে অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ আরো সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে মাননীয় বিচারপতি মোঃ ইমান আলী মহোদয় ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের পর ১ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে আপিল বিভাগের উল্লিখিত ৫ জন বিচারপতি মহোদয় এক বৈঠকে মিলিত হন যে, ওই সকল গুরুতর অভিযোগসমূহ মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস. কে. সিনহা মহোদয়কে অবহিত করা হবে। তিনি যদি ওই সকল অভিযোগের ব্যাপারে কোন সন্তোষজনক জবাব বা সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তার সঙ্গে বিচারালয়ে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।এই সিদ্ধান্তের পর ওইদিনই বেলা ১১.৩০টায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে উল্লিখিত ৫ জন বিচারপতি মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের ১৯, হেয়ার রোড, রমনা, ঢাকা বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগসমূহ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরেও তার কাছ থেকে কোন প্রকার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা সদুত্তর না পেয়ে আপিল বিভাগের উল্লেখিত মাননীয় ৫ জন বিচারপতি তাকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, অভিযোগ সমূহের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসে তাদের পক্ষে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এ পর্যায়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সুস্পষ্টভাবে বলেন যে, সেক্ষেত্রে তিনি পদত্যাগ করবেন। তবে এ ব্যাপারে পরেরদিন অর্থাৎ ০২/১০/২০১৭ তারিখে তিনি তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ০২/১০/২০১৭ ইং তারিখে তিনি উল্লিখিত মাননীয় বিচারপতিগণকে কোন কিছু অবহিত না করেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট ১ (এক) মাসের ছুটির দরখাস্ত প্রদান করলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেন। সে প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মাননীয় বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির অনুরূপ কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেন।’

‘উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পদটি একটি প্রতিষ্ঠান। সেই পদেরও বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বার্থে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করা হয় নাই। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে বিবৃতি প্রদান করা হলো,’ বলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।’

সুপ্রিম কোর্টের এ সংক্রান্ত বিবৃতি নিচের লিংকে পাওয়া যাবে:

http://www.supremecourt.gov.bd/resources/contents/notice_20171014_01.pdf

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রংপুর মেডিকেলের আইসিইউতে আগুন

প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ৩ নম্বর এসিতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল ওয়ার্ডটি। তবে, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড হায়দার আলী বলেন, ‘এখানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করি।’

হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন সজল জানান, বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে আবার চলে আসে। এখন কোনো সমস্যা নাই।

একাধিক রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, ৩টা ৫৫ মিনিটে ওই ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এসির সার্কিট পুড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে জরুরি লাইন চালু করা হয়। মেইন লাইন থেকে বিদ্যুৎ আধা ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এখন সব কিছু ঠিক আছে।

এ বিষয়ে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক বাদশা আলম কালবেলাকে বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের ঘটনা আমরা জানি না।’


আগুন   রমেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের প্রথম চার মাস: রাজনীতিতে স্বস্তি অর্থনীতিতে উৎকণ্ঠা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

একটি নতুন সরকারের প্রথম চার মাস সময়কে বলা হয় হানিমুন পিরিয়ড। এই সময় সাধারণত সরকারের দোষ ত্রুটি বা সমালোচনাগুলোকে উপেক্ষা করা হয়। সরকারের কর্মসূচি এবং পরিকল্পনাগুলোর দিকে সাধারণ মানুষের নজর রাখেন ভবিষ্যতে সরকার কী করবে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় প্রথম চার মাসে। আর এই কারণেই সময়টাকে হানিমুন পিরিয়ড বলা হয়। কিন্তু যেহেতু আওয়ামি লিগ সরকার পুরনো টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে তাই সে কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য সেই হানিমুন পিরিয়ড আর প্রযোজ্য হয়নি। বরং নতুন সরকার আগের অতীতের ভুল ত্রুটিগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠে সে ব্যাপারে সকলের মনোযোগ ছিল।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ

আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল এক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই। এই নির্বাচন হবে কি না, নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে কি না, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী ভূমিকা নেবে ইত্যাদি নানা অনিশ্চয়তা সংকট এবং আলোচনার মধ্যেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন। তিনি নতুন এবং পুরনো মিলিয়ে তার মন্ত্রিসভাকে সাজান৷ অন্য ৩ বারের মতো মন্ত্রীদের ঢালাও ভাবে বাদ না দিয়ে বেশ কিছু পুরনো মন্ত্রী এবার নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। আর এই মন্ত্রিসভার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, মন্ত্রিসভাকে একটি রাজনৈতিক চরিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। ফলে এই মন্ত্রিসভা নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল।

প্রথম চার মাসে মন্ত্রিসভা প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে বলেই অনেকে মনে করেন। কয়েকজন মন্ত্রীকে বেশ উজ্জল এবং আলোকিত দেখা গেছে। মানুষের জন্য কাজ করা তাদের কমিটমেন্ট। সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে নতুন মন্ত্রী হওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের কর্মতৎপরতা ছিল ছোখে পড়ার মত। তবে নতুন সরকার গাঠিত হওয়ার পর যে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করা হয়েছিল সে রাজনৈতিক সংকট থেকে সরকার শুরুতে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের উপর যে নেতিবাচক মনোভাব ছিল নির্বাচনের পর তা কেটে যেতে শুরু করেছে। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে। এটা সরকারের জন্য একটা বড় স্বস্তি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্বাচনের পর মিয়ে গেছে। তারা এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। বিভিন্নরকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। সরকারের সামনে কোন বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু

তবে প্রথম চার মাসে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াভয় হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক সংকটই সরকারে কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা অর্থনৈতিক সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি, ব্যাংকিং সেক্টরে অনিয়ম, লাগামহীন দুর্নীতি, অর্থপাচার ইত্যাদি ইস্যু গুলোকে অর্থনীতিতে একটি নাজুক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ব্যাংকিং সেক্টর এখন একটি হতাশাজনক চিত্র একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশকে এখন ঋণ নিয়ে চলতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস কমে গেছে আর সব কিছু মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক সংকটে একটি নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায় সেটিই হল এখন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


আওয়ামী লীগ   মন্ত্রিসভা   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোবে পুলিশের বাধা, আটক ১৫, আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত একদল ব্যক্তি। বেলা তিনটার দিকে এ কর্মসূচি থেকে ১৫ জনকে শাহবাগ থানা-পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটককৃতদের ছেড়ে দিতে রাত ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল।

রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সমাবেশ শেষে বেলা তিনটার দিকে আন্দোলনকারীরা গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাত্রা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশ তাদের ব্যাপক মারধর ও লাঠিপেটা করে এবং তাদের ১৫ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এরপর ৩৫-প্রত্যাশীরা আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। সন্ধ্যায় সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ শিক্ষার্থীকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরিফুল হাসান। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে আমাদের আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন থেকে আমাদের দাবি পূরণের বিষয়টি সুরাহা করতে হবে।’

শরিফুল হাসান পরে বলেন, ‘রাত ১০টার মধ্যে আটক আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া না হলে সাড়ে ১০টায় রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ রাত পৌনে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) আরশাদ হোসেন বলেন, আন্দোলনকারীরা কয়েকটি স্থানে সড়ক আটকিয়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেন। তাদের সরে যেতে বললেও সরে না যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ১৩ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।


চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোব   আটক   আলটিমেটাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না'

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ভোর রাতে চিরবিদায় নিয়েছেন হায়দার আকবর খান রনো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শেষ আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের সৎ রাজনীতির শেষ উত্তরাধিকার। বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং বাম রাজনীতির শেষ অনুকরণীয় উদাহরণ। হায়দার আকবর খান রনোর বিদায় বাম রাজনীতিতে এক নতুন করে শূন্যতা তৈরি করল। এই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। নিজে একসময় চৈনিক বামে আসক্ত হলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি চীনপন্থী নীতির সাথে একমত পোষণ করেন৷ চীনপন্থী বামরা যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আমাদের অস্তিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেইসময় হায়দার আকবর খান রনো দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বাম রাজনীতিতে তার বিভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু ন্যায় নীতি এবং আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অটল।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন যেন যুগলবন্দি নাম ছিল। দুইজনই বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ধারাকে বিকশিত করেছিলেন। এই দুইজনের কারণেই তরুণ এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে বাম রাজনীতির একটা বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধু এক থাকতে পারেননি। এক বৃন্তের দুটি ফুল ভেঙে যায়। হায়দার আকবর খান রনো তার আদর্শের প্রশ্নে শেষ জীবন পর্যন্ত অটল থেকেছেন। অন্যদিকে, রাশেদ খান মেনন ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খাওয়ার লোভে বাম আদর্শ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন এবং নিজের আদর্শকে সেলফি তুলে রেখেছেন। দুই বাম নেতার এই দূরত্ব বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে অনেকখানি ক্ষতি করেছে।

হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আদর্শবাদী স্বাধীনচেতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চায় অবিচল আস্থাবান এক মানুষ। তিনি শেষ জীবনে তার নিজের হাতে গড়া দল ওয়ার্কার্স পার্টি তে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং একটি সুবিন্যস্ত ধারায় বাম রাজনীতিকে নতুন করে সংগঠিত করা। কিন্তু তার সেই যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব জোরালোভাবে স্পষ্ট করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার কারণে সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সচল ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং একে একে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া শুরু করে তখন হায়দার আকবর খান সরকারের এই নীতির প্রশংসা করেছিলেন৷ সেই সময় এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অবদান নেই বলে তিনি উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, এটি শেখ হাসিনার একক অবদান। শেখ হাসিনার সাহস এবং প্রজ্ঞার কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে বলে হায়দার আকবর খান রনো মন্তব্য করেছিলেন।

ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন, আওয়ামী লীগও যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনোই সম্ভব হতো না।' এভাবেই নিজের মনের ভাবনা স্পষ্ট এবং অবিচল ভাবে বলার এক সাহস ছিল তার। জীবনে তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন না, একজন সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে মুণি সিং, মোহাম্মদ ফরহাদের পর হায়দার আকবর খান ছিলেন এক উজ্জ্বল তারকা। তার চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল সেই শূন্যতা কেউ কোনদিন পূরন করতে পারবে না।


আওয়ামী লীগ   শেখ হাসিনা   প্রধানমন্ত্রী   যুদ্ধাপরাধী   হায়দার আকবর খান রনো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ধান মিলল ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবকের, পেটে কাটা দাগ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিম (৪০)। রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ হওয়া সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে। 

স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, ভাইকে নিয়ে আসার সময় ফাউন্ডেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে। বাড়িতে আনার পর ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে তারা সন্দেহ করছেন, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। তিনি এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে তাকে (সেলিম) মাঝেমধ্যে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ছয় মাস আগে এক সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। দীর্ঘদিন পর মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তারের খবর টেলিভিশনে দেখেন। এর মধ্যে তার দেবর ও অন্য স্বজনেরা একদিন ইউটিউব ভিডিওতে মিল্টনের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের শয্যায় সেলিমকে শুয়ে থাকতে দেখে চিনে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে গ্রামে আনা হয়েছে। সেলিম আগে নিজে চলাফেরা করতে পারলেও এখন তার অন্যের সাহায্য লাগছে।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।


ময়মনসিংহ   ঈশ্বরগঞ্জ   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন