ইনসাইড বাংলাদেশ

আজও বেদনার সুর বাজে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সঙ্গে গৌরব ও ত্যাগের ইতিহাস জড়িত রয়েছে। দেশের জন্য যেকোনো বড় আন্দোলনে এই হলের শিক্ষার্থীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও এই হলের শিক্ষার্থীদের বড় ভূমিকা ছিল।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী প্রথম জগন্নাথ হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরই হামলা চালায়। সেদিন ছাত্র-শিক্ষক যাকে তাঁরা পেয়েছে তাকেই তাঁরা হত্যা করেছে । স্বাধীনতার প্রায় ১৪ বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীদের উপর নেমে আসে আরেকটি বড় ট্র্যাজেডি। এই দিনটিকে ভোলার নয় বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর এই দিনটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে পালন করছে। কি ঘটেছিল সেই দিনে?

জগন্নাথ হলে সেসময় পূজার আমেজ চলছিল। পরদিন থেকে ছিল দুর্গাপূজার ছুটি। তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বাড়িতে যেয়ে পুরো পরিবারের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুরো হলের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাই পূজার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। কিন্তু এমন একটা ট্র্যাজেডি যে সেসময় অপেক্ষা করছে তা তারা ভাবতেই পারেনি।

জগন্নাথ হলের অণুদ্বৈপায়ন ভবনে সেসময় একটি টিভি রুম ছিল। পুরো হলের ছাত্ররা এই ভবনে এসে টিভি দেখতো। ঘটনার দিন টিভি রুমে বসে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় নাটক ‘শুকতারা’ দেখছিলেন। এই নাটকটি দেখার জন্য সবসময়ই শিক্ষার্থীদের ভিড় হতো।

নিজেদেরই এক সতীর্থ মনন অধিকারীর অভিনয় দেখার প্রত্যাশায় সেদিন টিভি রুমে ভিড় আরও বেশি ছিল। হঠাৎ ভয়ংকর শব্দ সেই সঙ্গে সব কিছু মিলিয়ে গিয়ে এক নারকীয় অবস্থা। গগনবিদারী চিৎকারে চারদিকে ততক্ষণে এক ধ্বংস স্তূপ। বৃষ্টির জলে ৬৪ বছরের পুরনো চুণ-সুড়কীর ছাদ ভেঙ্গে যায়। ইট, টাইলস, লোহা ও কাঠের গরাদসহ চুন-সুড়কীর স্তূপে চাপা পড়ে অনেকে। ৩৯ জন ছাত্র এবং কর্মচারীকে এখানে প্রাণ হারাতে হয়। সেই সঙ্গে আহত হয় আরও ৩০০ জন।

মুহূর্তের মধ্যে জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় জগন্নাথ হলে কোন ছাত্র সংসদ না থাকলেও দ্রুতই উদ্ধার কর্মে এগিয়ে আসেন তদানীন্তন ডাকসু-র ভিপি আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সহায়তা করেন দমকল বাহিনী, পথচারী মানুষ, রিকশাওয়ালা, প্রতিবেশী ঢাকা মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা সেসময় শুধু উৎসাহ নিয়েই ছুটে আসেনি, বরং এসেছিল নিজেদের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে।

জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার জন্যে সেসময় দেশে তিন দিনব্যাপী শোক প্রকাশ করা হয় । খবরের কাগজ ভরে যায় নিহত ও আহতদের ছবি দিয়ে, রেডিওর মাধ্যমে গোটা বিশ্বে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। টেলিভিশনে প্রচার করা হয় হৃদয় বিদারক ঘটনার নানা চিত্র। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নিহতদের স্মরনে টিভি রুমের স্থানেই গড়ে তোলা হয় অক্টোবর স্মৃতি ভবন।

জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৩২ বছর পরে আজও জগন্নাথ হলের প্রতি প্রান্তে বাজে বেদনার সুর। জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি সংঘটিত হওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা ও খামখেয়ালিপনাই দায়ী। এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। জগ্ননাথ হল ট্র্যাজেডির মতো যেন আর কোন ট্র্যাজেডি না ঘটতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সংসদ সদস্য  মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) এর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তার বড় পুত্র জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও কনিষ্ঠ পুত্র ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ তার পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহজাহান খান, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনসহ পরিবারে সদস্যগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই জনপ্রিয় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দাদাভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। 

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীকে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তৎকালীন জাতীয় সংসদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রস্তাবকারী। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দাদাভাইয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় দত্তপাড়ার টিএন একাডেমি থেকে, মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মা ফাতেমা বেগম। ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই মহান নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী   মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বিদেশি মদের চালান সহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিদেশি মদের চালান সহ আমির হোসেন নামে এক পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার্স সহ পুলিশের একটি টিম নিয়ে উপজেলার লাউড়গড় গ্রামের আমির হোসেনের বসত ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে বস্তা ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২২ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করেন।

সময় মাদক কারবারে জড়িত থাকায় বসতবাড়ির মালিক পেশাদার মাদক কারবারি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মদের চালান   মাদক কারবারি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন