ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৭ জুন, ২০২১


Thumbnail

আজ ১৭ জুন, ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

‘ভুলব না ভুলব না ভুলব না এই একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ গেয়ে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভাষা দিবসের প্রভাতফেরি করা হতো। এই গানটির রচয়িতা মহান ভাষা সৈনিক আ ন ম গাজীউল হক। 

গাজীউল হক ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নিচিন্তা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গাজীউল হক পড়াশুনা শুরু করেন মক্তবে। পরে কাশিপুর স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে তিনি উচ্চ প্রাইমারি বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৪১ সালে বগুড়া জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এই স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি শিক্ষক সুরেন বাবুর সান্নিধ্যে এসে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হন।

গাজীউল হক ১৯৪৬ সালে এই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর বগুড়া আজিজুল হক কলেজে আইএ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে আইএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন তিনি। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে থাকতেন। ১৯৫১ সালে বিএ অনার্স পাস করে এমএ ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে তিনি এমএ পাস করেন।

ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তার এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে ছাত্রনেতা ইশতিয়াক, মোহাম্মদ সুলতান, জিল্লুর রহমান প্রমুখের আন্দোলনের চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমএ ডিগ্রি ফেরত দিতে বাধ্য হয় এই মহান সৈনিককে। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাস্ত্রে ভর্তি হন।

তিনি যখন আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন তখন অধ্যক্ষ ভাষা বিজ্ঞানী মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সংস্পর্শে আসেন। এই সময় তিনি বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৪ সালেই তিনি বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক হন। একই বছর তিনি কুষ্টিয়ার নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কনফারেন্সে যোগ দেন।

গাজীউল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেনের মত বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন। আপোষহীন এই ভাষাযোদ্ধা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবদ্দশায় বহুবার কারাবরণ করেন। ভাষা সৈনিক ছাড়াও গাজীউল হক সাহিত্যিক ও গীতিকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

১৯৪৯ সালের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় তিনি কাজ করেন। সেই সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে যে ভুখা মিছিলটি বের হয়েছিল তাতে গাজীউল হকও শরিক হন।

১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে আব্দুল মতিন এই কমিটির আহ্বায়ক হন। বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটি ১৯৫০ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পল্টনের জনসভায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র হলে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। ঘোষণানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার  ছাত্রসভায়  গাজীউল হক সভাপতিত্ব করেন এবং সভা শেষে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্য মন্ত্রী নূরুল আমীনের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা ছিল উত্তাল। এ আন্দোলন ছড়িয়ে গিয়েছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস আদালতে রাজপথে সবখানে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেসিয়াম মাঠের পাশে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) গেটের পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত শুরু হতে থাকে। বেলা ১১ টায় কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, আব্দুল মতিন, গাজীউল হক প্রমুখের উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ শুরু হয়।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকার ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতিকে তছনছ করে দেওয়ার জন্য ঢাকাতে সমাবেশ, মিছিল-মিটিংযের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ২১ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় ধরে উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে আব্দুল মতিন এবং গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভংগের পক্ষে মত দিলেও সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় বাংলার দামাল ছেলেরা দমনমূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। উপস্থিত সাধারণ ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভংগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং মিছিল নিয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অন্তর্গত) দিকে যাবার উদ্যোগ নেয়। অধিকার আদায়ের দাবিতে শত শত বিদ্রোহী কন্ঠে  ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে কেঁপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বুলেট আর লড়াই শুরু হয়। পুলিশ লাঠিপেটা ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত (ঢাবি এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর মাস্টার্সের ছাত্র), রফিকউদ্দিন আহমদ ও আব্দুল জব্বার নামের তিন তরুণ মারা যায়। রফিক, জাব্বার, বরকত, শফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকের সঙ্গে সালামও সেদিন গুলিবিদ্ধ হন।২৩ ফেব্রুয়ারি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে গাজীউল হক পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। বগুড়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার আলতাফুন্নেছা মাঠে তার গায়েবানা জানাজাও পড়ানো হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটনার আগেই এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অংশ নিয়ে বগুড়ার মুসলিম লীগকে শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করেন। আর কাগমারী সম্মেলনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে আওয়ামী লীগের সর্বাঙ্গীন প্রতিকূলতা প্রতিরোধে মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ওই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালন বন্ধের জন্য সরকার ধরপাকড় শুরু করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি গাজীউল হকসহ কয়েকজন নেতা-কমীকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার প্রায় ২৯মাস কারাগারে তাকে থাকতে হয় ।

বগুড়ায় ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনের মূল চাবিকাঠি ছিল বিড়ি শ্রমিক ও মজদুরগণ। গাজীউল হকও ১১ দফা আন্দোলনে অংশ নেন।

কেবল ভাষা আন্দোলনই নয়, পরবর্তীতে সকল অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে গাজীউল হক অংশ নিয়েছেন। ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪-র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠক হিসেবে ও পরে জাতীয় পর্যায়ের লেখক এবং সংগঠকের ভূমিকায় তাকে পাওয়া গেছে। তাকে পাওয়া গেছে ১৯৮০-র দশক জুড়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই গাজীউল হক মাত্র ২৭জন যুবকসহ পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাজীউল হক, ডা. জাহিদুর রহমান অন্যান্য যুবকদের নিয়ে বগুড়া থানার আঙ্গিনায় জড়ো হন। থানার পুলিশ এবং ৩৯জন ইপিআর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেন৷ এ সময় আওয়ামী লীগ, ন্যাপ ভাসানী ও কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি হাইকমান্ড গঠন করা হয়। এই হাইকমান্ডের সদস্য ছিলেন গাজীউল হক।

২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল ৬০ জন পুলিশের একটি দল পাকসেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। ১ এপ্রিল গাজীউল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আড়িয়া ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালিয়ে ৬৯ জন পাক সেনাকে বন্দি করেন। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৫৮ ট্রাক গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।

১৬ এপ্রিল গাজীউল হক অস্ত্র সংগ্রহ এবং অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে উত্তরাঞ্চল যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভারত যান। হিলিতে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে একটি খণ্ড যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর কলকাতায় ফিরে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র ‘জয়বাংলা’ পত্রিকার বিক্রয় বিভাগের দায়িত্বসহ আকাশবাণী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে রণাঙ্গনের সংবাদ প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে গাজীউল হক তার সৃজনশীলতারও পরিচয় দিয়েছেন। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৯টি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রথম বই লিখেন গাজীউল হক। তার বইয়ের নাম ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ ছাড়া উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য গাজীউল হক ছিলেন আপোষহীন। এই নিয়ে তিনি তার সংগ্রামের কথা বলেছেন ‘উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলন’ বইটিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম সমাবর্তনে গাজীউল হক-সহ আরেক ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দেওয়া হয়। ২০০০ সালে  তিনি একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০১ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে `জাহানারা ইমাম পদক` পান তিনি। ২০০৪ সালে পান `শের-ই-বাংলা জাতীয় পুরস্কার`। ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যও। এ ছাড়া গাজীউল হক প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

মহান এই ভাষা সৈনিক ২০০৯ সালের ১৭ জুন বিকেলে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান

রোববার (৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী একথা জানান। 

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, কোনক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে এবং দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোন প্রযুক্তিই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য, এবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কতৃক সাগরে  সকল ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। 

অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ,নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের।

মৎস্য মন্ত্রী আরও বলেন,শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এই দেশ গড়ে তোলা হবে। রাজনীতি যারা করে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের চিন্তা না করে ১৬ কোটি মানুষের কথা চিন্তা করেন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে বলে জানান তিনি। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারীজ সেন্টার অফ এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টার এর নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মৎস্য মন্ত্রী চট্রগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এসময় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময়  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারীজ প্রজেক্টের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী। এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনর চেয়ারম্যান জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এসময় উপস্থিত ছিলেন।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৮৮ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

প্রকাশ: ০৫:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরও ৮৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা নৌকায় নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

রোববার (৫ মে) দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর সাবরাং ইউনিয়ন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা।

স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে অস্ত্রসহ বিজিপির ৮৮ সদস্য টেকনাফ কোস্ট গার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল শনিবারও (৪ মে) অন্তত ৩৬ বিজিপি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন প্রবেশ করেন।

এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

মিয়ানমার   সীমান্তরক্ষী   অনুপ্রবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টি-তাপপ্রবাহ: কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।

আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!

গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।

বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।

মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।


ঝড়   বজ্রসহ বৃষ্টি   আবহাওয়া   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবপাচার আইনে করা মামলায় ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে জাল মৃত্যু সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

মিরপুর মডেল থানার (মানবপাচার) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে এদিন বেলা ১টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।

গত ২ মে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়েছে।

মিল্টন সমাদ্দার   ডিবি   চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ দুপুরে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী   সরকারি চাকরি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন