নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১০ এএম, ২২ জুলাই, ২০২১
ভারত থেকে বিদায় নিয়েছিল টিকটক। চীনের সাথে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে গিয়েছিল। ফলে টিকটকের ব্যবহারকারীরা বিকল্প অ্যাপের দিকে ঝুঁকেছিল। অনেকে দেশী অ্যাপের দিকেও ঝুঁকে গিয়েছিল ভিডিও বানাবার জন্য। তবে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের দেশে আবারও ফিরছে টিকটক।
টিকটকের নির্মাতা বাইট ডান্স সংস্থা ট্রেডমার্ক বদলে ভারতে টিকটক ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গত ৬ জুলাই বানান বদলে (TickTock) নাম নিয়ে এই অ্যাপকে ফেরাতে ট্রেডমার্ক অ্যাপলিকেশনও করেছে বাইট ডান্স।
নতুন করে করা এই আবেদনে বলা হয়েছে, TickTock অ্যাপটি প্রযুক্তিগতভাবে এবং ডিজাইনে TikTok অ্যাপের থেকে আলাদা হবে। চীনা প্রতিষ্ঠানটিই যে আবার ফিরে আসছে, এমন ভাবার কারণ নেই। কিন্তু এর ফিচারগুলো একই হবে। আগে যেমন ব্যবহারকারীরা ভিডিও তৈরি করতে পারতেন, এবারও তাই পারবেন।
জানা গেছে, টিকটককে ভারতীয় বাজারে ফেরাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কথাও বলেছে বাইট ডান্স। এমনকি ভারতীয় প্রযুক্তি আইন মেনে কাজ করার আশ্বাসও দিয়েছে চীনা সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন