নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ২২ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা ও চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতারা এক ধরনের রহস্যজনক আচরণ করছেন। তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি ও চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রাজনীতি করতেই তারা (বিএনপি নেতারা) বেশি আগ্রহী। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির মামলা সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক মানবিক আচরণ করেছেন।’
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়সের কথা বিবেচনায় ঘরে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতাদের শেখ হাসিনার মহানুভবতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কিন্তু তা না করে নিজেদের পদ রক্ষায় খালেদা জিয়াকে দাবার গুটি বানিয়ে সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছেন বিএনপি নেতারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সৌজন্যতা নেই বলেই পবিত্র ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে বিএনপি।’
সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতায় দেশের মানুষ কষ্টে আছে—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘আসলে দেশের জনগণ নয়, বিএনপিই তাদের ব্যর্থ রাজনীতি ঢাকতে জনগণের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। সময়ের পরীক্ষিত নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসী নেতৃত্বে দেশের জনগণ ভালো আছে। দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই বিএনপির গায়ে জ্বালা বাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও আন্দোলনে বারবার পরাজিত বিএনপি নেতারা এখন মিডিয়ায় বক্তব্য-বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা নেই বলেই এখন তারা এটা-সেটা বলে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কর্মীদের চাঙা রাখার জন্যই এগুলো করছে।’
দেশে গণতন্ত্র নেই—মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন তিনি। কাদের বলেন, ‘দেশে জেল-জুলুমের ভয় করলে রাজনীতি করছেন কেন? কেন তারেক রহমান নির্বাসনে গেলেন মুচলেকা দিয়ে। জনগণকে বোকা বানানোর দিন এখন আর নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি বিবর্তনমূলক প্রক্রিয়া। রাতারাতি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। বরং বিএনপিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পদে পদে বাধা দিচ্ছে। তারপরও চড়াই উতরাই অতিক্রম করে গণতন্ত্র এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয় বরং বিএনপিই এ দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির পথপ্রদর্শক।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।