নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১
দুর্ঘটনায় অল্প বয়সেই এক পা হারিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ জরিনা বেগম। আরেক পা ভেঙে বাঁকা হয়েছে। দু`হাতের ওপর লাঠি ভর করে হাঁটাচলা করেন। কোনো কাজ করার জো নেই। স্বামী মারা গেছেন বছর হয়েছে। দাম্পত্য জীবনে হয়নি কোনো সন্তান। এখন জরিনার একমাত্র সম্বল হাতের দুটো লাঠি। বসবাস করেন রেল কলোনির একটি অস্থায়ী খুপরিতে। মানুষের দেওয়া সাহায্য আর বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে দিনাতিপাত করেন জরিনা। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই যৎসামান্য। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে তার হাতে। ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল আর তিন কেজি আটা পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন তিনি। জরিনা বলেন, হামাকে বসুন্ধরা গ্রুপ উপকার করলু, তোকের মালিকর শরীর-গতর ভালো থাক। তোরা বাঁচি থাক। দুধেভাতে থাক। বাল-বাচ্চা ভালো থাক।
জরিনার মতো সহায়সম্বলহীন সফি বানু। বয়স ৭৫ পেরিয়েছে। পৃথিবীতে স্বামী-সন্তান কেউ নেই। ভিক্ষাবৃত্তি করে একবেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন। শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে চোখের কোণে জল জমেছে তার। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করে সফি বানু বলেন, হামি ভিক্ষা করে খাই। কাইল থেকে খাবার খাইতে পারিনাই। এই খাবার নিয়া বাসায় যাইয়া খামু৷ আল্লায় তোকের ভালো করবে৷ এই খাবার দিয়া আমি একলা এক মাস খাইতে পারমু।
শনিবার (১ আগস্ট) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় তাদের মতো ৩০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলার আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, করোনায় কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ দেশব্যাপী যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে তার জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে আপনাদেরকে ৭-১০ দিনের খাবার প্যাকেজ দিল। তাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন। এই সময়টা আপনার কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। এরপরও আপনাদের কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোকসেদ আলী, পৌর মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল।
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা ৪০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ রবিবার উপজেলার সরকারি ছাঈদ-আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে রোজিনা বেগম নামের এক উপকারভোগী বলেন, হামরা অসহায় মানুষ। করুনায় (করোনা) কেউ কোনো সাহায্য করে নাই। হামাকের কে দিবে বাপ, তোমরা দিলেই হামরা খাবার পারম। তোমাকের জন্য পাঁচ ওক্তোত দোয়া করুম।
রহিমা বেগম বলেন, হামার স্বামী নেই। টুকটাক কামকাজ করি যা পাই তা দিয়া খাই। আজ হামাকে খাবার দিলা আল্লা তোমাকের সহিসালামতে রাখুক। বসুন্ধরা মালিকত রহমত করুক। আমাকের যেন আরও দিবার পারে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মুস্তাকিম মন্ডল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে আজকে আপনাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। আমি উপজেলার পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন ভবিষ্যতে যেন তারা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। করোনা থেকে সুরক্ষায় আপনারা সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলবেন। মাস্ক পরে থাকবেন।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠক ফেরদৌসী রানা চৌধুরী বলেন, কালের কন্ঠ শুভসংঘ আজকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব সুশৃঙ্খলা ভাবে আমাদের উপজেলায় ৪০০ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। একজন সেচ্ছাসেবী সংগঠক হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা চাই তারা ভবিষ্যতেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএফএম আবু সুফিয়ান, সরকারি ছাঈদ-আলতাফুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া, শুভসংঘের উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল, আজিজুল হক, আব্দুল আলিম, আজিজার রহমান, হাসান, সাইফুল ইসলাম মিলন।
জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় ৩০০ অসহায় ও অতিদরিদ্র্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। আজ রবিবার কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা।
কাঠের পিঁড়িতে বসে দুই হাত দিয়ে মাটিতে ভর দিয়ে হাঁটছেন শামসুল আলম। বয়স ৫০ বছর। গ্যাংগ্রিনের (পচা ঘা) কারণে গত ৩০ বছর আগে পা দুটো কেটে ফেলতে হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। এক ছেলে থাকলেও করেন না কোনো সহযোগিতা। বয়স্কভাতা আর ভিক্ষাবৃত্তি করেই বউ নিয়ে দু`মুঠো খেতে পারেন। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যদের থেকে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে শামসুল বলেন, আল্লা রহমত করুক। এই অসহায়কে খাবার দিছো। তোমাকের ভালো হবি। সুখে থাকবি তোমরা।
শাজাহান মোল্লা নামের এক উপকারভোগী বলেন, হামার এক হাত ভাঙা। কাম করবা পারি না। খুব কষ্টত আছি। তোমরা ত্রাণ দিছো। দুই হাত তুইল্যা দোয়া করি বাবা। আল্লায় বসুন্ধরা মালিকর মনের আশা পূরণ করবে৷ তাকত কবুল করবে।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, দেশের এই দুর্যোগকালীন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে। আমাদের জয়পুরহাট জেলার অসংখ্য অতিদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কালাই উপজেলায় ৩০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। তাই আমরা বসুন্ধরা গ্রুপ এবং শুভসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মত দেশের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার করোনার এই ক্রান্তিলগ্ন সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে। বর্তমানে দেশে করোনা খুব দ্রুতই সংক্রমিত হচ্ছে। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে। কারণ তারা অসচেতন। তাই আপনাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, কালাই সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজিমউদ্দীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম মালিক, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ জয়পুরহাট জেলার শুভসংঘের সেচ্ছাসেবী নূর-ই-আলম হোসেন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, আবু তালহা সাঈদ, সানজিদ আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, রাকিব হোসেব, কাউসার আহমেদ, ইশতিয়াক আহমেদ, মো. নাছিম, শিমুল, শাহারুল আলম, সেলিম সারওয়ার, কামরুল হাসান, লিটন তালুকদার।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর আস্তানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এই অভিযানে এরইমধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার
(১৫ মে) ভোররাত থেকে
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন এ পাহাড়ে
অভিযান শুরু হয়। শেষ
খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান আছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের ওই অধিনায়ক।
মন্তব্য করুন
বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী
হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া
এলাকার জিন্নাহর ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়
এ ঘটনা ঘটে।
পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের
ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।
এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে
এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের
মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী
অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে
এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।
ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত
একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার
লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই
হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান
নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায়
আনতে অভিযান শুরু করেছি’।
মন্তব্য করুন
মৌসুমের
শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম
ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক
প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে
বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক
প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের
দামও কম নয়। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে
১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা
কেজিতে।
অপরদিকে
প্রতি একশ পিস লিচু
বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬শ
টাকায়। তবে বাজারে এমন
চড়া দামে ফল কিনতে
একদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল
বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও
রয়েছে অভিযোগ।
মঙ্গলবার
(১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ,পুরাতন পল্টন,
মতিঝিল এবং এর আশেপাশের
ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের
সাথে কথা বলে এমন
চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা
বলছেন, দাম কমলে মানুষ
বেশি করে ফল কিনতে
পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও
বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি।
আমের দামও অনেক বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো
ফল আম ও লিচুর।
ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম
এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে
তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে।
তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর
দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি
বিক্রেতাদের।
বাজার
ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের
শুরুতেই ৬ থেকে ৭
প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে।
এসব আমের মধ্যে হিমসাগর
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ
প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল
প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার
গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের
জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি)
প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা
এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি)
১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে
বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই
লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি
একশ পিস কদমি লিচু
৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা,
চায়না লিচু প্রতি একশ
পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি
লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০
টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই
প্রজাতির একশ পিস লিচু
১৬শ টাকা দরে বিক্রি
হচ্ছে।
এক
লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম
বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে
হচ্ছে বলেই বেশি দামে
বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ
৩০০ টাকায় একশ পিস লিচু
বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে
৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা
বিক্রি করতে বেশ বেগ
পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদেরও।
ফল
কিনতে আসা গোলাম রাব্বী
বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি। তবে
ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি।
এক কেজি আম যদি
৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার
দৈনিক আয় ৪০০ টাকা
সে কি করবে? কীভাবে
খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত
বেশি হওয়া একদম উচিত
নয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।