নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১
করোনার ভয়ংকর তাণ্ডব পেরিয়ে কিছুটা ভালো জায়গায় ভারত। করোনার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করছে ভারত?
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। গত ৮ মে ভারতে একদিনে চার লাখ একশর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে একদিনে ২৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। সেই সময় দিল্লি সহ ভারতের অবস্থা শোচনীয় জায়গায় পৌঁছেছিল। হাসপাতালে জায়গা নেই। অক্সিজেন নেই। ওষুধের দাম আকাশ ছোঁয়া। মৃতদের দেহ সৎকার করতে লম্বা লাইন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের গঙ্গায় মৃতদেহের মিছিল। গোটা ভারত জুড়ে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস আতঙ্ক।
সেখান থেকে ৪ অগাস্টে আসা যাক। সারা ভারতে দিনে এখন গড়ে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ। দিল্লিতে দিনে ৫০ থেকে ৬০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে দিল্লিতে প্রায় সব কিছুই খুলে গেছে। মেট্রো ও বাসেও যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো সীমা নেই। ভারতে কেরালা, মহারাষ্ট্র, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে এখনো করোনায় বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গও পুরো স্বাভাবিক হয়নি। এই রাজ্যগুলোকে বাদ দিলে ভারতের অন্যত্র পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো।
অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে
কী করে সম্ভব হলো এইভাবে করোনার নিয়ন্ত্রণ? এমনিতে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রবণতাই হলো, এর রেখাচিত্র ক্রমশ উপরে উঠতে থাকে। একেবারে উপরে উঠে তা নীচে নামতে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু এই প্রবণতার কথা বলে ভারতের করোনা পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। যে দিল্লিতে দিনে ২৮ হাজার মানুষ একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে সংখ্যাটা ৫০-৬০-এ নেমে আসার কারণ শুধু ভাইরাসের চরিত্র নয়।
দক্ষিণ দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা ফুসফুসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বোস জানিয়েছেন, ``দিল্লিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত, দিল্লিতে টিকা দেওয়ার হার যথেষ্ট ভালো। দ্বিতীয়ত, দিল্লিতে কড়া লকডাউন দীর্ঘদিন চলেছে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির স্মৃতি মাথায় থাকার কারণে মানুষ মাস্ক পরছেন, দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। সব চেয়ে বড় কথা, টিকার কারণে ও করোনা হয়ে যাওয়ার ফলে একটা বড় অংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।``
পার্থপ্রতিম বোস মনে করেন, ``করোনার গ্রাফ একবার উপরে উঠবে, তারপর নীচে নামবে এটা ঠিক। এটা সব ভাইরাসের চরিত্র। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখেই বলতে হচ্ছে, মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি না হলে, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি না হলে করোনাকে ঠেকানো যাবে না। দিল্লি আজ যে অবস্থায় পৌঁছেছে, সেই অবস্থায় পৌঁছনো যাবে না।``
দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে কড়া লকডাউন চালু ছিল। সেসময় কাছের দোকান-বাজার বা টিকা নিতে যাওয়া এবং খুব জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারতেন না। রাখলে পুলিশের কাছে জবাবদিহি করতে হত।
তিন কারণের মিলিত ফল
কলকাতার চিকিৎসক সাত্যকি হালদার মনে করেন, ভারতে যে করোনার বাড়বাড়ন্ত কমেছে, তার পিছনে তিনটি কারণ আছে। তিনি বলেছেন, ``ভারতে স্বাস্থ্য কর্মী, যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, তারা আগে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাদের দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর অসুস্থ হওয়ার হার অনেকটাই কমেছে। দ্বিতীয়ত সাধারণ মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। তৃতীয় কারণ হলো, ভাইরাসের এপিডোমিয়োলজিকাল চরিত্র।`` তার ব্যাখ্যা, ``ভাইরাসের উত্থান যেমন থাকে, তেমনই পতন থাকে। ভাইরাস সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছে গেলে, তার সক্রিয়তা কমতে থাকে। তখন গ্রাফ নীচের দিকে নামে। এই সবকটি কারণ মিলেই ভারতের করোনার ভয়ংকর পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে।``
সাত্যকি হালদার একটা উদাহরণ দিয়েছেন। বানের সময় সুন্দরবনে বাঁধ ভেঙে জল চলে আসে গ্রামের ভিতর। আবার সেই জল নিজে থেকে পরে চলেও যায়। কিন্তু সরকার বা গ্রামবাসীরা বাঁধ তৈরি করে। তাতে জোয়ারের জল আটকায়। কিন্তু আবার ভয়াবহ বান এলে সেই বাঁধ ভেঙে যায়। তেমনই ভাইরাসের রেখাচিত্র উপরে ওঠে এবং নীচে নামে এটা যেমন ঠিক, তেমনই এটাও ঠিক যে, করোনা প্রতিরোধে টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলেই করোনার জোয়ার আটকানো যাবে।
দিল্লির সাফল্যের পিছনে
দ্য প্রিন্টের হেলথ এডিটর অবন্তিকা ঘোষ ভারতে করোনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। প্রথম ঢেউয়ের সময় ভারতের পরিস্থিতি, কারণ, প্রাসঙ্গিক সব ব্যাখ্যা আছে সেই বইতে। অবন্তিকা বলেছেন, ``একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিল্লিতে সেরোপজিটিভিটির (অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া) হার ৮৬ শতাংশ। তার উপর দিল্লিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি মানুষদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন। ফলে তাদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।``
অবন্তিকার মতে, ``বিশ্বের অন্য জায়গায় এখন ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের কারণে করোনা বাড়ছে। কিন্তু দিল্লি তথা ভারতে ডেল্টা ও ডেস্টা প্লাসের তাণ্ডব সহ্য করে নিয়েছে। এখন ভাইরাস আবার কবে মিউটেট করবে, অ্যান্টিবডি কতদিন থাকবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে ভাইরাসের নতুন ও ভয়ংকর সংস্করণ যতদিন না আসছে, ততদিন আমরা কিছুটা ভালো সময় কাটাতেই পারি।`` বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে টিকাকরণ যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে।
চিন্তার কারণ
এরপরেও চিন্তা আছে। বেশ ভালোরকমই আছে। সরকার ও বিশেষজ্ঞরা আর ফ্যাক্টর নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। আর ফ্যাক্টর মানে রিপ্রোডাকশন নম্বর বা আরটি। এর অর্থ হলো একজনের শরীর থেকে কতজনের মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছে। ভারতে গড়ে আর ফ্যাক্টর হলো এক দশমিক দুই। তার কারণ, মহারাষ্ট্র, কেরালা সহ আটটি রাজ্যে আর ফ্যাক্টর বেশ বেশি। এখন তো যত মানুষের করোনা হচ্ছে, তার ৪৯ শতাংশই কেরালার।
কেন্দ্রীয় সরকারেরের করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পল বলেছেন, ``আর ফ্যাক্টর শূন্য দশমিক ছয়ে নামিয়ে আনতে পারলে বলা যাবে করোনাকে বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। কিন্তু দেশের ৪৪টি জেলায় এই হার ১০ শতাংশের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, "স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র শিথিলতা চলবে না। অতিমারির দাপট এখনো আছে।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে, মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাময়িক সাফল্য এসেছে মানে পরিস্থিতি যে আবার খারাপ হবে না, তার কোনো মানে নেই। বিশেষ করে এইমসের ডিরেক্টর গুলেরিয়া সহ অনেকের মতে, এরপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তবে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো অত ভয়ংকর নাও হতে পারে। তখন দিনে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হবেন। সেই সংখ্যাটাও তো কম নয়। তাই তারা বারবার সেই প্রবাদটার কথাই শোনাচ্ছেন, সাবধানতার মার নেই। সূত্র: ডয়চে ভেলে
মন্তব্য করুন
পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।
পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?
স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। এ সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।
ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।
এ ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক এ রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।
ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের এ অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এ সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমা শক্তি
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ও ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।
শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলো— এই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।
বৃষ্টি, হড়কা বান ও লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ-২ নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ-২ গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।
রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।
দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।
পরীক্ষার পর ফাতাহ-২ রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।
মন্তব্য করুন
উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।
একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
‘এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।’
মন্তব্য করুন