কালার ইনসাইড

আজ ২১ সেপ্টেম্বর এবং স্মৃতিতে বাকের ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের ইতিহাসে আর কোনো নাটক কি মানুষ এতটা ভালোবেসেছিল? ভালোবেসেছিল আর কোনো নাটকের চরিত্রকে? চরিত্রটা আসলে কার? একজন পাড়ার চালচুলোহীন মাস্তান বৈ তো বাকের আর কিছু ছিল না। কিন্তু এই বাকেরকেই মানুষ হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিল। মুনার কষ্টের চোখের পানি ঝরেছিল মানুষের চোখেও। আত্মার ক্রন্দনে ক্রন্দসী এই জাতি চেয়েছিল বাকের ভাইকে যেন আবারও ফিরিয়ে আনা হয়।

শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট হুমায়ূন আহমেদ তখন আত্মগোপনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসার সামনে রোজ মানুষ মিছিল করে যাচ্ছে। তাদের দাবি একটাই, প্রাণপ্রিয় বাকের ভাইকে ফাঁসি দেয়া যাবে না কোনোমতেই। আজ ২০২১ সালে এসে আমাদের ভাবতেও কষ্ট হয়, নাটকের একটা চরিত্রকে মানুষ কতটা ভালবাসতে পেরেছিল ৯০ এর দশকে।

কোথাও কেউ নেই নাটকটার সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। শুরু থেকেই দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে এসেছিল সেটি। চিত্রনাট্য আর পরিচালনা, দুটোই ছিল হুমায়ূন আহমেদের। নাটক যতো এগিয়ে যেতে থাকলো, দর্শকেরা ততই পছন্দ করে ফেললো কেন্দ্রীয় চরিত্র বাকের ভাইকে। আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত এই চরিত্রটা সম্ভবত বাংলাদেশের টিভি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। বাংলা সিনেমাতেও কি বাকের ভাইকে টেক্কা দেয়ার মতো শক্তিশালী কোন চরিত্র তৈরি হয়েছে?

হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মেরা লাল দোপাট্টা মাল মাল- গানটি তখন মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। পাড়ার দোকানে, চায়ের কাপের আড্ডায়, স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের মুখে তখন প্রেয়সীদের মুখের সলজ্জ হাসি দেখবার জন্য এই গানের কলি। জনপ্রিয় করেছিল কে? আমাদের প্রিয় বাকের ভাই। আসাদুজ্জামান নূরকে তখন কেউ নূর হিসেবে জানতো না। তাকে চিনতো বাকের ভাই নামেই। এই চরিত্রটা এত বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল যে, আসাদুজ্জামান নূর যখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে নীলফামারী-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন, তখন তার কর্মীরা বাকের ভাইয়ের নামে ভোট চেয়েছে, নূরের নামে নয়!

বাকের ভাইয়ের জন্য মুনা যতটা কেঁদেছে, ততটাই কেঁদেছে এই দেশের আপামর তরুণীরা। এই দেশের তরুণীরা তখন মুনা হতে চাইতো, বাকের ভাইয়ের মতো কাউকে ভালোবাসতে চাইতো। শক্তিশালী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা গল্পের মুনাকে যেন পর্দায় সত্যিকার অর্থেই প্রাণ দিয়েছিলেন।

আরেকজনের কথা না বললেই নয়- হুমায়ূন ফরিদী। এই নাটকের সবচেয়ে শক্তিশালী সংলাপগুলো সম্ভবত তার মুখ থেকেই বেরিয়েছে। সাদা আর কালোর মাঝামাঝি অদ্ভুত এক ধূসর রঙে রাঙা চরিত্র তার, শেষদিকে আদালতে বাকেরকে বাঁচানোর জন্যে তার আপ্রাণ চেষ্টাটা মনকে ছুঁয়ে গিয়েছিল দারুণভাবে।

বাকের ভাইকে যখন ফাঁসি দেয়া হবে, তখন ঘটলো এক অভূতপূর্ব ঘটনা। প্রিয় চরিত্রের ফাঁসি হয়ে যাবে, এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। হুমায়ূন আহমেদের শহীদুল্লাহ হলের বাড়িতে পাঠানো হলো উড়ো চিঠি, প্রেসক্লাবের সামনে হলো মানববন্ধন। ঢাকার বাইরেও মিছিল বের হলো, স্লোগান উঠলো- ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই’, ‘বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে…’

অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিটিভিতে ফোন গেল। প্রযোজক বরকতউল্লাহ খানকে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজে অনুরোধ করলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদকে বলুন, নাটকের শেষে বাকেরকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা।’ বরকতউল্লাহ খান ফোন দিলেন হুমায়ূনকে, তিনি রাজী হলেন না। হুমায়ূন বিশ্বাস করেন লেখকের স্বাধীনতায়, পরিচালকের স্বাধীনতায়। সেই জায়গা থেকে তিনি ভেবে রেখেছেন বাকেরের ফাঁসির কথা, মানুষের দাবীর মুখে তিনি তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন না।

সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে কোথাও কেউ নেই এর শেষ পর্ব প্রচারিত হবার কথা, ঢাকা শহরে এর আগেই অবশ্য গণ্ডগোল শুরু হয়ে গেছে। আগের পর্বে বদি (আবদুল কাদের) কুত্তাওয়ালীর হুমকিতে বাকেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজী হয়ে গেছে। ১৪ তারিখে শেষ পর্ব প্রচারিত হলো না, কারণ সেই পর্বের শুটিংই শেষ হয়নি! পরে হুমায়ূন আহমেদ অজানা এক লোকেশনে শেষ করলেন শুটিং, একদম গোপনে।

পরের সপ্তাহে, সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখে শেষ পর্বটা প্রচারিত হলো। সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার অবস্থা থমথমে, জেলা শহর আর মফস্বলের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ, ভূতুড়ে রূপ নিয়েছে সেগুলো, যেন কারফিউ চলছে! হুমায়ূন আহমেদ নিজের বাসা ছেড়ে আত্মগোপনে গিয়েছেন আবদুল কাদেরকে নিয়ে, কাদেরের বাসায় হামলা হয়েছে এর আগে, প্রাণভয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন। নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো।

এরপরের গল্পটা তারা জানেন, নব্বইয়ের সেই গুমোট রাতে যারা বিটিভির পর্দায় কোথাও কেউ নেই নাটকের শেষ পর্বটা দেখেছিলেন, যারা সাক্ষী হয়েছিলেন মুনার কান্নার, অসীম শূন্যতার এক বোবা অনুভূতি তাদের ঘিরে ধরেছিল আষ্টেপৃষ্ঠে। ভোররাতে কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মুনা কাঁদিয়েছেন হাজারো দর্শককে। আপনি আসামীর কি হন?- জেলারের এই প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে মুনা যখন বলছেন, ‘আমি ওর কেউ না’- তখন চোখের জল আটকে রাখতে পেরেছেন হাতেগোনা কয়েকজন দর্শকই।

আজ ২১ সেপ্টেম্বর, কোথাও কেউ নেই নামের একটি নাটক এদেশে প্রচারিত হয়েছিল। মানুষ বাকের ভাইয়ের জন্য কেঁদেছে, কেঁদেছে তার প্রয়াণে। কিন্তু মন থেকে এই চরিত্রটিকে মুছে ফেলতে পেরেছে কি? মনে হয় না। বাকের ভাই চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের আপামর নাট্যপ্রেমীদের মননে।  

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন ডা. খোদেজা বেগম মৃধা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডা. খোদেজা বেগম মৃধা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান গাইতে আগ্রহী তাহসান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।

সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।

রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।


ফারিণ   তাহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের পৃথিবীর মঞ্চ ছাড়ার সময়ে ঢাকার মঞ্চে মোনালি

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গানতুমি রবে নীরবে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।

বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।

এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।


মা   পৃথিবী   মোনালি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফুলের মালা দিয়ে বরণের পরও কেন নিপুণের রিট

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনে হেরে ফুলের মালা দিয়ে হাসিমুখে বিজয়ী প্রার্থীদের বরণ করে নিয়েছিলেন নিপুণ। তবে নিপুণ কী যেন পুষে রেখেছিলেন মনে মনে। যার ফলাফল দেখা গেল শিল্পী সমিতির নির্বাচন সম্পন্নের কয়েক সপ্তাহ পরেই। জানা গেছে, ফুলের মালা দিয়ে যাঁদের বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পুরো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ।

১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন। এতে নিপুণ মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা-ডিপজল প্যানেল। সারা দিন ভোট গ্রহণ শেষে পরদিন ২০ এপ্রিল সকালে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, নিপুণের প্যানেলের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিতও ছিলেন নিপুণ। এরপর তিনি ডিপজল মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। মিশা ডিপজল তাঁদের পরিয়ে দেওয়া মালা নিপুণকে পরিয়ে দেন।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে হেরে সেদিন গণমাধ্যমের কাছে নিপুণ জানিয়েছিলেন, ‘ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের বিপরীতে আমি যখন দাঁড়াব, ভোট পাব সর্বোচ্চ ৫০টি। সেখানে ভোট পেলাম ২০৯টি। হেরেছি মাত্র ১৬ ভোটে। এতেই প্রমাণিত হলো যে শিল্পী সমিতির ভাইবোনেরা আমাকে কতটা ভালোবাসেন। এত সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।এমনকি সেদিন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য নিজেকেই কৃতিত্ব দেন নিপুণ।

নির্বাচনের চার সপ্তাহে এসে সব সমীকরণ যেন পাল্টে গেল। নিপুণ করেছেন হাইকোর্টে রিট। আর সেই খবর শুনে মিশা সওদাগর হুংকার ছুড়েছেন। ডিপজল বলছেন, ‘কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায়, সেটাই খেলো।

রিট করা প্রসঙ্গে এত দিন পর এসে নিপুণ বলছেন, ‘ভোট শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটা থেকে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথাবার্তা রহস্যজনক মনে হয়েছে। তা ছাড়া যতই রাত বাড়ছিল, ততই ভোটকেন্দ্র বাইরের পরিবেশ আমার কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হচ্ছিল। সেদিনের এমন পরিবেশ আমি আগে কখনো দেখিনি এফডিসিতে। পুরো আঙিনা তারা দখলে নিয়েছিল।

রিট করার পেছনে অভিযোগ হিসেবে নিপুণ আরও বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।তাহলে অনিয়ম জেনেও কেন বিজয়ী সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেনএমন প্রশ্নে নিপুণের বক্তব্য রকম, ‘ওই সময় সেটি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তা ছাড়া মিশা-ডিপজল প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন, আপিল বোর্ডের যোগসাজশে ভেতরে-ভেতরে এত বড় অনিয়ম চলে আসছিল, সেটি ফলাফল প্রকাশের অনেক সময় পর স্পষ্ট হয়েছে।


ফুল   মালা   নিপুণ   রিট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাহরুখকে নিয়ে প্রীতি জিনতার মন্তব্যে তোলপাড়!

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড তারকা শাহরুখ খান অসুন্দর মহিলাদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতে পছন্দ করেন। এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডি ভাইরাল হয়েছে যেখানে প্রীতি বলেছেন, অসুন্দর মহিলাদের সঙ্গে শাহরুখ বেশি কথা বলেন। একটি জিনিস আমায় অবাক করত। আমরা কোথাও গেলে সে শুধু অসুন্দর মহিলাদের ডাকত।

এর উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমার তাদের সুন্দর লাগত। আমার সব মহিলাদের সুন্দর লাগে। আমি চাই, সারা জীবন মহিলারা আমায় ঘিরে থাকুন। মহিলারা সচেতন, ভদ্র, নম্র, সুন্দরী। মহিলাদের গায়ের গন্ধ সুন্দর, তাদের কণ্ঠস্বর সুন্দর, তারা সুন্দর। আমার মহিলাদের খুব ভাল লাগে। আর আমি এটা লুকোই না। কিন্তু আমার এই ভালবাসায় কোনও শারীরিক টান নেই। বা সম্পর্ক তৈরি করারও কোনও উদ্দেশ্য নেই।

বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। এখনও তার ভক্তসংখ্যা নেহাতই কম নয়। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই বিরতিতে ছিলেন এই অভিনেত্রী।


শাহরুখ   প্রীতি জিনতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন