নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ফ্রান্সের কাছ থেকে এক ডজন সাবমেরিন কেনা নিয়ে পাঁচ বছর আগে করা একটি চুক্তিকে হঠাৎ পায়ে দলে অস্ট্রেলিয়া যে কায়দায় আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সাথে চুক্তি করেছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্বের মৈত্রী, ঐক্য এবং আস্থা সমূলে নাড়া খেয়েছে।
ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত ফ্রান্স ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠিয়েছে, আর সোমবারের জন্য নির্ধারিত ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা সংলাপ তারা বাতিল করে দিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর ফ্রান্স কী করবে? অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার পথে কি তারা যাবে? যদি সে পথেই হাঁটতে চায় তারা, সেক্ষেত্রে আরেকটি প্রশ্ন হলো, সেই ক্ষমতাই বা তাদের কতটুকু রয়েছে?
প্যারিসে বিবিসির সংবাদদাতা হিউ শোফিল্ড বলেন, বিড়ম্বনা এবং অপমানের প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর ফ্রান্সকে ভীষণ অপ্রিয় কঠোর কিছু প্রশ্নের জবাব হাতড়াতে হবে।
প্রথমত, তিনি বলেন, ফরাসীদের হয়তো নতুন করে অনুধাবন করতে হবে যে ভূ-রাজনীতিতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার বেলায় আবেগের তেমন কোন জায়গা নেই।
অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেয়া হচ্ছে চীনের কাছ থেকে নিরাপত্তার ঝুঁকির মাত্রা যেভাবে বেড়েছে, তাতে ফরাসী ডিজেল-চালিত সাবমেরিনে তাদের চলবে না। বরং আধুনিক পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন দিয়ে চীনকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
তবে ফরাসীরা অস্ট্রেলিয়ার এই যুক্তি গ্রহণ করেনি। তাদের কথা, অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা মতই ডিজেল চালিত সাবমেরিনের তৈরি নিয়ে তারা কাজ করছিল এবং অস্ট্রেলিয়া চাইলে পরমাণুশক্তি চালিত সাবমেরিন তারাও সরবরাহ করতে পারতো। ফ্রান্স বলছে, অস্ট্রেলিয়া সেই ইঙ্গিত কখনই তাদের দেয়নি।
আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন যখন প্যারিসে আসেন, তখনও সাবমেরিন নিয়ে ভিন্ন কোন ইচ্ছার কথা তিনি জানাননি। তার আগে জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সফরেও তিনি ভিন্ন কোন ইঙ্গিত দেননি।
ফ্রান্সের ওপর আমেরিকার অনাস্থা?
ফ্রান্সের আরও ক্ষোভ যে নেটো সামরিক জোটের সদস্য হয়েও কিভাবে ব্রিটেন এবং বিশেষ করে আমেরিকা, পুরো বিষয়টি তাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছে।
লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ানের কূটনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক উইনটর লিখেছেন, শুধু অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হারানো নিয়েই ফ্রান্স যে ক্রুদ্ধ তা নয়, অকাস চুক্তি দেখিয়ে দিয়েছে যে পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে আমেরিকা ফ্রান্সকে বিশ্বাস করে না।
সে কারণেই হয়তো ফরাসী পরারাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ ল্য দ্রিঁয়া অকাস চুক্তিকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ সাথে তুলনা করেছেন।
প্যারিসে বিবিসির হিউ শোফিল্ড আরও বলছেন, ফ্রান্সের জন্য আরেকটি “অপ্রিয় বাস্তবতা’ হলো অকাস চুক্তি প্রমাণ করছে নেটো জোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আর তেমন মাথাব্যাথা নেই এবং মিত্র দেশগুলোর প্রতি আনুগত্যকে তারা পরোয়া করছে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফরাসী নেতা চার্লস দ্য গলের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ফরাসী রাজনীতিকরা-যাদের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল্য ম্যাক্রঁও রয়েছেন-স্বপ্ন দেখেন যে ফ্রান্স হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাধীন একটি বিশ্ব শক্তি।
দেশের পারমাণবিক শক্তি এবং সামরিক শক্তির ওপর তাদের রয়েছে অগাধ আস্থা। কিন্তু তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে মেনে নিয়েই ফ্রান্স চলছে।
কিন্তু হিউ শোফিল্ড বলছেন, এখন প্যারিসের ক্ষমতার করিডোরে করিডোরে প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে -“প্রয়োজন কি আমেরিকার সাথে থাকার? তাদের সাথে থেকে আমাদের লাভ কী হচ্ছে?
“এই ধাক্কা হঠাৎ আকাশ থেকে এসে পড়েছে,“ বিবিসিকে বলেন ফরাসী দৈনিক ল্য ফিগারোর পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশ্লেষক রেঁনো জিরার্ড।
তিনি আরও বলেন, “অ্যাঙ্গলো-স্যাক্সনদের (পশ্চিমা ইংরেজি ভাষাভাষী জাতি) জন্য ম্যাক্রঁ অনেক কিছু করেছেন। আফগানিস্তানে আমেরিকানদের সাহায্য করেছেন। ব্রিটিশদের সাথে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সবসময় তাদের বলেছেন দেখ আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তোমাদের সত্যিকারের মিত্র।’
রেঁনো জিরার্ড বলেন, “শুধু বাইডেনের সাথেই যে তিনি রয়েছেন তা নয়, এমনকি ট্রাম্পের সাথেও ছিলেন। এই সব কিছু করার পর এটাই তার প্রাপ্তি। কোনও পুরস্কার নেই। তারা ফ্রান্সের সাথে এমন আচরণ করলো যেন দেশটি একটি বিশ্বস্ত কুকুর।’
পররাষ্ট্রবিষয়ক এই বিশ্লেষক যে কথা বলেছেন, ফরাসী রাজনীতিকদের অনেকের কণ্ঠে এই ভাষাই শোনা যাচ্ছে।
ইউরোপের জন্য একটি ‘সতর্ক সঙ্কেত’
প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রান্স এখন করবে কী? দ্য গল ১৯৬৬ সালে নেটোতে ফ্রান্সের অংশগ্রহণ স্থগিত করেছিলেন। ২০০৯ সালে নিকোলাস সারকোজি ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত বদলান।
তাহলে ইমানুয়েল্য ম্যাক্রঁ কি এখন নেটো জোটে ফ্রান্সের ভূমিকা পূনর্বিবেচনা করবেন? এখনও তার কোনো ইঙ্গিত নেই, কিন্তু একথা সত্যি যে দুই বছর আগে ম্যাক্রই মন্তব্য করেছিলেন যে নেটো জোটের “মস্তিস্ক এখন মৃত’।
হিউ শোফিল্ড বলছেন, ফ্রান্সের সামনে আরেকটি অপ্রিয় সত্য হলো, আন্তর্জাতিক যে উচ্চাভিলাষ তাদের রয়েছে তা পূরণের সুনির্দিষ্ট কোন পথ এখনও তাদের সামনে নেই।
“গত সপ্তাহের ঘটনাবলীর যে শিক্ষা তা হলো, ভূরাজনৈতিক কৌশলগত বিষয়ে জোরালো তেমন কোন ভূমিকা রাখার মত শক্তি ফ্রান্স নয়। ফরাসী নৌবাহিনীতে এখন জাহাজের যে সংখ্যা, চীন প্রতি চার বছরে সেই সংখ্যার জাহাজ তাদের নৌবাহিনীতে যোগ করছে।’
আর সেই চাপেই হয়তো অস্ট্রেলিয়া উপায়ন্তর না দেখে ফ্রান্সের মত মাঝারি শক্তিধর দেশকে অবজ্ঞা করে বড় একটি পরাশক্তির হাত ধরার চেষ্টা করেছে।
ফ্রান্স হয়তো এখন আবারও আমেরিকার ওপর নির্ভরতার কথা ভুলে স্বতন্ত্র একটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা কৌশল হাতে নেয়ার কথা শুরু করবে। তারা বলবে, ইউরোপের সেই প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে।
বিকল্প কী ফ্রান্সের?
তাহলে ফ্রান্সের সামনে বিকল্প এখন কী? কী করতে পারে ফ্রান্স এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা? হিউ শোফিল্ড মনে করেন, বাস্তবতা মেনে নিতে হবে ফ্রান্সকে।
“আপাতত তারা হয়তো ইউরোপে একটি জোট তৈরির চেষ্টা করবে। বিংশ শতাব্দীর জটিল মনস্তত্ব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা জার্মানিকে রাজি করানোর চেষ্টা করবে। জার্মানিকে তারা বলবে, সত্যিকারের একটি শক্তিধর দেশের মত আচরণ করতে, ভূমিকা রাখতে।’
তবে সামরিক শক্তি অর্জনে কতদূর তারা এগুবে কিংবা নেটোর বাইরে গিয়ে ইউরোপে একটি সামরিক জোট তৈরি করা-এসব বিষয় নিয়ে জার্মানি এখনও দ্বিধাগ্রস্ত। সুত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। সেই আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
চুক্তি
ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল
রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। শুক্রবার
(১০ মে) এক প্রতিবেদনে
এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা
রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
গাজার
সবচেয়ে বড় শহুরে এলাকা
রাফা। রাফা শহরের সাবরা
এলাকায় দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি
বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ
অন্তত ১২ জন নিহত
হয়েছেন।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস যোদ্ধারা রাফাতে লুকিয়ে আছে। মূলত ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে লাখ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।
মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘(প্রেসিডেন্ট বাইডেনের) দৃষ্টিতে রাফাতে কোনও ধরনের আঘাত করা ইসরায়েলের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে না।
কিরবি
বলেন, ইসরায়েলের মাধ্যমে হামাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে
এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি
থাকায় সেখানে অভিযান চালানোর চেয়ে গোষ্ঠীর নেতৃত্বের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করার জন্য
আরও ভালো বিকল্প পন্থা
রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে। সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
অস্তিত্ব
রক্ষায় ইরান পারমাণবিক নীতি
পরিবর্তন করতে পারে। দেশটি
ঝুঁকতে পারে পরমাণু অস্ত্র
বানানোর দিকে। ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি
খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি এ কথা জানিয়েছেন।
ইরানের
স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি
জানান, তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও
সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক
মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের
কোনও উপায় থাকবে না।
খামেনির
উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন,
ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে
সক্ষম। তবে বোমা তৈরি
করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত
এখনও নেয়নি।
গত
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল
নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক
দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই
দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি
একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।
মন্তব্য করুন
ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী।
বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।
এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।
পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
ক্ষেপণাস্ত্র ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী।