নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর। জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন। শেখ হাসিনা কোন রাজকন্যা নন। রূপকথার মতো এলাম, দেখলাম জয় করলাম নেই তার জীবনে। সোনার কাঠি, রূপার কাঠির ছোঁয়ায় তার কোন কিছুই অর্জন না। তার সব অর্জন ত্যাগে, রীতিমতো যুদ্ধ করে। যুদ্ধে যুদ্ধেই পেরিয়ে গেল শেখ হাসিনার ৭৫ বছর। জন্মের সময় পিতা পাশে ছিলেন না। ভূমিষ্ঠ হবার ১০ দিন পর পান পিতার সান্নিধ্য। তার শিশুকাল কেটেছে পিতার মুখের অপেক্ষায়। পিতা জেলেই থাকতেন বেশীটা সময়। যে বয়সে শিশুরা পিতার কাছে নানা বায়না ধরে সে বিষয়ে পিতাকে পাওয়াই যেন তার বড় সুখ। ১৯৬৭ তে যখন তার বিয়ে হয় তখনও তার পিতা জেলে। জেলে স্বামীর সংগে গিয়ে পিতার দোয়া নেন। প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় যখন ভূমিষ্ঠ হয় তখন দেশে যুদ্ধ। শেখ হাসিনা বন্ধী। সেই বন্ধী দশা থেকে ঢাকা মেডিকেলে কোন রকম আড়ম্বর ছাড়াই জন্ম নেয় বড় ছেলে জয়। সেটিও এক যুদ্ধের মধ্যেই যুদ্ধ তারপর ৭৫ এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনাকে একলা করে দিলো। একমাত্র ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়া কেউই রইলো না। সন্তান দুটো ছোট। এর মধ্যেই দেশকে মুক্ত করার এক অসম্ভবকে সম্ভব করার যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে ফিরলেন প্রিয় স্বদেশে। বলে রাখা দরকার ৭৫ এর নারকীয় ঘটনার সময় দূরদেশ জার্মানিতে ছিলেন জন্যই তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর বহুবার তিনি বেঁচেছেন অলৌকিক ভাবেই। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে এদেশের মানুষের সেবা করার জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। ৮১র পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ বার তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এও যেন এক নিরন্তর যুদ্ধ।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এপর্যন্ত যুদ্ধেই কাটছে তার জীবন।
কখনো অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে যুদ্ধ।
কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে আগলে রাখার জন্য।
যুদ্ধাপরাধী এবং ৭১ এর খাতকদের বিরুদ্ধে লড়াই।
৭৫ এর খুনিদের বিচারের জন্য লড়াই।
ছদ্মবেশী, মুখোশ পরা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই।
অসতের সাথে সত্য প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।
অন্যায়ের প্রতিবাদে ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
যুদ্ধ লড়াই সংগ্রামেই কাটলো তার জীবন। যুদ্ধটা এখনো শেষ হয়নি। এখন চলছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুদ্ধ। ৭৫ বছরে কটা দিন তার ভাবনাহীন, অখণ্ড অবসরে কেটেছে? ৭৫ বছরে ক ঘণ্টা তিনি নিশ্চিন্তে নিজের জন্য ভেবেছেন?
জন্মদিনের আগে এ প্রশ্নটাই সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে।
একটা মানুষ কি করে এতো ভার নিতে পারে?
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’।
আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা।