ইনসাইড গ্রাউন্ড

সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফাইনালে কলকাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে সাত উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স । শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছয় মেরে কলকাতাকে ফাইনালে উঠিয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠি। 

লিগপর্বে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে ছিলো দিল্লি ক্যাপিট্যালস। ফলে ফাইনালে ওঠার জন্য প্লে-অফ পর্বে তাদের সামনে ছিলো দুইটি সুযোগ। কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারলো না তারা। ঠিক বিপরীত অবস্থা থেকে জোড়া বাধা পেরিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে সাকিব আল হাসানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দিল্লিকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর দিল্লিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট পেয়েছে কলকাতা। প্রথমে চেন্নাই সুপার কিংস ও পরে কলকতা- আসরের দুইটি কোয়ালিফায়ার ম্যাচেই হেরে তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলো গত আসরের রানার্সআপ দিল্লি।

প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে আগেই ফাইনালে যাওয়া চেন্নাই ও কলকাতার মধ্যে হবে এবারের শিরোপার লড়াই। দুই দল এর আগে ২০১২ সালেও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো। সেই ম্যাচ জিতে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো কলকাতা।

এবার তৃতীয় শিরোপার সন্ধানে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের বিপক্ষে খেলবেন ইয়ন মরগ্যানরা। এর আগে দুইবার (২০১২ ও ২০১৪) ফাইনাল খেলে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা। অন্যদিকে নবম ফাইনালের অপেক্ষায় থাকা চেন্নাই আগের আট ফাইনালের ম্যাচে হেরেছে পাঁচটিতে।

বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩৫ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। জবাবে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পরেও ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে যেতে হয়েছে কলকাতাকে। শেষপর্যন্ত রাহুল ত্রিপাঠির ছয়ের মারে এক বল আগে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা, পেয়ে যায় ফাইনালের টিকিট।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মনে হচ্ছিলো, পুরো ১০ উইকেটেই জিতবে তারা। কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে সাজঘরে ফিরে যান আইয়ার।

আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪১ বলে ৫৫ রান করেন আইয়ার। পরে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিন নম্বরে নামা নিতিশ রানা। অ্যানরিখ নর্তজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২ বলে ১৩ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

রানা ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার শুভমান গিল। একপ্রান্ত ধরে রাখা ইনিংসে তিনি ৪৬ বল থেকে করেন ঠিক ৪৬ রান। কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৫ রান। অল্প সময়ের মধ্যে তিন উইকেট হারালেও, জয় ছিলো দৃষ্টিসীমানায়।

কিন্তু ১৮তম ওভারে মাত্র এক রান খরচ করে দীনেশ কার্তিককে বোল্ড করে দেন রাবাদা। ফলে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা আর জয়ের সমীকরণ হয় ১২ বলে ১০ রানের। ইনিংসের ১৯তম ও নর্তজের শেষ ওভারে সাজঘরে ফিরে যান কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান, রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

নর্তজের সেই ওভারে আসে মাত্র ৩ রান। ফলে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় সাত রানের। উইকেটে তখন রাহুল ত্রিপাঠি ও সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন ত্রিপাঠি কিন্তু পরের বল ডট খেলে বসেন সাকিব। আগের ম্যাচে স্কুপ মেরে বাউন্ডারি হাঁকানোয় এই ম্যাচেও তা চেষ্টা করেন তিনি।

কিন্তু অশ্বিনের ওভারের তৃতীয় বলটিতে স্কুপ শট ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। বল আঘাত হানে প্যাডে, সহজ সিদ্ধান্তে লেগ বিফোরের আঙুল তোলেন আম্পায়ার। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। তখনই কলকাতার জন্য কঠিন হয় ম্যাচটি।

শেষ দুই বলে জিততে প্রয়োজন ছয় রান। নারিন আউট হওয়ার সময় ব্যাটাররা নিজেদের ক্রস করায় স্ট্রাইক পান ত্রিপাঠি। তিনি অশ্বিনের শর্ট লেন্থের বলটি সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকান ছক্কা। যার ফলে সহজ ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ই পায় কলকাতা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুটা ওত খারাপ ছিল না। পৃথ্বি শ বরাবরের মতো চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, ২৪ বলে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে।

১২ বলে ১৮ করা পৃথ্বিকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটিটি ভাঙেন বরুণ চক্রবর্তী। এরপরই রানের গতি কমে যায় দিল্লির। ২৩ বলে মাত্র ১৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মার্কাস স্টয়নিস।

শিখর ধাওয়ান উইকেটে টিকতে গিয়ে ৩৯ বল খেলে করেন ৩৬। এরপর রিশাভ পান্তও (৬) ফিরে গেলে চাপে পড়ে দিল্লি। বরুণের ঘূর্ণিতে সিমরন হেটমায়ারও ক্যাচ তুলে ফিরছিলেন, কিন্তু নো-বলে জীবন পেয়ে যান ক্যারিবীয় ব্যাটার।

যদিও বেশিদূর যেতে পারেননি হেটমায়ার। ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়াস আয়ারের ২৭ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৩৫ তুলেছে দিল্লি।

৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন বরুন চক্রবর্তী। সমান ওভারে ২৮ রান দিয়ে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অফফর্মের পরও বিশ্বকাপ দলে লিটন, কারণে যা বললেন লিপু

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঝে অবশ্য দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। অনেকেরেই ধারণা ছিল, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়বেন লিটন। তবে সবাইকে অবাক করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন লিটন দাস। সেটিও আবার ১৫ সদস্যের দলে।

চলতি বছর টি-২০ ফরম্যাটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান, গড় ১৩! আর লিটনের অফফর্মের পরও তিনি বিশ্বকাপের দলে কীভাবে ঠাই পেলেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। যদিও দল ঘোষণার সময় লিটনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

তিনি বলেন, ‘লিটনকে তৃতীয় (মূলত চতুর্থ) ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ সেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। সেজন্য ঐ বিশেষ ম্যাচের জন্য আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

লিটনকে ফর্মে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান লিপু। তবে তার বিকল্প হিসেবে আলোচনায় এসেছিল এনামুল হক বিজয়ের নামও, ‘এক্ষেত্রে আবার আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তো বলা যায় না। তবে বল বাছাই ও শট খেলার দিক থেকে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য কোচরা কাজ করছেন।’

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকেই লিটন দলে থাকলেও, উইকেটকিপিংয়ে তার বিকল্প খুঁজতে চেয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পুরো সিরিজে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন জাকের আলী অনিক।

তবে এই ভূমিকায় জাকেরের পারফরম্যান্স হয়তো আশা জাগাতে পারেনি বিসিবিকে। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে তার হাত থেকে, এমনকি বল ক্যারি করতেও জাকেরকে নড়বড়ে দেখা গেছে। মনে হচ্ছিল বল ঠিক গ্লাভসে থাকছে না। আর এ কারণেই লিটনের হাতেই কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়তে হচ্ছে জাকেরকে!


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু   লিটন দাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বাংলাদেশ সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনালে খেলবে’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেই ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগমুহুর্তে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘এবার নয় বরং আগামী ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের ভাবনা।’ বিসিবি সভাপতির সেই ভাবনার বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কিছুদিন পরই মাঠে গড়াবে খেলা। যেখানে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই টাইগাররা সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণও করেছে।

তবে যখন দলের প্রতি আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বসে আসে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে পুরো দেশ, তখন প্রধান নির্বাচকের কথায় ভিন্ন সুর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ টি-২০তে সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনাল নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবে। আর দলের প্রধান নির্বাচক যখন এমন কথা বলছেন তখন এটা ধরে নেওয়াই যায় যে দল কতদূর যেতে পারবে।

যদিও প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন যে, ‘আমরা আশা করি প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেন খেলতে পারি। তখন আবার প্রচেষ্টা থাকবে পরের ধাপে যাওয়ার।’

তবে প্রধান নির্বাচকের এই ধরনের কথার সুরে ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ, প্রত্যাশা খুব বেশি রাখার দরকার নেই।’ অর্থাৎ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আশার বেলুন চুপসে দিতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতিও।

আর প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়কের এমন কথার পর টাইগারদের পারফরম্যান্সসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করেন যে, আবারও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার আভাস পূর্বেই দিয়ে যাচ্ছেন তারা।


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই সাইফউদ্দিন, জানালেন প্রধান নির্বাচক

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই দলে বেশ কিছু চমক থাকলেও স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার পরিবর্তে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

মঙ্গলবার দুপুরে সোয়া ১টার দিকে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছেন তাসকিন আহমেদকে।

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছে বিসিবি। তবে বিপিএল মাতিয়ে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে পারফর্ম করা সাইফউদ্দিনকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। আর এই বিষয়টিই সম্ভবত আলোচনার জায়গা দখল করতে চলেছে।

এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে–প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবকে আমরা শ্রীলংকা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’

শুধু ১৫ সদস্যের দলেই নয়, ট্রাভেলিং রিজার্ভেও নাম নেই সাইফউদ্দিনের। গত ৩০ এপ্রিলই আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। সেই দলে কেবল একটি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক লিপু। আর তা হচ্ছে সাইফউদ্দিনের বাদ পড়াটা। এর বাইরে বাকি ১৪ জনের জায়গা ঠিক রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল: সম্প্রতি পারফরম্যান্সে কতটা এগিয়ে?

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগামী ২ জুন থেকে মাঠে গড়াবে খেলা। যার জন্য ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে আয়োজক দেশগুলোতে। শুধু তাই নয়, ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও।

প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হলেও এবারের আসরের চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন প্রতিটা দলের জন্যই। কারণ এবার বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কিছু ভিন্নরূপে।

প্রতিবার ১০টি দলের সমন্বয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। শুধু তাই নয়, এবার খেলার সমীকরণটাও বদলেছে। কারণ এবার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবেলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ।

ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল ১৮টি দল। বাকি ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণা করা। তবে আজ (মঙ্গলবার) বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দুপুর সোয়া ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দল ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। কারণ টানা অফ ফর্মে থাকা লিটন দাসকেও নেওয়া হয়েছে দলে। এছাড়া বিপিএলে আলো ছড়ানো এবং সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন আহমেদ বাদ পড়েছেন বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকেও রাখা হয়নি স্কোয়াডে।

আর মূলত এসকল কারণেই শুরু হয়েছে কঠোর সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের এই দল বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের সাথে দলের যে পারফরম্যান্স সেটির পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কোনভাবে প্রথম রাউন্ড পার করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

কারণ, বিশ্বকাপের যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন মুখ রয়েছে যারা এর পূর্বে কোন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। এছাড়াও টপ অর্ডার ব্যাটারদের সম্প্রতি যে পারফরম্যান্স তা নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের মনে সন্দেহপ্রবণতা যেন আরও তীব্র হয়েছে।

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে টাইগারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে দেখা যায়, টপ অর্ডারে একমাত্র তানজিদ তামিম ছাড়া কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পুরো সিরিজে দুই একজন ব্যাটার ছাড়া কারো স্ট্রাইক রেট ১৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে এমন স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাংলাদেশ কতদূর এগোতে পারবে সেটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া তাসকিনের ইনজুরিও বড় একটা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে। তাসকিন দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে উড়াল দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ সেখানে খেলতে পারবেন না তাসকিন। এছাড়া মূল পর্বে টাইগারদের প্রথম যে ম্যাচ সেটিতেও তাসকিন থাকবেন কি না সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে। আর তাসকিনের এই ইনজুরি টাইগারদের কতটা ভোগাবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এই স্কোয়াড নিয়ে কেমন করবে টাইগাররা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল  হোসেন শান্ত। আর চোটে পড়া তাসকিন আহমেদকে নিয়েই বিশ্বকাপের বিমানে চড়বে টিম টাইগার্স। তবে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে সদ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

চমক হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তানভীর ইসলাম, জাকের আলী অনিক ও রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকলেও লিটন দাসের ওপর আস্থা রেখেছে বোর্ড।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।

রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন