ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনো থামছে না ইয়েমেনের মৃত্যুযজ্ঞ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে প্রায় ছয় বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। গৃহযুদ্ধে দেশটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুদিনেই সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের একাধিক বিমান হামলায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির অন্তত ৪০০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর আগে গত কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন ইয়েমেনে দিনের পর দিন ধরে চলছে এই যুদ্ধ? আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোই বা কেন উচ্চবাচ্য করছে না? 

ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে। ২০১১ সালে প্রবল বিক্ষোভের মুখে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেকগুলো সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। আগের প্রেসিডেন্টের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আনুগত্য ছিল বিব্রতকর। দুর্নীতি, খাদ্যাভাব ও বেকারত্বের উচ্চ হারের মতো বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে ইয়েমেন। 

এরই মধ্যে শিয়া ধর্মাবলম্বী হুতিরা নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করে। নতুন প্রেসিডেন্ট হাদির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশ এবং এর আশপাশের এলাকা দখল করে নেয় হুতিরা। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে হাদি দেশের বাইরে পালিয়ে যান। কিন্তু হাদিকে ফের ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স।

২০১৫ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ শুরু করে। আবদ রাব্বু মনসুর হাদির সমর্থনে এই বিমান হামলা শুরু হয়। নির্বাসনে থেকেই ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হাদি এই অভিযানে সমর্থন দেন। হুতি বিদ্রোহীদের ইরান সমর্থন দিচ্ছে বলে বিশ্বাস করে সৌদি আরব। কারণ ইরান ও হুতি বিদ্রোহী দুই পক্ষই শিয়া ধর্মাবলম্বী। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে সৌদিকে। কারণ ইরান, রাশিয়া ও চীনকে মধ্যপ্রাচ্যে ঠেকাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। মনে করা হয়, ইয়েমেনের যুদ্ধের আড়ালে আদতে লড়াই চলছে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে। ওদিকে সৌদি আরব ও ইরানের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো পরাশক্তিরা।

ইয়েমেনে চলা গৃহযুদ্ধ আরব বিশ্বে অস্থিরতার অন্যতম প্রধান কারণ। দেশটিতে চলা সংঘাত-সহিংসতার কারণে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এখান থেকেই পশ্চিমা বিশ্বে হামলা চালানোর নীল নকশা হচ্ছে। তাই ইয়েমেনের যুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এছাড়াও দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের সংকট নিয়ে হেভিওয়েট রাষ্ট্রগুলোর আকৃষ্ট হওয়ার মূল কারণ হল এডেন উপসাগর। লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের মাঝখানে দেশটির অবস্থান। এই নৌপথ দিয়েই বিশ্বের সিংহভাগ তেলবাহী জাহাজ চলাচল করে। তাই ইয়েমেন যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তার পক্ষে তেলসম্পদের ওপর খবরদারি করাও সহজ হবে। ঠিক এই কৌশলগত কারণেই ইয়েমেন সবার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইয়েমেন সংকটের আরেকটি অলিখিত কারণ হলো ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের অংশগ্রহণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। সৌদি আরব হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা। তাছাড়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আধিপত্যবাদ আবর্তিত হয় সৌদি আরবকে কেন্দ্র করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবকও সৌদি আরব। ফলে, নিজেদের আধিপত্যবাদ বজায় রাখতেই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের দিকে ঝুঁকেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

যেকোনো সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো। ইয়েমেনে চলা বর্তমান সংকটকে জাতিসংঘ আখ্যায়িত করেছে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে। হাজারো বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু, শিশুদের চরম অপুষ্টিতে ভোগা, আর জীবনধারণের মৌলিক প্রয়োজনগুলোর সংকটে ইয়েমেনিদের জন্য প্রয়োজন ছিল সংকট সমাধানে বৈশ্বিক উদ্যোগ। তবে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ যতদিন সবগুলো পক্ষকে লাভবান করবে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ততদিন পর্যন্ত সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: ভোট দিলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে মদ

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে। 

ভারতে ভোটাভুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেলও এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় কর্ণটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে তেমন একটা আসেন না।

তবে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেজন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিসি রাও সংবাদমাধ্যম বেঙ্গালুরু মিররকে বলেছেন, 'ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা দেবে। কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি দেওয়া হবে, কোথাও দোসা দেওয়া হবে। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।'

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি  অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। তবে এসব সেবা পেতে হলে ভোট দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ কালো মার্ক দেখাতে হবে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরুর মধ্যাঞ্চলে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। উত্তর ব্যাঙ্গালুরুতে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৭। যেখানে পুরো দেশে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৮ শতাংশ।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   মদ   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-শশীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর, বিদায়ি সংসদের স্পিকার ওম বিড়লাসহ ভারতের একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমামালিনীর মতো গ্ল্যামার দুনিয়ার মহিরুহ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন অ্যানি রাজা, নবনীত রানা, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।   

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসনে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। 

দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে রাজ্যের উত্তরাংশের পাহাড়প্রধান এলাকা দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। 

দ্বিতীয় দফায় ভারতের যে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। সেগুলো হলো- ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনে পুরো রাজ্যে ৬০ থেকে ৭৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারু-এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৭৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের চা-বাগানপ্রধান এলাকা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, এই নারীরা সবাই তার দলকেই ভোট দিয়েছেন। 

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। চলবে প্রায় দুই মাস। ভোটপর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে। ওইদিন জানা যাবে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে, না রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই-এর অ্যানি রাজা এবং এনডিএ-এর কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী-বর্তমান সংসদ-সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদায়ি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংসদ-সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে রাজীব চন্দ্রশেখর এবং বামপন্থি পানিয়ান রবীন্দ্রনকে।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো সামরিক মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ ও চীনের সেনাবাহিনী। আগামী মে মাসে যৌথ এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যৌথ সামরিক এই মহড়ার দিকে ভারত নজর রেখেছে। 

চীনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যাবে। 

বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, প্রতিবেশী দেশ কিংবা অন্যত্র এ ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় দৃষ্টি রেখে চলে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সম্ভাব্য মহড়ার খবর নিয়ে মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।'

সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলির খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তার ও ব্যবহারিক আদান-প্রদান বাড়াতে চীন এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মে মাসে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। সে জন্য পিএলএ'র একটা দল প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে পাঠাবে।

গণমাধ্যমে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও শান্তি স্থাপনের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তারই ভিত্তিতে ওই প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হবে।


বাংলাদেশ   চীন   সামরিক মহড়া   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভেনিস শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোন শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি। ভেনিস এখন পৃথিবীর একমাত্র শহর, যেখানে ঢুকতে টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ টিকিট কিনতে হয়। মূলত, ভেনিস শহরে পর্যটকদের লাগাম টানতে ৫ ইউরোর প্রবেশ ফি চালু করলো ইতালি। 

ইতালির পর্যটন শহর ভেনিস ১৬০০ বছরের পুরনো সাগরে ভাসমান। দুই দশক ধরে শহরটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটক হুহু করে বাড়ছে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় তিন কোটিরও বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে ভেনিসে। এতো মানুষের চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

এবার চাপ কমাতে ভেনিসে ২৫ জনের বেশি পর্যটকবাহী জাহাজ প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। আর ২৫ এপ্রিল দেশটির ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে ভেনিস নগর কর্তৃপক্ষ চালু করে ৫ ইউরোর প্রবেশ ফি।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা বিচলিত ভেনিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কারণ ছোট্ট এই শহরটিতে রয়েছে তিনশর বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

ভেনিস প্রবেশে ট্যাক্সের আওতা মুক্ত থাকবেন স্থানীয় বাসিন্দা, নগরে কর্মজীবী মানুষ, ছাত্রছাত্রী ও ১৪ বছরের নিচের শিশুরা। বাইরে থেকে আসা দেশি কিংবা বিদেশি পর্যটক বা দৈনন্দিন ভ্রমণকারী কেউ যদি এই প্রবেশ ফি পরিশোধ না করেন, তবে ৫০ থেকে ৩০০ ইউরো জরিমানার বিধান রেখেছে সংশ্লিষ্টরা।

দৃষ্টিনন্দন অপরূপ সৌন্দর্যের শহর ভেনিস। হাজার বছর ধরে স্বাধীন ঐতিহ্যবাহী রিপাবলিক ভেনিস, এখন ইতালি তথা বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর। তাই বিধি নিষেধ, কিংবা সামান্য ৫ ইউরোর ট্যাক্সের জন্য প্রকৃত পর্যটকের কাছে ভেনিস তার আবেদন কখনো হারাবে না।


ভেনিস   পর্যটক   টিকিট   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, 'দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'

এছাড়াও, বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। 


তানজানিয়া   বন্যা   -ভূমিধস   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন