নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২১ অক্টোবর, ২০২১
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজে) ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামে ওই সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার কথা ঘোষণা করেছে। আগামী মাসে ‘আমন্ত্রিত অতিথিদের’ জন্য এর বেটা সংস্করণ চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) নিজস্ব সামাজিক নেটওয়ার্ক চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।
ট্রাম্প বলেছেন, বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য কমাতেই তিনি টিএমটিজে ও ট্রুথ সোশ্যাল চালু করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘টুইটারে তালেবানের বড় অংশের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আপনাদের পছন্দের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নীরব। এটা অগ্রহণযোগ্য।’
টিএমটিজে সাবস্ক্রিপশন ভিডিও চালুরও পরিকল্পনা করেছে। এতে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান থাকবে।
টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে বাতিল করার পর ট্রাম্প এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেন। গত মে মাসে তিনি ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামে একটি ব্লগ চালু করেন। অবশ্য এক মাস পর ইন্টারনেট থেকে তিনি এটি সরিয়েও নেন।
ট্রাম্পের সাবেক কর্মকর্তা জ্যাসন মিলার এ বছরের শুরুতে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক চালু করেন। তবে ট্রাম্প সেখানে যোগ দেননি।
উল্লেখ্য গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন