নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, নিশ্চয়ই এটার পেছনে কেউ আছে। কারণ, ও একা করছে এটা মনে করার কোন কারণ নাই, ওকে ব্যবহার করেছে। ওর মাও বলেছে ও অপ্রকৃতস্থ। মায়ের কথা বিশ্বাস করতে হয়। আমরা যদি মায়ের কথা বিশ্বাস করি তাহলে ওর পেছনে এ ধরণের কাজ যারা করায় যাকে ইউজ (ব্যবহার) করতে পারে টাকা দিয়ে হোক বা যেভাবে হোক। বলেছে সে নেশাগ্রস্থ মানুষ। সে নেশাও করে এবং যারা নেশা করে ওরা অনেক সময় বাড়ির টিনের চালাও বিক্রি করে দেয়। তো এ ধরণের কাজ ওদেরকে দিয়ে করানো সম্ভব।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, কিন্তু ওরা ছিল সামনে, আসলে পিছনের লোক কে এটা বের করতে হবে। আসলে এ ধরণের ঘটনা এক পক্ষ ঘটায় এবং সে পক্ষের পেছনে একটা বড় পক্ষ থাকে। সেটাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যায়গায় আরও বড় পক্ষরা যেমন হাজীগঞ্জে হয়ছে এবং সেখানে পলিটিক্যাল পার্টি জামায়াত সংযুক্ত হয়েছে। সুতরাং এখন আমাদের সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এর পিছনে আসলে কে ছিল, কারা ছিল সেটা খুঁজে বের করা। শেখ হাসিনাকে সরানো, সেটা বিরোধি দল যারা আছে তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। বর্তমান সময়ে তারা নেতৃত্বশূন্য। কারণ তাদের নেতা একজন জেলে একজন পলাতক। দেশে একটা অশান্তি সৃষ্টি করতে হবে, এটাই হচ্ছে ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত হচ্ছে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র। বাঙ্গালী যখন কোন আন্দোলন করতো তখন পাকিস্তানে একটা স্লোগান ছিল, ইসলাম খাতরে মে হ্যা। ইসলাম এখন খুব কঠিন অবস্থায় আছে। বিপদগ্রস্থ আছে। একই জিনিস এখনও হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে কোরআন অবমাননা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা।
এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ক্ষেত্রে কি ধরণের দুর্বলতা কাজ করেছে প্রশ্নে তিনি বলেন, দুর্বলতা হয়েছে প্রশাসনে। প্রশাসনে ইদানিংকালে, গত কয়েক বছরে এমনসব লোক প্রবেশ করেছে, যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সঠিক না, অর্থাৎ সরকারের পক্ষে না। ওরা সরকারকে ডিস্টেবলাইজ পরিস্থিতি থেকে উৎরাতে যে ধরণের পদক্ষেপ নিতে হয়, তারা সে ধরণের পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে। এটা স্থানীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এটি কুমিল্লাতেও হয়েছে, বেগমগঞ্জেও হয়েছে, এমনকি হাজীগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় প্রতিনিধি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামেনি। এ দলের তো জনবলের অভাব নেই। তারপরও কেন তারা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়নি? আমি চট্টগ্রামের ছেলে। যখন বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল তখন আমার বাড়ির ধারে কাছে সব মন্দির বিশেষ করে কৃষ্ণমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, আমার পাড়ার কালী মন্দির- এসব জায়গায় আমরা রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছি। আমরা তো কোনো দল করিনি। কিন্তু যুবকরা, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ সবাই ছিল। রাত জেগে সেগুলো পাহারা দেওয়া হয়েছে। এখন তো প্রত্যেকটি দলেই কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে তবুও এখন কেন সেটা হয় না?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।