ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারে সর্বোচ্চ সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার অসুস্থতাকে একপ্রকার পুঁজি করেই রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করছে বিএনপি। যার ফলশ্রুতিতে দেশে একপ্রকার অরাজকতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা আশঙ্কা করছে কয়েক লাখ লোক জড়ো করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকার রাজপথ দখলে রাখতে পারে এবং সহিংসতা মূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে।

বিএনপি বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে দলের নেতা কর্মীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতান্ডকর্মীদের ঢাকায় জড়ো করার পরিকল্পনা করেছে দলটি।

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ করে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটর করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন দিয়ে কিছু সুপারিশও করেছে। সেই সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন, বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণে স্বনামধন্য আইনজীবীদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন, বিএনপির ঢাকাসহ দেশের সব কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার এবং রাজধানীতে প্রবেশে কড়াকড়ি ও আবাসিক হোটেল-মেসে পুলিশি রেইড চালানোসহ এক ডজন সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। ঢাকায় কর্মরত যেসব পুলিশ কর্মকর্তা ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে ঢাকার বাইরে ছিলেন, কর্মস্থলে তাদের যোগ দিতে বলা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনের ১২ দফা সুপারিশ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ২১ নভেম্বর দেওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আটটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে ১২টি সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে চারটি সুপারিশই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত। এগুলো হলো- খালেদা জিয়াকে আইনানুগভাবে চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ রয়েছে কি না তা বিচার-বিশ্লেষণ করতে দেশের স্বনামধন্য আইনজীবীদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা যেতে পারে। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা যেতে পারে। এমনকি বিশেষ প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের বাইরে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা, গৃহীত পদক্ষেপ এবং আইনি ব্যাখ্যা ও বাধ্যবাধকতা সবার মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

বাকি সুপারিশগুলো হলো- খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সংক্রান্ত। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিএনপি যে কোনো ধরনের নাশকতা চালাতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর সব ধরনের অপচেষ্টা রোধ করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার অজুহাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা মহানগরীতে উচ্ছৃঙ্খল জনতার আগমন ও সমাবেশ ঘটতে না পারে। বাইরে থেকে ঢাকামুখী যানবাহনগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকেন্দ্রিক আন্দোলনে বাইরের জেলাগুলো থেকে লোকজন ঢাকামুখী হতে না পারে। পুলিশের টহল, চেকপোস্ট ও তল্লাশি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া সন্দিগ্ধ ব্যক্তি ও মোটরসাইকেলসহ সন্দেহজনক যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করতে হবে। রাজধানীর আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, নির্মাণাধীন ভবনসহ বিভিন্ন মেসে যাতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতান্ডকর্মীরা অবস্থান করতে না পারে, সে জন্য পুলিশি রেইড চালানো যেতে পারে। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব বিএনপির কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। কর্তব্য পালনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। আগাম গোয়েন্দাতথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে, যাতে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি রোধ করা যায়।

পর্যবেক্ষণে যা বলা হয়েছে : খালেদা জিয়া বর্তমানে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তিনি সরকারে দেওয়া শর্তাধীন জামিনে থেকে চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। কিন্তু তার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করছে। তার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে দলের নেতান্ডকর্মীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় নেতান্ডকর্মীরা সেটিকে ইস্যু করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ষড়যন্ত্র করছেন। তার অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতান্ডকর্মীদের রাজধানীতে জড়ো করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গেছে। লক্ষাধিক নেতান্ডকর্মীকে জড়ো করে ঢাকার রাজপথে অবস্থান নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজপথ দখল করে রাখা এবং সহিংসতা ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে। খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করে তার মায়ের অসুস্থতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন এবং সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

খালেদা জিয়ার মৃত্যু-পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, তাঁর মৃত্যু, জানাজা ও দাফন ইত্যাদি কর্মকান্ডকে ঘিরে দলের বিশেষ রাজনৈতিক পরিকল্পনার ছক রয়েছে বলে তথ্য আছে। জানাজা শেষে নেতান্ডকর্মীরা রাজপথে বসে পড়তে পারেন এবং তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া মারা গেলে তার কবর চন্দ্রিমা উদ্যানে তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ফলে বিএনপি কর্তৃক চন্দ্রিমা উদ্যানকে দলীয় মাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সার্বক্ষণিক ব্যাপক লোকসমাগম ঘটানোর এবং সেটিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে সারা দেশে ব্যাপক মিছিল, শোভাযাত্রা, ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতান্ডকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের বাইরে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে আইনি বিধি-বিধানের অপব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষের সুহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণে বিদেশে যেতে ব্যক্তিগতভাবে ইচ্ছুক নয় মর্মে ইতিমধ্যে একাধিকবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বিএনপির নেতান্ডকর্মীরা শুধু সরকার-বিরোধিতার স্বার্থে তার অসুস্থতাকে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন