কালার ইনসাইড

মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail মিশন “স্ট্যান্টবাজি”

আজ আপনাদের একটি মিশনের গল্প শোনাব। যে গল্পটি রোলার কোস্টারের মতো গতিময়।

পাঠক!! তাহলে নিজ দায়িত্বে বেধে নিন আপনাদের সিটবেল্টগুলো। চলুন ভেতরে ঢোকা যাক একটি শ্বাসরুদ্ধ মিশনের।

কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বাংলা সিনেমার গ্রুপে একজনের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখেছিলাম। সেখানে তিনি মুক্তির দৌড়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী সিনেমার পোস্টারের একটি কোলাজ দিয়েছিলেন। যেখানে সাম্প্রতিককালের দুর্দান্ত পোস্টার ডিজাইনারদের বদৌলতে অসাধারণসব পোস্টারের কল্যাণে মনে হচ্ছিলো আহা এই বুঝি বদলে যেতে শুরু করলো আমাদের বাংলা সিনেমা। আমরা আবারো হয়তো ফিরে পাবো আমাদের হারানো সেই স্বর্ণযুগ। ততদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই সিনেমা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর “আয়নাবাজী”, দীপঙ্কর দীপনের “ঢাকা অ্যাটাক” আর রায়হান রাফীর “পোড়ামন ২” সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়াতে দর্শকেরাও খুব বেশি আশাবাদী হতে শুরু করেছিলো মুক্তি পেতে চলা সিনেমাগুলো নিয়ে। এরপরে আঘাত হানলো বৈশ্বিক মহামারী করোনা। বন্ধ হয়ে গেলো হলগুলো। ধুকতে থাকা ঢাকাই সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির অবস্থা চলে যেতে শুরু করলো আরো তলানির দিকে।

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠলো বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করলো প্রেক্ষাগৃহগুলো। করোনা ঝড় কিছুটা কাটিয়ে ঊনপঞ্চাশ বাতাস দিয়ে শুরু হয়ে একে একে মুক্তি পেতে শুরু করলো চন্দ্রাবতী কথা, নোনা জলের কাব্য, রেহানা মরিয়ম নূর, পদ্মাপুরানের মতো সিনেমাগুলো। কিন্তু তারপরেও কিছু একটা যেন জমছিলোনা। কারণ ঢাকাই সিনেমাতে অনেক রঙয়ের অনেক ঢঙয়ের গল্প বলা হলেও বাণিজ্যিক বা মাসালা সিনেমাই যে দর্শকদের হলমুখী করতে বড় একটা অবদান রাখে সেটি কারো অজানা না।

চলুন এবার মূলগল্পে ঢোকা যাক।

দীপঙ্কর দীপনের প্রথম সিনেমা “ঢাকা অ্যাটাকের” একদম শেষভাগে পর্দায় লেখা উঠেছিলো “ঢাকা অ্যাটাক এক্সট্রিম” আসছে। যদিও অজানা কারনে সেই সিনেমা আর আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু আগের সিনেমার কাহিনীকার সানী সানোয়ার ও প্রধান সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ এবার একসাথে বসলেন পরিচালকের সিটে। ঘোষণা এলো আরো একটি পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার যার নাম হবে “মিশন এক্সট্রিম”। প্রথমে দর্শক হিসাবে এটা বেশ ভালো লেগেছিলো, কারন আগের সিনেমা থেকে ঢাকা অ্যাটাক ফেলে মিশন শব্দটি যোগ করে হয়ে গেলো সিনেমার নাম। ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের সুপারস্টার আরেফিন শুভ থাকায় দর্শক উৎসাহী হয়ে উঠতে শুরু করলো, কারণ নাম যা ই হোক ঢাকা অ্যাটাকের কারনে আরেফিন শুভর উপরে এতোদিনে ভরসা এসেছে মানুষের যে শুভ আছে তাই ভালো কিছু সম্ভব।

করোনার কারনে কয়েকবার সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে গেলো। অবশেষে ঘোষণা এলো ডিসেম্বরের ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এবার বুঝি অপেক্ষার পালা শেষ হলো! এরমাঝে মিশন এক্সট্রিমের জন্য আরেফিন শুভর শরীর গঠনের ভিডিও সাড়া ফেলেছিলো বেশ। সিনেমা মুক্তির আগে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে নায়ক এলেন তার নির্মিতব্য সিনেমা বঙ্গবন্ধুর লুক নিয়ে। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বললেন “মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি অনেক পরিশ্রম করে করেছি। যেখানে একটি সিনেমা এক মাসে কাজ সম্পন্ন করা যায়, সেখানে আমরা ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেড় বছরেরও বেশি সময় নিয়ে কাজ করেছি”। তিনি আরো যুক্ত করলেন “মুখে বড় বড় কথা বলার চেয়ে, ‘আন্তর্জাতিক-আন্তর্জাতিক মুখ দিয়ে বলার থেকে একবার করে দেখালাম আন্তর্জাতিক মানে কি। সংজ্ঞা ও উদাহরণসহ”। নায়কের এই আকাশচুম্বী আত্মবিশ্বাস দেখে আশার পারদ তুঙ্গে নিয়ে দর্শকেরা অপেক্ষায় বসলো ৩ ডিসেম্বরের।

অবশেষে মুক্তি পেলো সিনেমাটি। সিনেমার এই দুর্দিনে আর দর্শক ক্ষরার এই সময়ে প্রথমেই ৫০টি হল পাওয়া যেন ছিলো গোটা টিমের জন্য ঈদের মতোই খুশীর উপলক্ষ্য। কারণ সাম্প্রতিককালে ঈদের সময়টাতেই ২০০ হল বিষয়ে সিনেমাপাড়ায় কথা শোনা যায়। 
তবে আসলে কেমন হলো এই বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি? কেমন হলো নায়ক আরেফিন শুভর দ্বিতীয় পুলিশ থ্রিলার অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল। নামেই বুঝাচ্ছিলো এটি একটি মিশনকে নিয়ে তৈরী গল্পের সিনেমা। হ্যা “মিশন এক্সট্রিম” সত্যিই একটি মিশনের গল্প, তবে গল্পের ভাজে ভাজে আপনি থাকবেন ধোঁয়াশায় পূর্ণ একটি মিশনের গল্পে। হতে পারে এটি একটি হতে চলা জঙ্গি গোষ্ঠীর জঙ্গি দল হয়ে ওঠার গল্পের মিশন। হতে পারে সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের পরিচালক হয়ে ওঠার মিশন, অথবা এমনও হতে পারে হারাতে বসা বাংলা সিনেমাকে খানিকটা অক্সিজেন দিয়ে আবার বাঁচিয়ে তোলার মিশন।

যদিওবা গল্পের ভাজে ভাজে এতোটাই অগোছালো আর বেক্ষাপ্পা চিত্রনাট্যের খেলা চলছিলো যে দর্শকমাত্রই মিশনের গল্পে চলতে থাকা বড় পর্দার বাম কোনায় কিছুক্ষন পর পর উঠতে থাকা “দিন ৩০০”, “দিন ৬৫” বা “দিন ৯৫” এর চক্করে পড়ে গল্পে মনোযোগ হারেতে হারাতে হিসাব মেলাতে পারেন। ঠিক যখন আপনার মনে হবে ধুর ছাই সময় বাড়ছে না কমছে অথবা আপনার মনে হবে সিনেমাটা হয়তো ৪ ঘন্টার তাই কেটে অর্ধেক করে দেয়াতে সামনের দৃশ্যেই হয়তো মিলে যাবে এই সংখ্যা সাংঘাতিকের হিসাব। না হিসাব মিলে না মধ্যবিরতিতেও। আপনার বিরক্তি কাটাতে ভরে দেওয়া হবে বাংলা সিনেমার সিগনেচার কল্পনার স্বপ্নে চলে যাবার গান। যদিও আরেফিন শুভ আর নায়িকা ঐশীর পরিচয় (একজন পুলিশ আরেকজন সাংবাদিক এই পরিচয় বাদে) নিয়ে কনফিউশনে পড়লেও পড়তে পারেন দর্শকেরা। কখনো মনে হবে তারা ছোটকালের খালাতো ভাইবোন, আবার মনে হবে পাশের ফ্ল্যাটের দুষ্টু মেয়েটা।

ওদিকে এ সময়ের দেশসেরা অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু হয়তো গল্প আর পরিচালকের কথায় বিদেশে বসে নায়কের ফোনের ইন্সট্রাকশনেই কাজ করছেন কিন্তু এই কাজের কোনো শেষ নেই। মুখ বুজে পর্দায় এলেন দেশসেরা আরেক অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম। পর্দায় এলেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা শামস সুমন। সেইসাথে এই সময়ের জনপ্রিয় হতে থাকা দ্বীপ, সুমিত, পরীক্ষিত অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু সহ নাটকের পরিচিত অনেক অনেক জনপ্রিয় মুখ। যারা এক একজন চাইলেই অভিনয়গুনে এক একটা সিনেমা টেনে নেবার যোগ্যতা হয়তো রাখতে শুরু করেছেন। ঠিক যেমন পর্দায় দর্শক দেখলো সৈয়দ নাজমুস সাকিবের অসাধারণ অভিনয়। গল্পে এতো এতো চরিত্র দেখে দর্শকরা হয়তো প্রায় ভেবেই ফেলছিলো যে এই বুঝি বর্তমানের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশার চলে আসবেন পর্দায়। তবে কোথা থেকে এলেন কিভাবে গল্পে চরিত্র হয়ে আগালেন সেটি কাহিনী যিনি লিখেছিলেন তিনি ছাড়া অনেকের পক্ষেই হয়তো বলা খানিকটা কঠিন। কারণ এক দৃশ্যে সীমান্তবর্তী এক রেলস্টেশনে দুজন অভিনেতা নামার পরেই আবার তাদের দেখা গেলো ঢাকা শহরেই । হয়তো সিনেমার এডিটর এবং পরিচালক ভেবেছিলেন গল্প ঠিকঠাকই আছে। পরের সিকুয়ালে আছে বলে এডিটর ভুলে গিয়েছিলেন পুরো সিনেমা তিনি কেটেছেন বলে তিনি নিজে গল্প জানলেও দর্শক কিন্তু গল্প জানে না পুরোটা। তাই সিনেমাকে সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে যেভাবে দর্শক পরের কিস্তি ছাড়াই গল্প বুঝতে পারেন।

জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ পুরনো একটি বিষয়। কারন এদেশের মানুষ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির কথা জেনেছিলো ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে। বর্তমানের বাংলাদেশে জঙ্গিদের ঠাই নেই। বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপে এখন জঙ্গিবাদের ঘটনা শোনা যায় কালেভদ্রে। আর গুলশান অ্যাটাকের সময়ের পরে এই ডিজিটাল যুগে এসে তরুণ প্রজন্মকে কি এভাবেই ব্রেইনওয়াশ করা যায় কিনা তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরাই হয়তো ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু সিনেমাতে রাইসুল ইসালাম আসাদকে জঙ্গি কোনো গোষ্ঠী মেরে ফেললো। হ্যা মেরে ফেলার দৃশ্য থাকতেই পারে কিন্তু নাস্তিক এই শিক্ষকের টকশোতে কথা বলায় মেরে ফেলার ভুল ঢাকতেই কি নাস্তিক লেখকের ফাঁসি চাই লেখা পোস্টারের ইনসার্ট শট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কিনা তা পরিচালক সাহেব ও এডিটর ভালো বলতে পারবেন।

ট্রাই নাইট্রো টলুইন (TNT) একটি শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ, যার গাঠনিক সংকেত C6H2(NO2)3CH3। জঙ্গি গোষ্ঠী এটা দিয়েই হয়তো জাতীয় সংসদ ভবনে থার্টি ফাস্ট নাইটে হামলা চালাবার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু সিনেমার পর্দায় নায়ক যেভাবে ডিফিউজ না করেই ফাকা মাঠে ছুড়ে দিলেন তাতে টিএনটির শক্তিমত্তার উপরে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস উঠে যাবার কথা। হ্যা আমাদের দেশের সিনেমায় হয়তো পাশের দেশ ভারতের রোহিত শেট্টি নির্মিত “সুরিয়াভানসির” মতো বাজেট নেই যা দিয়ে অনেকগুলো হেলিকপ্টার এনে মিশন এক্সট্রিমে দেখানো সেই থার্টি ফার্স্ট নাইটেই পার্টির বিল্ডিংটি তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সংসদের পরিকল্পনা পাল্টে গুলশানের এক ক্লাবে শিফট হওয়া প্ল্যান বি এর গল্পের গাঁথুনিটা একটু মজবুত হলেই লোকের বলতে হতো না আমরা কি আর অতো বাজেট পাই নাকি। দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্বমানের সিনেমা এটাই অথবা বলতে শোনা যেতনা যে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু মুখে বললাম না। শুধু একটু মনে করতে হবে তারেক মাসুদের “রানওয়ে” সিনেমাটির কথা। যারা বলছেন যে জঙ্গিবাদ নিয়ে যেহেতু সিনেমাটি তাই প্রশংসা পাবে মিশন এক্সট্রিম, তাদের “রানওয়ে” সিনেমাটি দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইলো।


তবে পরিচালক এবং এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট কারো ফোনে যদি কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রাইব করা থাকে এবং ওবেব সিরিজ নামক টার্মের সাথে যদি পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো কোনো একতা দিন কোনো একটা সময় তারা নিজে বসে চা খেতে খেতে ভাববেন ওয়েব সিরিজের মতো বিশাল গল্পকে মধ্য থেকে কেটে দিয়ে দুইভাগ করে দিয়ে ইহাই ইন্টারন্যাশনাল বলে গলা ফাটালেই তা ইন্টারন্যাশনাল হয়ে ওঠে না।

আমাদের এই ছোট ও মৃতপ্রায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কালেভদ্রে দর্শকেরা যে কয়জন মানুষের উপরে আশা নিয়ে বসে থাকেন তাদের মধ্যে আরেফিন শুভ অন্যতম একজন। হয়তো অচিরেই আরেফিন শুভ তার অসাধারণ অভিনয় নিয়ে হাজির হবেন জাতির পিতার উপরে শ্যাম বেনেগালের নির্মিত “বঙ্গবন্ধু” সিনেমা দিয়ে। কিন্তু গল্পে ভরসা না থাকলে শুধু মুখে মুখে সিনেমার ব্যবসার স্বার্থে দর্শকদের সাথে এ ধরনের প্রতারণা আরেফিন শুভর জন্য অবশ্যই মানানসই নয়।

পরিশেষে পরিচালক ও প্রযোজকদেরকে “ মিশন স্ট্যান্টবাজি” শিরোনামের ওবেব সিরিজ নির্মানের আহ্বান জানিয়ে মিশন এক্সট্রিম জার্নি শেষ করছি। কারণ হয়তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এই যুগে ওয়েব সিরিজে চার পাচ ঘন্টার বড় বড় গল্পে কাজ করা হয় যেখানে ছোট ছোট চরিত্রগুলোও ফুটিয়ে তোলা যায় সময় নিয়ে, কিন্তু পরিচালকের মনে রাখতে হবে এটা সিনেমা!!!! এটা “বিগ স্ক্রিন”।

মিশন এক্সট্রিম   আরিফিন শুভ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন