ইনসাইড পলিটিক্স

ঐক্যের মহাজোটে অনৈক্যের সুর?

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail ঐক্যের মহাজোটে অনৈক্যের সুর?

আওয়ামী লীগের জোটের রাজনীতি একাধিকবার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা ছাড়ালেও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই জোটগুলোতেই অনৈক্য দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে নির্বাচনী জোট-মহাজোট ও আদর্শিক জোট ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সাথে দূরত্ব বাড়ছে ক্ষমতাসীন দলটির। একদিকে মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টি হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। পাশপাশি ক্যাসিনো কাণ্ডের পর রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কাস পার্টিও বলছে যে, তারা আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে না। এছাড়া মন্ত্রীত্ব না পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ আছে কয়েকটি শরিক দলের মধ্যে। শরিক দলের নেতাদের এ অবস্থান এবং বক্তব্যের কারণে জোটে অনৈক্যের বিষয়টি বারবার প্রকাশ্যে আসছে এবং একই সঙ্গে জোটে অস্থিরতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
 
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তব্য কিংবা জাপার নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিভিন্ন বক্তব্য মহাজোটসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে গত তিন ডিসেম্বর জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশে এখন আর সুশাসন নেই। ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে কথা রাখেনি। দেশের মানুষ এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’ পাশাপাশি মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন ‘জাপার সঙ্গে প্রেম করে আওয়ামী লীগ তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। এখন তারা আমাদের উপর নির্যাতন করছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর কোন প্রেম নেই আমাদের।’ জাপার শীর্ষ এ দুই নেতার বক্তব্যগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম চিন্তার উদ্রেক করেছে। ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা এখন বলতে শুরু করেছে যে 'সরকারের ব্যর্থতার দায় নেবে না ১৪ দল।' এছাড়াও কমপক্ষে চারটি শরিক জোটের কার্যক্রমে যুক্ত থাকার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে জানা গেছে। 

এই চার শরিকের মধ্যে জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাসদ অনেক আগে থেকেই জোটের সভা ও বৈঠকগুলো বর্জন করে আসছিল। প্রকাশ্যে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই দলটি কোনোরকম ঘোষণা ছাড়াই জোটগত কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে অন্য তিন শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং কমিউনিস্ট কেন্দ্র- এর নাম। এর সঙ্গে রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কাস পার্টি অনেক আগেই বলেছে যে, সামনের জাতীয় নির্বাচনে তারা নৌকা প্রতীকে নয়, একা একা লড়বে। জাপা নেতাদের এ ধরনের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য শরিক দলগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের প্রেক্ষিতে অনেকেই আগামীতে এসব দলগুলোর আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা না থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।

অনৈক্য যেভাবে শুরু 

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৯৩টি আসনে জয় লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করলেও শরিক দলগুলো থেকে কাউকেই মন্ত্রী করা হয়নি। এবারই প্রথম একক মন্ত্রীসভা গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে জোটের ভেতরে গৃহদাহ শুরু। নতুন সরকারে জোটের কেউ স্থান না পাওয়ায় তাদের অবস্থান বদলাতে শুরু করে। সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোট শরিকদের সংসদে শক্তিশালী বিরোধী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হলে সেসময় শরিক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু অভিন্ন সুরে বলেন, একসঙ্গে জোট করেছি, একসঙ্গে নির্বাচন করেছি, বিরোধী দলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এমনকি সরকার গঠন নিয়ে বা জোট শরিকদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও তারা দাবি করেন। এখান থেকে সংকটের শুরু হয়েছে কিনা, সে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম বিতর্ক আছে। এসব পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে জোটে অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

অনৈক্যর সমাধান হচ্ছে না যে কারণে 

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের সমন্বয়ক থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৪ দলের জোটকে জিইয়ে রাখতেন। কিন্তু তিনি গত বছরের ১৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়ক করা হয়। আমুর সমন্বয়ে এখন পর্যন্ত দু-একটি মিটিং হয়েছে মাত্র। বর্তমানে ১৪ দলের কর্মকাণ্ড একেবারেই স্থবির, নেই বললেই চলে। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা সরকারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও সম্পৃক্ত করা হয় না ১৪ দলকে। 

তবে শরিক দলের নেতাদের কটু বক্তব্যের প্রভাব মহাজোট বা ১৪ দলীয় জোটে পড়বে না বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বস্থানীয় একাধিক নেতা বলেছেন, জোটের মধ্যে কোনো সংকট নেই, সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। প্রত্যেকটি দল আলাদা আলাদা রাজনীতি করে। তাদের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনাও আলাদা। আমাদের জোট দুইটি হয়েছে আদর্শ এবং নির্বাচনী ভিত্তিতে। এ দুইটি জায়গা এখনো মজবুত আছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ১৪ দল অথবা মহাজোট যাই বলেন না কেন, এটি মূলত একদল। বাকি দলগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। ফলে মহাজোট অথবা ১৪ দল ভাঙারও কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাকি দলগুলো তাদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে অবগত আছে। ওদের জন্য এটা স্বার্থের জোট। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে আওয়ামী লীগেরও একটা লাভ আছে। আওয়ামী লীগ বলতে পারে তারা একা নয়, তাদের সঙ্গে আরো অনেক দল আছে। এছাড়া অন্য কোনো নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আওয়ামী লীগের কাছে তাদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। ফলে জোটের শরিকরা জোটে থাকলে এমপি হতে পারে। ক্ষমতা পাওয়া যায়। তাছাড়া রাজনীতি তো এখন একটি ব্যবসা। ফলে জোটভুক্ত অন্যান্য দলগুলো ওই ব্যবসাটাই করছে বলেই মনে করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, সরকার যদি কর্তৃত্ববাদী হয়ে থাকে, জাতীয় পার্টি কি এর দায় এড়াতে পারে? তার দায় জাতীয় পার্টিরও নিতে হবে। বিরোধী দল হয়ে তারা গৃহপালিত বিরোধী দলের আচরণ করছে। তারাও কম দায়ী না। তারাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করে নাই। সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব হলো সরকারের ভুল ত্রুটি তুলে ধরা। সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এই প্রেমের জন্য সরকারি দল যেমন দায়ী, তারাও সমান দায়ী বলে মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ   ১৪ দলীয় জোট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন