নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮
হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। দলের কোনো কর্মকাণ্ডে কয়েকদিন তাঁর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দলের সিনিয়র নেতাদের সান্ধ্যকালীন বৈঠকেও তিনি অনুপস্থিত। তাঁকে দলের অন্য সিনিয়র নেতারা ফোন করলেও তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। দলের কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত থাকলেও কূটনৈতিক পাড়ায় সরব ব্যারিস্টার মওদুদ। গত ৭ দিনে তিনি অন্তত ৪টি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মার্কিন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে গত ২৫ এপ্রিল ব্যারিস্টার মওদুদ নৈশভোজে মিলিত হন। পরদিনই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় দূতাবাসের পদস্থ দুজন কর্মকর্তা। ২৭ এপ্রিল ব্যারিস্টার মওদুদের বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্য দূতাবাসের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গতরাতে ব্যারিস্টার মওদুদ সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে।
কূটনীতিকদের সঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদের সিরিজ বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যখনই ব্যারিস্টার মওদুদ নিজের স্বার্থে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যান, তখনই তিনি এরকম কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএনপিতে কানাঘুষা চলছে, ব্যারিস্টার মওদুদ কি এবার ডিগবাজি দেবেন? এজন্যই কি তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন? মওদুদ যে দল ভেঙ্গে আলাদা বিএনপি করবেন না, যে ব্যাপারে বিএনপির নেতারা মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ বিএনপিতে তাঁর অনুগতের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তাহলে কি তিনি অন্য কোন দলে যোগ দেবেন মওদুদ? জাতীয় পার্টিতে ব্যারিস্টার মওদুদ যোগ দিতে পারেন, এমন একটা গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরেই কূটনৈতিক পাড়ায় চাউর হয়েছে। অবশ্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছেন, এসবই ফালতু গুজব। তবে ব্যারিস্টার মওদুদকে যারা চেনেন তারা জানেন দল বদলে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
বাংলা ইনসাইডার/ জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।