ইনসাইড পলিটিক্স

সিআরআই নীরবে-নিভৃতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

দেশের জনগণ কী ভাবছে তার আলোকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নির্ধারিত হয়। জনগণকে আলোকিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা এবং নিজেদের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করাই হলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ, যার প্রতিফলন ঘটে ভোটের মাধ্যমে। যে রাজনৈতিক দলের নীতি, কর্মসূচি জনগণ পছন্দ করে তাদেরকে ভোট দিয়েই জনগণ ক্ষমতায় বসায়। আর জনগণের সমর্থন বজায় রাখার জন্য ওই রাজনৈতিক দলটির কাজ হলো নিজেদের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করা।

কিন্তু গত দুই দশক ধরে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটটি হলো জনগণ কী ভাবছে তা রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারী ক্লিনটন যে ক্যাম্পেইন করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকার জনগণ তা বুঝতে পারেননি, তাঁরা তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি উভয়ের জন্যই আলাদা রিসার্চ অর্গানাইজেশন আছে। কিন্তু সেখানেও জনগণের মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা হয়নি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও এই সমস্যাটা খুব তীব্র। জনগণের চিন্তা-ভাবনা বুঝতে না পারার কারণেই কনগ্রেস সর্বশেষ নির্বাচনে পরাজিত হয়। 

জনগণ কী চিন্তা করছে তা নিয়ে গবেষণা করা হলো উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চর্চা। বাংলাদেশে রাজনীতি বলতে বোঝানো হয় ভোট দেওয়া আর রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি মানেই মিটিং, মিছিল প্রভৃতি। জনগণকে নিয়ে, জনগণ কী ভাবছে তা নিয়ে গবেষণা করার চর্চা এদেশে নেই। কোন বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়, কোন বিষয়গুলোতে জনগণ স্পর্শকাতর বা আগ্রহী এসব নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা করা হয় না। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তত একটি রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) নামে একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষণা হচ্ছে, জরিপ হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনীতির গুণগত বিকাশের জন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ভুল-ত্রুটিগুলো বুঝতে পারে, নিজেদের কর্মসূচিতে জনগণকে এবং জনগণের ভাবনাগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য থিংক ট্যাঙ্ক দরকার হয়। আর এর খুব অভাব আমাদের দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। সেই অভাবটা পূরণ করার ক্ষেত্রে সিআরআই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আসন্ন একাদশতম নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জরিপ করা, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নির্ধারণ করা, দলটি কোন ধরনের ক্যাম্পেইন করবে, সেসব ক্যাম্পেইনের ডিজাইন চূড়ান্ত করা প্রভৃতি কাজগুলো সবই করছে সিআরআই। এসব কাজ করতে গিয়ে সিআরআই কোনো আওয়াজ দিচ্ছে না, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে না। খুব নীরবে-নিভৃতে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

সিআরআই প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাঁরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণে নানা ধরনের কৌশল গ্রহণ করে আসছে। নিজস্ব সম্পদের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে, বিশেষ করে তরুণ ও ছাত্রসমাজকে টার্গেট করে তাঁরা উন্নত মানের মার্কেট রিসার্চ ও পোলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: তরুণ ভোটারদের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকার বিষয়ে উন্নত মানের গবেষণা সম্পাদন করা, তরুণদের মতামত প্রকাশের জন্য লেট’স টক ও পলিসি ক্যাফের মতো প্রোগ্রাম আয়োজন করা যেখানে তরুণরা সরাসরি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে মতবিনিমিয় করার সুযোগ পায়। এছাড়া প্রিন্ট ও ডিজিটাল ফরম্যাটে উন্নতমানের সম্পাদকীয় ও ডিজাইনসম্বলিত বিভিন্ন প্রকাশনা ও ব্লগ প্রকাশ করাও তাঁদের কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও সিআরআই গ্রাফিক প্রকাশ করে। টেলিভিশন, রেডিও ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রমের মার্কেটিং এবং প্রচারণা চালানো, তরুণদের লক্ষ্য করে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাদের জন্য তাদের দ্বারা উন্নতমানের মিডিয়া ও প্রচারণা প্রচেষ্টা করা প্রভৃতিও তাঁদের কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত।

ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্টার্টআপের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে `আইডিয়া` প্রকল্পের সাথে এক বছরের কার্যক্রম চুক্তি, ডু আইসিটি এর তত্ত্বাবধানে `শী পাওয়ার` প্রকল্পের `নারী প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া`তে ইয়াং বাংলার সহায়তা চুক্তিসহ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সি আর আই) এর ইয়াং বাংলা সেক্রেটারিয়েট ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে ৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সোনার বাংলা ও সবুজ বাংলা গঠন সিআরআই এর স্বপ্ন।

রাজনীতির গুণগত বিকাশের জন্য সিআরআই এর মতো প্রতিষ্ঠান খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতির গুণগত বিকাশের জন্য অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু একটি প্রসঙ্গে কেউ কথা বলছে না যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গবেষণা দরকার, পড়াশোনার দরকার। সে অভ্যাসের চর্চাটাই সিআরআই করছে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

মিডিয়া সেলের তথ্যমতে, রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে রাত সোয়া ৯টার পর বের হন তিনি। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন