ইনসাইড পলিটিক্স

কোটা আন্দোলন কার?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

সম্প্রতি কোটা আন্দোলন ইস্যুতে উত্তাল সময় পার করছে দেশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা কয়েকদিন পরপরই নেমে আসছে রাজপথে। কোটা আন্দোলনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আখ্যা দিয়ে এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন দেশের কয়েকজন ডাকসাইটে বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত সুশীল সমাজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোটা আন্দোলন কি আসলেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন? নাকি এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে অন্য কোনো অপশক্তি।

কোটা সংস্কার বা বাতিলের দাবির শুরুটা কীভাবে হলো? কে উত্থাপন করলো প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে আমাদের একটু পেছন ফিরে তাকাতে হবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ২০০১ সালে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় তখন নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে তাঁরা সর্বপ্রথম সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করার দাবি এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার দাবি উত্থাপন করে। নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট সরকার জয়ী হওয়ার পর প্রথম জাতীয় সংসদ অধিবেশন বসে ২০০২ সালের ৮ জানুয়ারি। সেখানে  রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব ও আলোচনার সময় জামাতের সংসদীয় দলের নেতা এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী প্রথম বলেন যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে দেওয়া দরকার। কারণ এই কোটার অপব্যবহার হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। নিজামী আরও বলেন, আলাদা মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার কোনো প্রয়োজন নেই, পুরো কোটা ব্যবস্থারই সংস্কার করা দরকার।

এরপর জামাতের আরেক নেতা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগকারী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০০৩ সালে ৩৩ তম বাজেট অধিবেশনে বাজেটের ওপর আলোচনার সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য দাবি উত্থাপন করেন এবং কোটা সংস্কারের দাবি করেন। একই অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধী মাওলানা আবদুস সোবহানও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি তোলেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে কোটা সংস্কারের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে ভাষণে বলেছিলেন, কোটা সংস্কার হওয়া উচিত। তবে বিভিন্ন কারণে এ বিষয়ে তখন আর অগ্রসর হতে পারেনি বিএনপি-জামাত জোট সরকার।

সে সময়টাতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল ইস্যুতে বেশি আগাতে না পারলেও নিজেদের এজেন্ডা থেকে বিষয়টিকে কখনো বাদ দেয়নি জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের উদ্দেশ্যে ভেতরে ভেতরে কাজ করে গেছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ পুঁজি করে শিবিরের ক্যাডারদের নেতৃত্বে তাঁদের আন্দোলন করতে মাঠে নামিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই শক্তিটি। এই আন্দোলনের নাম তাঁরা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন।

যদিও শুরুর দিকে আন্দোলনকারীদের দেখা গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি হাতে রাস্তায় নামতে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যামোফ্লাজের আড়ালে এই আন্দোলনের মূল টার্গেটই ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল।

যত দিন গেছে আন্দোলনের পেছনের এই মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের গুলিতে ছাত্র মারা গেছে, ছাত্রলীগ নেত্রী এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে – এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকারীরা ক্রমাগত দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে গেছেন। ঢাবি উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নাশকতাও করেছে নিজেদের মেধাবী দাবি করা এই কোটা আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে আমি রাজাকার, রাজাকারের বাচ্চা আমি আমার পিতা শেখ মুজিবের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান মুখে এঁকে, প্ল্যাকার্ডে লিখেও পথে নামতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদেরকে। আর এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ঘৃণিত রাজাকার শব্দটিকে একটি সাধারণ শব্দের পর্যায়ে নামিয়ে আনা।

এরপর বিভিন্ন সময়ে কোটা আন্দোলনের মূল আহ্বায়কদের কথাবার্তা থেকেও স্পষ্ট হয়েছে, কোটা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা। বারবার তাঁদের কথাবার্তায় উঠে এসেছে তাঁদের আপত্তির জায়গাটি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। কোটা আন্দোলন যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন নয়, এর পেছনে যে কলকাঠি নাড়ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তা সময়ের সঙ্গে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

জামাত মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করবে এ নিয়ে বিস্ময়ের কিছু নেই। জামাত একাত্তরের পরাজিত শক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারই বিরোধী তাঁরা। এই বিরোধিতা একাত্তরে নিকৃষ্টতম রূপ ধারণ করেছিল। নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানি চালিয়েছিল তখন জামায়াতে ইসলামী। স্বাধীনতার পর ৪৬ বছর কেটে গেছে, রাজাকার-আলবদরদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওঠার মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থানে কোনো হেরফের হয়নি। তাই জামাত যখন থেকে প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে তখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো ক্ষমতায় এসেই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আর তখন থেকেই এই মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করে আসছে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী।

কিন্তু দুঃখের বিষয়টি হচ্ছে, দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ, বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবীগণ এবং নিজেদের সেক্যুলার রাজনীতির প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করা দেশের বাম দলগুলোও এই আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছে। তাঁরা নাশকতার অভিযোগে আটক কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, এ বি এম সুহেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করছেন, তাঁদের মানববন্ধন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।

এই শ্রেণিটি কলাম লিখে, সংবাদ সম্মেলন করে ক্রমাগত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছে, যার সুফল আসলে ভোগ করছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিটি। এই বুদ্ধিজীবীরা বুঝতেই চাইছেন না কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে তাঁরা জামাত-শিবিরের চক্রান্তে পা দিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের উদ্দেশ্য-বিধেয় বিশ্লেষণ না করে কেবল আবেগী হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করার মাধ্যমে যে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পথ সুগম হচ্ছে সেটিও মানতে চাইছেন না তাঁরা।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবের জায়গা। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি তোলার অর্থই হলো মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের অসম্মান করা। আর কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করার এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবির। আর চিন্তাভাবনা না করেই তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে দেশের সুশীল সমাজ।

Read in English- https://bit.ly/2muwLqG

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন