নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তাঁর নিয়োজিত একটি টিম তিন সিটি নির্বাচনে জনমত জরিপ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, রাজশাহীতে ৫৮ শতাংশ, বরিশালে ৪৪ শতাংশ ও সিলেটে ৩৩ শতাংশ মানুষ নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছেন। এ জরিপ অনুযায়ী তিন সিটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই পোস্টে তিনি জানান, আমার টিম বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে একটি জনমত জরিপ চালিয়েছে। গোটা জুলাই মাস ধরেই এই জরিপ চালিয়েছে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামের প্রতিষ্ঠানটি।
আরডিসির করা জরিপে দেখা গেছে, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে ৫৮ শতাংশ ভোটার তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন। এখানে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে ১৬.৪ শতাংশ ভোটার রয়েছেন। আর অন্য প্রার্থীরা সমর্থন পাচ্ছে ০.৯ শতাংশ ভোটারের। এছাড়া রাজশাহীতে ১২.৩ শতাংশ ভোটার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আর ৯.৬ শতাংশ ভোটার এই জরিপকারী দলের কাছে তাদের মতামত জানাতে রাজি হননি। এই নগরে ১ হাজার ২৯৪ জন সম্ভাব্য ভোটারকে নিয়ে জরিপ করা হয়।
জরিপে, বরিশালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে রয়েছে ৪৪ শতাংশ জনমত। ১৩.১ শতাংশ মানুষ রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারের পক্ষে। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা ০.৮ শতাংশ জনসমর্থন পাচ্ছেন। আর এই নগরীর জরিপের আওতায় আসা ২৩ শতাংশ মানুষ বলছেন, ভোটের ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আর ১৫.৯ শতাংশ মানুষ এই জরিপকারী দলের কাছে কোনো উত্তর দিতে চাননি। নগরীর মোট ১ হাজার ২৪১ জনের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়।
জরিপ অনুযায়ী, সিলেটে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান নৌকা প্রতীক নিয়ে জনমতের ৩৩ শতাংশ নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী ২৮.১ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছেন। এর বাইরে অন্য প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন রয়েছে ১.৩ শতাংশ ভোটারের। সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন ২৩.০ শতাংশ ভোটার আর জনমতে উত্তর দিতে চাননি ১২.৬ শতাংশ ভোটার। এই জরিপের আওতায় ছিল ১ হাজার ১৯৬ জন সম্ভাব্য ভোটার।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকার নারী ও পুরুষ ভোটারের অনুপাত এবং বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট শহরের ২০১১ সালের শুমারির বয়স সম্পর্কিত তথ্যের বিন্যাস অনুযায়ী এই জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা থেকে ঠিকানা নিয়ে জরিপের জন্য নমুনা বাছাই করা হয়। এর মধ্য থেকে যারা নিজেদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ভোটার বলে নিশ্চিত করেন তাদেরকেই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জরিপে ভুলের মাত্রা (মার্জিন অব এরর) ধরা হয় ২.৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করছি। তাদের জরিপের পদ্ধতি ও ফলাফল বরাবরই আমার সঠিক মনে হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যেহেতু জরিপগুলো গত এক মাস ধরে করা হয়েছে এবং এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চলেছে তাই জরিপ ও নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা তফাৎ হতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়ের পথে। যদিও সিলেটে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি, তবে এই মুহূর্তে আসলে কাউকেই বিজয়ী হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।