ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলনে এরা কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

জরুরি কাজে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে প্রাইভেটকারে ধানমন্ডি থেকে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন রহমান সাহেব। সিটি কলেজের কাছে পৌঁছানোর পর মোড়ে একদল শিক্ষার্থী তাঁর গাড়ি আটকে লাইসেন্স দেখতে চায়। লাইসেন্স ঠিকঠাক থাকায় গাড়িটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি লক্ষ্য করেন, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের ভিড়ে মোটর সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন যুবক। যুবকদের অনেকের গালে হালকা দাঁড়ি, কারও কারও গালে নেই। এদের দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা শিক্ষার্থী নয়। এই যুবকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি দিচ্ছে, ছোট ছোট প্যাকেটে খাবার সরবরাহ করছে। কৌতুহলবশত গাড়ি ঘুরিয়ে যুবকদের সামনে আসলেন তিনি, জিজ্ঞেস করেন তাদের পরিচয়। জবাবে যুবকরা জানায়, তাঁরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কিন্তু যুবকদের ভাবগতিক দেখে যে কেউই বুঝতে পারবে, তাঁরা অভিভাবক নয়।

শুধু সিটি কলেজ এলাকায় নয়, রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশেপাশে অনেকগুলো মোটর সাইকেল ও যুবকদের দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, সংঘবদ্ধভাবে একটি চক্র শিক্ষার্থীদের উসকে দিতে মাঠে নেমেছে।

সচিবালয় থেকে বেরিয়ে রহমান সাহেব পান্থপথের দিকে গেলেন। সেখানেও তীব্র যানজট। বাসচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে সারা শহরের মতো পান্থপথ এলাকাও অচল হয়ে পড়েছে। পান্থপথেও গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। শুধু পান্থপথ নয়, এয়ারপোর্টেও লাইসেন্স চেক করছে তারা। এয়ারপোর্ট থেকে পান্থপথের দূরত্ব অনেক। কিন্তু সব এলাকায় আন্দোলনকারীদের কার্যক্রমের ধরন একই হলো কী করে? রাজনৈতিকভাবে সচেতন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানেন, স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে যাওয়া। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, এই আন্দোলনের কর্মকাণ্ডগুলো খুব সুসংগঠিত। তাই প্রশ্ন উঠছে, এই যে দাবি করা হচ্ছে এটি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন, এই দাবির সত্যতা কতটুকু? এমন প্রশ্ন শুধু রহমান সাহেবের একার নয় তাঁর মতো অনেকেরই। জানা গেছে, আজ সাভারেও গাড়ির লাইসেন্স চেক করা হচ্ছে। এবং সেখানেও আছে অভিভাবকরূপী কিছু যুবকের উপস্থিতি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে নয় দফা দাবিও জানিয়েছে। এই নয় দফা কারা প্রণয়ন করল? স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা এসব দফা প্রণয়নে সক্ষম কী না তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। রাজধানীর সব জায়গায় একই সঙ্গে গাড়ির লাইসেন্স চেক করা, এত কঠিন সব দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়া তা এই বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মানানসই নয়। এই থেকে বোঝা যায়, আন্দোলনের নাটাইটা অন্য কারও হাতে আছে। কিন্তু তাঁরা কে বা কারা? এই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে যদি চিহ্নিত না করা যায় তবে রাষ্ট্র আশু বিপদের সম্মুখীন হবে। আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, এই আন্দোলনের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থ্যাৎ এই আন্দোলকে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করার আর সুযোগ নেই।

শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘাতক বাস জাবালে নূরের মালিক ও ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নৌ পরিবহন মন্ত্রী নিজের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ সাজার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন করার ঘোষণা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রও অনুমোদন করেছেন। কিন্তু এখনো শিক্ষার্থীরা শান্ত হচ্ছে না। তাই একে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ এই আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। কোন পক্ষ থেকে এই ইন্ধন আসছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ইন্ধনটি যে আসছে এবং এতে রহস্যময় মোটর সাইকেলের ভূমিকা আছে তা এক প্রকার নিশ্চিত।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রকাশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তাঁরা দেশের বিভিন্ন শহরের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলোতে নিজস্ব নামে অথবা বিভিন্ন সংগঠনের নামে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিবির দলে সদস্য অর্ন্তভুক্তি করে এমনকি শিশু বয়সীদের মধ্য থেকেও। এই উদ্দেশ্যে শিশু সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর পরিচালনা করে তাঁরা। রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি কার্যক্রমেও ব্যাপকভাবে সক্রিয় শিবির কর্মীরা। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাথী শিক্ষাশিবির নামে এক ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। অর্থ্যাৎ স্কুল-কলেজেও কিন্তু ছাত্রশিবিরের নীতিতে বিশ্বাসী অনেক ছেলেমেয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে শিবির ভাবধারার ছেলেমেয়েরা মিশে গিয়ে যদি আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে তবে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কারা আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে, কারা কলকাঠি নাড়ছে তা যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করতে না পারলে নিরাপদ সড়কের দাবি বাস্তবায়নে সরকার যতই পদক্ষেপ নিক, যতই প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক এই আন্দোলন কোনোভাবেই শান্ত হবে না। এই আন্দোলনটি যে আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই, আন্দোলনের চার দিনের মাথায় গিয়ে একথা পরিষ্কার হয়ে গেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন