নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবার আদাজল খেয়েই নেমেছে দেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ। শুধু টকশো আর পত্র-পত্রিকায় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা নয়, নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে পর্যুদস্ত করতে নানা কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সুশীল সমাজের একটি গ্রুপ। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, সুশীল সমাজ এবং কয়েকটি দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের কার্যক্রম চলছে। এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেন বিএনপি যোগ দেয় সেজন্য ক্রমাগত কূটনৈতিক চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ‘সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠন দুই কোটি তরুণ ভোটারের একটি ডাটাবেইস তৈরির কাজ করছে। জানা গেছে, এই তরুণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, এই তরুণরা যেন সক্রিয় থাকে সে লক্ষ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সোজা সাপ্টা ভাষায়, তাঁদের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ভোট ব্যাংক হিসেবে তৈরি করা হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের উদ্যোগে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার জন্য সৎ প্রার্থী খোঁজার কাজ চলছে আরও দু’মাস আগে থেকে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে কোণঠাসা অথবা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না কিন্তু এলাকায় জনপ্রিয় এমন একটি তালিকা তৈরি করছে ’সুজন’।
নাজিম কামরান চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান, সারা দেশে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় একটি জরিপ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এখন এই জরিপের তথ্যগুলো একত্রিত করার কাজ চলছে। এই জরিপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু, তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জরিপের তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য তাঁর নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করবে বলেও জানা গেছে। দেশের সর্বাধিক প্রচারিত একটি ইংরেজি দৈনিকে এই জরিপটি প্রকাশ করা হবে। ঐ ইংরেজি দৈনিক এবং একই প্রতিষ্ঠানের একটি বাংলা দৈনিকে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের দুর্নীতির খতিয়ান তৈরি করা হচ্ছে। জানা গেছে, এ পর্যন্ত অন্তত ৮৭ জন আওয়ামী লীগ নেতা এবং এমপির নানা অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করেছে পত্রিকা দু’টি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এসব সংবাদ প্রকাশ করা হবে। এর ফলে জনমত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
নির্বাচনে অর্থ একটি বড় ফ্যাক্টর, তিনটি বড় বড় শিল্প গ্রুপ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন করছে। গণফোরামের একজন নেতা বলেছেন, ‘ক’দিন আগেও গণফোরাম একটি কর্মী সভা করার আগেও দশবার ভাবতো। টাকা কোত্থেকে আসবে, সেই চিন্তা করতো। এখন, দেখি মুড়ি মুড়কির মতো টাকা খরচ হচ্ছে। টাকা কোত্থেকে আসছে কে জানে?’
সব মিলিয়ে এবার কোমর কষেই নেমেছে সুশীল সমাজের এই অংশটি। যে অংশটি ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের রূপকার ছিল। এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছক কষছে। এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কথায় কথায় বলে, আমাদের ভোট নেই, জনসমর্থন নেই। এবার আমরা দেখাবো, আমরা কি পারি।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।