নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে আগামী মাসে। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন। দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন যাবৎ নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি রাজনীতির তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্যও নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করেছে। তবে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাইছে জাতীয় ঐক্যের দলগুলো। এই ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে একটি রূপরেখাও তৈরি করা হচ্ছে।
সংবিধান মেনে কীভাবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রূপরেখা তৈরি করছেন কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী। এই রূপরেখা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। কয়েক দিন আগে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. কামাল ও তাঁর সমমনাদের কোনো আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করা হয়।
জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সরকারে বর্তমান দলীয় প্রধানমন্ত্রী অকার্যকর হয়ে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোনো দপ্তর বা প্রায়োগিক কোনো ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ জাতীয় কোনো দাবি জাতীয় ঐক্যের নেই। বরং যখনই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে তখন সচিবদের নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে দলটি। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হবে নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যক্রম, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা হবে গৌণ।
এছাড়া গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ অনুযায়ী, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নির্বাচন পূর্ব সময়ে তাঁদের ক্ষমতার বলয় সংকুচিত হয়ে যায়, তাঁরা বাড়তি কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন না। যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু সাংবিধানিকভাবেই তাঁর সব ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাবে এবং রাষ্ট্রপতিই সরকারের সকল দায়িত্ব পালন করবেন। এমন প্রস্তাব রেখেই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তৈরি করছে জাতীয় ঐক্য।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।