নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পরিবর্তন করার আদেশ হয়েছে। বর্তমান ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন চলে যাচ্ছেন। পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাংস্কৃতিক সম্পর্ক কাউন্সিলের ঢাকা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রিভা গাঙ্গুলি দাসের। বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ খবর জানা গেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, মিয়ানমার, স্পেন ও থাইল্যান্ড- এই নয়টি দেশের কূটনীতিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। আর দ্রুতই এই পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের পরিবর্তন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের প্রশ্ন হঠাৎ কেন এমন পরিবর্তন চায় ভারত? এই পরিবর্তন কি বাংলাদেশে নির্বাচনের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখবে?
আগামী মাসেই শেষেই দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সে অনুযায়ী চলতি বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। তবে এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ ভারতীয় হাইকমিশনারের পরিবর্তনকে স্বাভাবিক মানতে পারছেন না কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। এর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরিবর্তনের কথা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। মার্শা বার্নিকাট চলে গিয়ে সেখানে আসার কথা ছিল আর্ল রবার্ট মিলারের। কিন্তু অতিসম্প্রতি ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নির্বাচন পর্যন্ত মার্শা বার্নিকাটকেই রাষ্ট্রদূত রাখার ঘোষণা মার্কিন সরকার। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচিত কূটনীতিককেই রাখছে, সেখানে ভারত কেন হাইকমিশনার পরিবর্তন করতে চায়, আর এর মধ্যে দিয়ে কোন বার্তা দিচ্ছে ভারত- প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অনেকেই মনে করেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারত দ্বৈত নীতি নিয়ে এগুচ্ছে এই পরিবর্তন কি তার ইঙ্গিত?
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। প্রায় তিন বছর ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে আছেন এই ভারতীয় কূটনীতিক। এর মধ্যে তিনি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। সবচেয়ে বেশি বোঝাপড়া হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। অনেকের মতে, শ্রিংলা আওয়ামী লীগের বেশ কাছের মানুষ। আর বিএনপিকে জামাত ছাড়ার ব্যাপারেও যে কজন বিদেশি কূটনীতিক তৎপর ছিলেন তাঁদের অন্যতম একজন শ্রিংলা। তাই নির্বাচনের আগে শ্রিংলার পরিবর্তনকে ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। আর শ্রিংলার এই মুহূর্তে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির কিনা তাও ভাববার বিষয়।
আসামে নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক, রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আলোচনা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে এই তিন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মুহূর্তে ভারতীয় হাইকমিশনারের পরিবর্তনকে গুরুত্ববহ বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বদলির আদেশ হলেও তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানা গেছে। আর এমনটি ঘটলে, বাংলাদেশের নির্বাচন শেষ করে শ্রিংলা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। আর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন রিভা গাঙ্গুলি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।