নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সংক্ষিপ্ত সফর। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে বলেও আশা করছে বাংলাদেশের আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলাপ আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে?’ ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। তারেক জিয়া ঐ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি।’
গত জুনে কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যান। প্রধানমন্ত্রীর ওই লন্ডন সফরেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত চায়। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। এরপর বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য দুই দেশের মধ্যে বন্দী ও অপরাধী বিনিময় চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। ঐ চুক্তি স্বাক্ষর হলে, বাংলাদেশের কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ফেরত দেবে। আবার ব্রিটিশ কোনো অপরাধী বাংলাদেশে অবস্থান নিলে তাঁকে বাংলাদেশ সরকার ফেরত দেবে। পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভারত, থাইল্যান্ডসহ বেশ কটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর তারেক যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার জন্য যান। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্রিটিশ সরকারের কাছে জমা দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। বর্তমানে তারেক জিয়া একজন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী উদ্বাস্তু হিসেবে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে একটি মানি লন্ডারিং মামলায় এবং জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় তারেক ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র গুলো বলছে, দু’টি রায়ের সত্যায়িত কপি যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে পাঠান হয়েছে। তবে, আইন মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ১০ অক্টোবরের আগেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা নাহলে, তাঁর দেশে ফেরা অনিশ্চিত হতে পারে। ঐ সূত্রের মতে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় যদি তারেক জিয়া সর্বোচ্চ শাস্তি পান, তাহলে চুক্তিতে যাই থাকুক ব্রিটিশ সরকার তাঁকে বাংলাদেশে পাঠাবে না। গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তারেক জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড সাজার প্রার্থনা করেছে। কিন্তু ব্রিটেনের মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্ত ব্যক্তির যদি তাঁর দেশে গিয়ে প্রাণহানি বা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাঁকে ব্রিটেন ঐ দেশে ফেরত পাঠায় না। ইউরোপের অনেক দেশের মতোই ব্রিটেনও মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করেনা। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদী যে, চুক্তি স্বাক্ষর হলে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই তারেককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।