নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মহানগর নাট্যমঞ্চে গত ২২ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বানে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এবং বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে, সরকারকে এমন আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আগামীকালই ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ্যাৎ আল্টিমেটাম পূরণের শেষ দিন। এই সময়টাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশেই ছিলেন না। সরকার ও সংশ্লিষ্টরাও জাতীয় ঐক্যের আল্টিমেটামকে তেমন গুরুত্বের চোখে দেখেনি। তাই এই আল্টিমেটামের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ হয়ে কোনো সাড়া আসেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আগামীকালের মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দাবি পূরণ করবে সরকার এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা যে কোনো ধরনের বৈঠকে বসবে সে সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে। কারণ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মূল নেতা ড. কামাল হোসেন কাউকে না জানিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। ফলে আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় ঐক্য এ ব্যাপারে নতুন কী কর্মসূচি দেবে তা নিয়ে একটি অনিশ্চিত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে ছাড়া নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করতে পারছে না নবগঠিত এই রাজনৈতিক জোট। এই নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাকর্মীরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।