নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শর্তসাপেক্ষে আগামীকাল রোববার জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। বেলা ১২ টা থেকে শুরু হবে এই সমাবেশ। জনসভা আহ্বানের পর থেকেই নির্বাচনের ব্যাপারে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে আসছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এর আগেও বিএনপির জনসভার আগে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বিএনপির নেতারা। কিন্তু পূর্বের জনসভাগুলোতেও গতানুগতিক কথার বাইরে যাননি তাঁরা। আগের জনসভাগুলোতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বক্তৃতায় ঘুরে ফিরে একই কথাই এসেছে। আন্দোলন করা হবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া হবে না, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না- এসব কথার বাইরে কিছুই বলেননি বিএনপি নেতারা। এবারও কি একই বুলি চক্রেই থাকবেন তাঁরা?
আগামীকালে জনসভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনের ঘোষণা আসতে পারে বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘আগামীকালের জনসভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐক্যের বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেব। অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যে পাঁচ দফা ঘোষণা দিয়েছে, সেই ঘোষণা আমাদেরও থাকবে। আর পাঁচ দফা ঘোষণার সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিও যোগ করবো আমরা।’
সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি ঘোষণা হবে কিনা- এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলনের মধ্যেই আছি। নতুন করে এই মুহূর্তে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে না। তবে জনসভার পর পয়লা অক্টোবর থেকে আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের জন্য আমরা খুব শিগগিরই একটি বৈঠক করবো। ওই বৈঠকের মাধ্যমেই আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে যাব।’
বিএনপির প্রায় সব নেতাই একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হবে কি হবে না সেটা পরের বিষয়। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি প্রধান করে দেখছেন তাঁরা। বিএনপির নেতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে সরকার। আবার পয়লা অক্টোবর থেকে হাইকোর্ট খুলছে। কোর্ট খুললেই জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি দ্রুত করা নিয়েও সরকার তৎপর। এই পরিপ্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুটাকে তাঁরা প্রধান করে দেখছেন। বিএনপির একাধিক নেতা এমন আভাস দিয়েছেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতেই তাঁরা জোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এমন আন্দোলনের পক্ষে থাকা নেতাদের অনেকেই আবার আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ায় আগ্রহী।
বিএনপির কট্টরপন্থী ধারার নেতারা অবশ্য বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত নয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামীকাল বিএনপির জনসভা থেকে আসলে সুস্পষ্ট কিছুই আসবে না। এটি স্রেফ একটা জনসভাই। কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা এবং তাঁদের সক্রিয় করার জন্যই এই জনসভা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।