নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৩০ অক্টোবর পর যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে। আজ সোমবার বিকেল ৫টার পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আমরা সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। ভোটার তালিকার সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) প্রস্তুত করে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো ভুলত্রুটি থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিনশ` আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজও শেষ করা হয়েছে। ছি। ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত রাখা হয়েছে যদি দুর্বিপাকের কারণে অনত্র সরাতে হয়। তফসিল ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সচিব বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭শ` কোটি টাকা। ইতোমধ্যে খাতভিত্তিক ব্যয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেক নির্বাচন সামগ্রী ক্রয় করে গুদামজাত করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কেনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে হিজড়াদের জন্য আলাদা কোনো কলাম থাকবে না। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আগের নিয়মই বহাল থাকছে। নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিন ব্যবহারের প্রস্ততিও থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইন সংশোধন হলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
এজন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দেশের ৯টি স্থানে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে দু`দিনব্যাপী ইভিএম মেলার আয়োজন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠকের এজেন্ডায় কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলেছিলেন। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় প্রথমে তিনি বৈঠকে যোগ দিলেও পরে বর্জন করেন। আশা করি আগামী বৈঠকগুলোতে সব কমিশনাররাই উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, সংলাপের ওঠে আসা বিষয়গুলোর মধ্যে সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ যেসব বিষয় আমাদের এখতিয়ারভুক্ত সেসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করেছি।
এর আগে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কমিশন সভা বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি সভা বর্জন করেন। আজ সকালে আগারগাঁওয়ে কমিশনের ৩৬তম সভা শুরুর মাত্র ১০ মিনিট পরই তিনি বেরিয়ে যান। এ বছরের ৩০ আগস্ট ইভিএম কেনার বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কমিশনের ৩৫তম সভা বর্জন করেছিলেন মাহবুব তালুকদার। পরে অবশ্য সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।