নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপির যোগদানের অন্যতম বিরোধী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শুরু থেকেই বিএনপির ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার বিরোধিতা করেছেন তিনি। এখন ঐক্যফ্রন্টের গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে এর তিন নেতার বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জোট বিরোধিতা নিয়ে আবার সরব হয়েছেন মির্জা আব্বাস।
ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ার অন্যতম কারিগর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে আজ সকালে মির্জা আব্বাস বলেছেন, কয়েকজন বাঁচালের খপ্পরে পড়েছে বিএনপি। জোট গঠন করে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকার বিরোধিতা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবেন কী করে। বাঁচালদের কথার বিতর্কেই ঘুরপাক খাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। মির্জা আব্বাস বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বাঁচালরা এক একটি ইস্যু তৈরি করছে এবং আমাদের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলছে। এরা কোথায় সরকারের সমালোচনা করবে, তা না করে কে চরিত্রহীন, কোন দেশ ভালো, সেনাপ্রধান নিয়ে বিতর্ক করছেন। এর ফলে বিএনপিরই নির্বাচনের মাঠ নষ্ট হচ্ছে। মির্জা আব্বাস বিএনপি মহাসচিবকে বলেছেন, এই বাঁচালের হাত থেকে আমাদের বাঁচান। একই সঙ্গে এই নেতাদের টক শোতে যাওয়া নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা আব্বাস।
উল্লেখ্য, মির্জা আব্বাস ঐক্যফ্রন্টের যে তিন বাঁচালের কথা বলেছেন, তাঁরা হলেন বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। সেনাবাহিনীর প্রধানকে নিয়ে টকশোতে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। বর্তমান এর তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মাহমুদুর রহমান মান্না অপর এক টকশোতে পাকিস্তান সব সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে বলে দাবি করেন। টকশোর উপস্থাপকসহ সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা এর বিরোধিতা করলেও মান্না নিজের কথায় অটল থাকেন। জাফরুল্লাহ নিজের বক্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চাইলেও মান্না নিজের বক্তব্যের বিরুদ্ধে সাফাই গেয়ে চলছেন এখনো। যদিও সব সূচকই বলছে উন্নয়নে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। আর দলহীন ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেন। একজন নারী সাংবাদিককে সরাসরি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলায় দেশজুড়ে সমালোচনা হচ্ছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠিত না হতেই ‘ধরাকে সরা’ জ্ঞান করছেন ভোটের রাজনীতিতে মূল্যহীন এর নেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।