নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেন বলছেন যে, জামায়াতের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। যখন যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় তখন তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে, বিএনপিকে জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিন্তু বিএনপি জামায়াত থেকে না বেরিয়ে, ২০ দল অটুট রেখেই এখন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। কিন্তু নেপথ্যের খবর হলো, জামায়াতের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের সখ্যতা বর্তমানে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে জামায়াতের বিভিন্ন নেতাদের অন্তত আট থেকে দশটি মামলা রয়েছে। যে মামলাগুলো ড.কামাল হোসেনের চেম্বারে থেকে তদারকি করা হচ্ছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে গিয়েছিলেন, তখন ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন যে, তিনি ক্রিমিনাল আইন বোঝেন না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, জামায়াতের মামলাগুলোর জামিন, অগ্নি সংযোগ এবং বিভিন্ন হত্যা মামলার আইনজীবী হয়েছেন ‘ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস’ নামের ল ফার্ম। এই ল ফার্মের মালিক হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে যে, রাজশাহীতে জামায়াতের আমিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় জামিনের জন্য এবং আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করার জন্য ‘ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস’ কাজ করছে। এছাড়াও গত সপ্তাহে ঢাকার মিরপুরে জামায়াতের কয়েকজন নেতা বৈঠককালে গ্রেপ্তার হন। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা করা হয়। সেই মামলায়ও তাদের জামিনের জন্য লড়ছেন ‘ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস’। অতি সম্প্রতি নরসিংদীতে জামায়াতের আটজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই মামলাও নিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। সারাদেশে সরকার স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য যে মামলাগুলো করছে, সেই মামলাগুলোর জামিনের জন্য ড. কামাল হোসেনের কাছে আসছে। উল্লেখ্য এইসব মামলার জন্য ড. কামাল হোসেন মোটা অংকের পারিশ্রমিক নেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।