ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির মনোনয়ন থেকে ত্যাগীরা বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

এক যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি। দীর্ঘ ১২ বছর পরে দলটি নির্বাচনে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন, যাঁরা এই ১২ বছর ধরে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন দলের জন্য, নির্যাতিত হয়েছে, হামলা-মামলার- হয়রানির শিকার করেছেন, তাদেরকেই মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার এবং প্রাধান্য দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বিএনপির মনোনয়ন চূড়ান্ত ক্ষমতা কারোর হাতেই নেই। মনোনয়নের সব ক্ষমতা তারেক জিয়া কুক্ষিগত করেছেন। তারেক জিয়া যে তালিকা তৈরি করেছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে, সেই তালিকাতেই দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

তারেক জিয়ার করা তালিকায় বিএনপির দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতা কর্মীদের নাম নাই। বরং এই তালিকায় স্থান পেয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ীর নাম। তারেক জিয়ার তালিকায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন করা হয় নাই। বরং, যারা বিত্তবান তাদেরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তারেক যে তালিকা করেছে সেই তালিকায় বিএনপির অনেক হেভিওয়েট নেতাও এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন বলেই জানা গেছে। 

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় বিএনপি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের সঙ্গে জোট গঠন করার পর মনোনয়নের ক্ষেত্রে জোট ও শরিকদেরকে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি নূন্যতম আসনে নির্বাচন করে জোটের শরিকদেরকে বেশি আসনে মনোনয়ন প্রদান করবেন। বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপি তাদের দলের অনুপাতে প্রাপ্যের বাইরে সুযোগ সুবিধা দেবে বলে জানা গেছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময় যারা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলের জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁরাই মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ পরছেন। আবার বিএনপির মধ্যে যারা সংস্কারপন্থী এবং বিদ্রোহী বলে পরিচিত ছিল তাঁরাও বর্তমান বিএনপিতে ঢুকে পড়েছে। তাদেরকেও মনোনয়ন দিতে হবে। এর ফলে তৃতীয় দফা বিএনপিতে কোণঠাসা হবেন দলটির ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দুর্দিনের নেতারা। 

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রের প্রাপ্ত খবর থেকে জানা গেছে, তারেক জিয়া যে তালিকা প্রস্তুত করেছে, সেই তালিকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর নাম নেই। নাম নাই জানার কারণে তিনি দলের মনোনয়নপত্রই কেনেন নাই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র কিনলেও, তিনি তাঁর কেরানীগঞ্জের আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন কিনা সেই বিষয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। কারণ কেরানীগঞ্জের এই আসনটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দিতে হবে।

আবার ২০০৭ সালের পর ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির যারা বিভিন্ন সময় নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে এমন অনেক বিএনপি নেতাই এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের তালিকায় নাই।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক নির্বাচন করতে পারবে না। তাঁরা নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন, এই জন্য তাদেরকে মনোনয়নের তালিকার বাইরে রাখা হয় হয়েছে।’ তবে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে মনোনয়ন  থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তাকে ২০০১ সালেও বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এবারও তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের সময় হাসান উদ্দিন সরকারকে বলা হয়েছিল, তিনি যদি পরাজিত হন, তাহলে তাকে বিএনপি থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু হাসান উদ্দিন সরকারকেও মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে নিশ্চিত করেছে। তারেক জিরার যে তালিকা সেই তালিকায় গাজীপুরের হাসান উদ্দিন সরকারের নাম নেই।

অন্যদিকে খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে যারা দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন তাদের নামও নাই তারেক জিয়ার করা তালিকায়। গত সিটি নির্বাচনে বিএনপি`র মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে এবারের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মনোনয়নের তালিকায় তাঁর নামও নেই বলে একাধিক বিএনপির সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনয়নের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আমির খসরুর হস্তক্ষেপের কারণে আব্দুল্লাহ আল নোমানের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

নব্বই সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অগ্রনায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি এখন বিএনপির রাজনীতি করেন। বিএনপির রাজনীতিতে অনেকটাই কোণঠাসা তিনি। পাবনার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান হাবিবও এবারের দলরে মনোনয়ন পাবেন না বলেই বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। আবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনিও বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তিনিও বিএনপির মনোনয়নের তালিকায় নেই বলে বিএনপি সূত্রে জানা যায়।

এছাড়াও তারেক জিয়ার সর্বশেষ করা তালিকায় রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ আসনগুলোতে শরিকদের এবং শরীকদের পরিচিতদেরকে যেমন, মোস্তফা মহসীন মন্টু, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ.স.ম. আব্দুর রবকে মনোনয়ন দিতে চায়। সেই কারণে রাজধানীতে যারা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁরা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন বলে জানা গেছে।

আবার সারাদেশে বিএনপির পকেট আসন বলে পরিচিত, যেমন নোয়াখালী, বগুড়া, লক্ষীপুরসহ আরও বেশ কিছু আসন আছে, এই আসনগুলোতে বিএনপির আগের প্রার্থীদেরকেও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এই আসনগুলোতে এবার মনোনয়নে ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের দিকে মনযোগী হচ্ছে। এইসব আসন থেকে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা মনোনয়ন পাবেন বলে জানা গেছে।  

দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে তারেক জিয়ার এই তালিকা অনুযায়ী বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে দলটির নানা সময়ের পরীক্ষিত এবং দুর্দিনের কাণ্ডারি এইসব নেতারা হতাশা থেকে বিএনপির রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়ও হয়ে যেতে পারেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন