নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি সহ পাঁচটি বিষয়ে শরীকদের সঙ্গে একমত হতে পারছে না বিএনপি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলবেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। উল্লেখ্য, বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার কথা ছিল এ সপ্তাহেই। কিন্তু ইশতেহারের মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত না হওয়ায় ইশতেহার চূড়ান্ত হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে যে বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো হলো-
১. ঐক্যফ্রন্ট প্রণীত খসড়া নির্বাচনী ইশতেহারের শুরুতেই বলা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপি এই বক্তব্যের ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। বিএনপি বলেছে, এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনী ইশতেহারে প্রয়োজন নেই।
২. জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার নির্বাচনী ইশতেহারে ৭২ এর সংবিধানের পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে। এ ব্যাপারে বিএনপি একমত হতে পারেনি।
৩ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার নির্বাচনী খসড়া ইশতেহারে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। কিন্তু বিএনপি বলছে নির্বাচনী ইশতেহারে এসব কথার দরকার নেই।
৪. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খসড়া ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘অসম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করতে হবে। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বিধান বাতিল করা হবে।’ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা হবে আত্মঘাতি। বিএনপি এটি সমর্থন করে না।
৫. খসড়া নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন বন্ধ, অর্পিত সম্পত্তি আইন পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। বিএনপি বলছে, এটা বিতর্কিত বিষয় এনিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে কিন্তু থাকা উচিত নয়।
৬. জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে ‘রাজনীতি থেকে পরিবার তন্ত্রের অপসারন করার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এগুলো স্পর্শকাতর বিষয়।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ইশতেহারে কিছু মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করে বলেন ‘ইশতেহার তৈরী করতে গেলে ছোট খাট মতপার্থক্য হতেই পারে। কিন্তু এগুলো কোন বড় বিষয় নয়। আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে এগুলো আমরা সমাধান করবো।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।