ইনসাইড পলিটিক্স

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আইএসআই কর্মকর্তার ফোনালাপ ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এক ব্যক্তির ফোনালাপ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল এশিয়ান ট্রিবিউন।  তাদের দাবি, মেহমুদ নামের ওই।  ব্যক্তি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) কর্মকর্তা।

ফোনালাপটি তাদের দু`জনেরই কিনা সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে এশিয়ান ট্রিবিউনের দাবি, ৭ মিনিটের ফোনালাপটির বিষয়ে তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে সাহায্য করার জন্য আইএসআই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ফোনালাপে দাবি করেন মেহমুদ নামের ওই ব্যক্তি। ফাঁসকৃত ফোনালাপে নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ী করতে আইএসআই`র কাছে খন্দকার মোশাররফকে সাহায্য চাইতে শোনা যায়।

এজন্য একপর্যায়ে তিনি চীনকে ম্যানেজ করার জন্য মেহমুদের কাছে সাহায্য চান। মেহমুদ তার জবাবে জানান চীনের সঙ্গে বিএনপিকে সাহায্যের ব্যাপারে তাদের (আইএসআই) যোগাযোগ চলছে।  বিএনপির এ নেতাকে আইএসআই`র বিশ্বস্ত বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। খন্দকার মোশাররফও তাদের বন্ধু হয়েই থাকতে চান বলে মেহমুদকে আস্বস্ত করেন।  

ফোনালাপে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে আগেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এই এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।

দু`জনের ফোনালাপটি তুলে ধরা হল-

মোশাররফ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান।

মেহমুদ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান। কেমন আছেন?

মোশাররফ: ভালো আছি। ধন্যবাদ।

মেহমুদ: অনেকদিন পর আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।

মোশাররফ: জী, জী। আমার কথা মনে আছে! ওই যে শেষবার ইসলামাবাদের একটা হোটেলে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিলো।

মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। এখন মনে পড়ছে।

মোশাররফ: হোটেলে আপনি একজন অতিথির সঙ্গে এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।

মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। মনে পড়েছে।

মোশাররফ: কেমন আছেন আপনি? কোথায় আছেন?

মেহমুদ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি এখন দুবাই আছি। যদি সম্ভব হয় এবং সময় পেলে আমার সঙ্গে দেখা করেন। আপনার সঙ্গে দেখা করা জরুরি।

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি কিছু বলতে চাই। আমরা এখন বাংলাদেশে বেশ সমস্যার মধ্যে আছি। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। একটি মামলায় আমার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আমি দেশের বাইরে যেতে পারছি না। এই হলো আমার অবস্থা। 

মেহমুদ: আমার যতদূর মনে পড়ে আপনি আমাদের একজন এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

মোশাররফ: হ্যাঁ, আমি আপনাদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।

মেহমুদ: ঠিক আছে। তবে আমাদের সঙ্গে আপনার দেখা হওয়াটা জরুরি।

মোশাররফ: দেখা হলে তো ভালই হতো। তবে আমরা এখন ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি। এই বিপদ থেকে আপনারাই আমাদের উদ্ধার করতে পারেন। আপনারা সবই জানেন।

মেহমুদ: জ্বী, জ্বী।

মোশাররফ: আমার মনে হয় আপনি সবই জানেন।

মেহমুদ: আপনি বাংলাদেশে আমাদের একমাত্র প্রকৃত বন্ধু। আমরা আপনার সঙ্গে আমাদের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম।

মোশাররফ: আমি আপনাদের বন্ধু হিসেবেই থাকতে চাই। যদিও আপনাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করাটা আমার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। সেটি করতে পারলে উপকৃত হতাম। তবে আমি বাংলাদেশে আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করবো। আপনি সেটার খবর অবশ্যই পাবেন। আমি বলতে চাই, আপনারা যদি চীনকে ম্যানেজ করতে পারেন তবে এই নির্বাচনে আমরা ভালো ফল পেতে পারি।

মেহমুদ: অবশ্যই। আমরা চীনের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ অলরেডি শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হলে আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক সেটি তো আর সম্ভব হচ্ছে না।

মোশাররফ: আপনারা চাইলে এখানে আমি আপনাদের যেকোনো লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলতে পারি। তবে আমার পক্ষে বিদেশে গিয়ে সাক্ষাৎ করাটা সম্ভব নয়।

মেহমুদ: বুঝতে পেরেছি। তবে আপনি চিকিৎসা বা ওমরাহ করার বাহানায় বিদেশে আসতে পারলে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক, আমাদের এজেন্ট আপনার সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করে কথা বলবে।

মোশাররফ: হুমম। আপনাদের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট যদি আমার সঙ্গে দেখা করে, তবে সেটি উত্তম হয়। সেক্ষেত্রে আমি আপনাদের এজেন্ট বা আপনাদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।

মেহমুদ: অবশ্যই। আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার। আপনি যা বললেন তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। আশা করি, বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের এজেন্ট মারফত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। আপনাদের জন্য কাজ করার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।

মোশাররফ: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।

মেহমুদ: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখন আমাদের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। তবেই আমাদের মিশন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমরা যেটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে, একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের সাহায্য দরকার।

মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেভাবেই হোক বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। যেহেতু আপনি বলছেন সরাসরি সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, তাই আমরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছি। যদি কোনদিন সম্ভব হয় আপনার সঙ্গে দেখা হবে।

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি চেষ্টা করছি পাসপোর্ট ফিরে পেতে। পাসপোর্ট হাতে পেলেই আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো।

মেহমুদ: জ্বী।

মোশাররফ: এবং আমি এখানে (ঢাকায়) আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবো।

মেহমুদ: অবশ্যই। ঢাকায় আমাদের এজেন্টের সঙ্গে আপনার সাক্ষাতের বিষয়টি আমরা দেখছি। এরপরও আপনার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমিও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে আপনি আমাকে আপনাদের পুরনো বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারেন।

মেহমুদ: অবশ্যই। এজন্যই কিন্তু আপনার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।

মোশাররফ: আপনার সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জানি আপনারা আমাদের ভুলে যাবেন না। যার কারণেই কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই।

মোশাররফ: আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। বন্ধুত্বের খাতিরে হলেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।

মেহমুদ: ইনশাআল্লাহ। আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।



বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন