নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
লন্ডনের অভিজাত এলাকায় ড. কামাল হোসেনের জন্য বাড়ি কিনে দিয়েছেন তারেক জিয়া। গত অক্টোবর থেকেই এই বাড়িতে থাকছেন ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লন্ডনের অত্যন্ত ব্যয়বহুল এলাকা কেনিংটন (Kensington)। এই এলাকায় প্যালেস গার্ডেন ডব্লিউ৮ সড়কে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক এখন ড. কামাল হোসেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে জনৈক টমাস মেজর নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়িটি কেনা হয়। বাড়ি ক্রয়ের জিম্মাদার হন লর্ড কার্লাইল। কার্লাইল বেগম খালেদা এবং তারেক জিয়ার আইনজীবী। ক্রয়ের উৎস সম্পর্কে ক্রয় দলিলে বলা হয়েছে, লন্ডনে আইন পেশা থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং ঋণগ্রহণ।
ক্রয়ের দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ড. কামাল হোসেন তাঁর নামে রাখা ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংক থেকে বাড়ির মূল্যের মাত্র ৩০ শতাংশ ২৭ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করেন। বাকি অর্থ তাঁর বিভিন্ন শুভার্থী অনুদান বা ঋণ দিয়েছে বলে বাড়ির ক্রয় সংক্রান্ত অর্থের উৎস বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৬৭ হাজার পাউন্ড তিনটি পে অর্ডারের মাধ্যমে টমাসকে পরিশোধ করা হয়েছে। এই তিনটি পে অর্ডারই তারেক জিয়ার করা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারেক জিয়া লন্ডনে তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনারদের মাধ্যমে এই পে অর্ডারগুলো করিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ন্যাট ওয়েস্ট ব্যাংকেও ড. কামাল হোসেনের নামে যে ২৭ হাজার পাউন্ড আইন পেশা থেকে অর্জিত বলে বিবরণীতে বলা হয়েছে, তা আসলে তারেক জিয়ারই টাকা। দেখা যায়, লন্ডনে আইনজীবী লর্ড কার্লাইল ২৯ জুলাই ২০১৮ তে ড. কামাল হোসেনকে তাঁর আইনী পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করেন। এর কারণ হিসেবে হলফনামায় বলা হয় যে, বাংলাদেশে দণ্ডিত তাঁর একজন মক্কেলকে আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনের আইনী পরামর্শ প্রয়োজন। কারো বুঝতে কষ্ট হয় না যে, কার্লাইলের এই মক্কেল হলেন তারেক জিয়া। এরপর ড. কার্লাইলের ল’ ফার্মের মাধ্যমেই ড. কামাল হোসেনের নামে ন্যাটওয়েস্ট ব্যংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। আইনী পরামর্শ দেয়ার পারিশ্রমিক বাবদ ১ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ২৯ সেপ্টেম্বর তিনটি চেকের মাধ্যমে ২৭ হাজার পাউন্ড জমা দেয়া হয়। এর পরপরই বাড়ী ক্রয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। যারা এই বাড়ী ক্রয়ের জন্য অনুদান বা ঋণ দিয়েছেন তার প্রত্যেকেই যুক্তরাজ্য জামাত শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কিত। এদের অন্তত ২ জন যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান।
উল্লেখ্য লন্ডনে যখন ড. কামাল হোসেনকে বাড়ি কিনে দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তখনই তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে চুড়ান্ত অবয়ব দেন। এ সময়ই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়েন অধ্যাপক বদরুজ্জোদা চৌধুরী। এই বাড়ী বুঝে পাওয়ার পরপরই ড. কামাল হোসেন যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতকে মেনে নেন। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জামাত ২২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, লন্ডনে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বাড়ী সামান্য উপহার। ড. কামালকে তারেক আরো অনেক কিছুই দিয়েছেন। যার বিনিময়ে ড. কামাল বিএনপি-জামাত জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।