নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
কক্সবাজার এবং পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। এই চার জেলায় নির্বাচনী আসন রয়েছে ৭টি। এই আসনগুলোর অতীত নির্বাচনের ফলাফল ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এখানে নৌকা ২টি ও ধানের শীষ ৫টি আসনে জয়লাভ করবে।
কক্সবাজার-১
কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলম। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসিনা আহমেদ। হাসিনা আহমেদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী। হাসিনা আহমেদ নিজেও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই আসনটি মূলত বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এখানে আওয়ামী লীগ কখনোই জয় পায়নি। ১৯৯১ সালে এখানে জয় পান জামায়াতের জহিরুল ইসলাম। এরপর টানা তিন মেয়াদে এখানে জয় পায় বিএনপি। এর মধ্যে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এখানকার সাংসদ হন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে সারা দেশে যখন আওয়ামী লীগের পক্ষে জোয়ার ছিল, তখনও এই আসনে জয় পান বিএনপির হাসিনা আহমেদ। এবারও এই আসনে হাসিনা আহমেদ বিজয়ী হবেন বলে মনে করছে বাংলা ইনসাইডার। কারণ বিএনপি এখানে শক্তিশালী। তাছাড়া হাসিনা আহমেদের ওপর স্থানীয়দের সহানুভূতি রয়েছে। এটা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পক্ষে ভোট টানবে।
কক্সবাজার-২
এই আসনে আওয়ামী লীগের আশেকউল্লাহ রফিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জামায়াতের হামিদুর রহমান। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিএনপি- জামায়াতের দখলেই ছিল এই আসনটি। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট অংশ না নেওয়ায় এই আসনটির নিয়ন্ত্রণ পায় আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপি-জামায়াতের শক্তিশালী হওয়ায় এখানে ধানের শীষ জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
কক্সবাজার-৩
এখানে আওয়ামী লীগের সাইমুম সরোয়ারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির লুৎফুর রহমান। এই আসনটিও বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। ২০০৮ সালে বিএনপির ক্রান্তিকালেও এখানে জয় পেয়েছিল দলটি। এবারও এখানে ধানের শীষ জয় পাবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ এখানে বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগের অবস্থান দুর্বল।
কক্সবাজার-৪
কক্সবাজার-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের আলোচিত সমালোচিত সাংসদ আবদুর রহমান বদির এলাকা। মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। বদির পরিবর্তে নির্বাচনে লড়ছেন তার প্রথম স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী। দেশজুড়ে বদি সমালোচিত হলেও এলাকায় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর বাবা এবং ভাইয়েরাও স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে এই নির্বাচনী এলাকাতে পারিবারিকভাবেই তাদের প্রভাব রয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে আমরা প্রেডিক্ট করছি এখানে নৌকা জয় পাবে।
রাঙামাটি
রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের দীপঙ্কর তালুকদারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির মনি স্বপন দেওয়ান। এখানে ধানের শীষের মনি স্বপন দেওয়ান জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা। কারণ মনি স্বপন এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় উপজাতি গোষ্ঠিগুলোর সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে দীপঙ্কর তালুকদারকে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা বিভক্তি রয়েছে।
খাগড়াছড়ি
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া। এই জেলায় গত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এই আসনের বর্তমান এমপি। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। বিপরীতে শহিদুল ইসলাম ইসলাম ভুঁইয়া একেবারেই নতুন প্রার্থী। কিছুটা নড়বড়ে অবস্থানে আছেন তিনি। এ কারণে আমরা প্রেডিক্ট করছি এই আসনে নৌকা জয় পাবে।
বান্দরবান
বান্দরবানে নৌকার বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এর বিরুদ্ধে লড়ছেন ধানের শীষের সা চিং প্রু। বীর বাহাদুর উ শৈ সিং ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনের সাংসদ। অন্যদিকে সা চিং প্রু দুইবার এখান থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন। তবে এবার হাওয়া উল্টো দিকে বইবে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ধানের শীষের সা চিং প্রু এবার শক্ত অবস্থানে আছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এখানে এবার ধানের শীষ জয় পাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।