নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে এবং দলের সিনিয়র নেতাদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে তিনি দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে ফোন করেছেন। এসময় তিনি তার কোন অপরাধ থাকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং দলের এই দুঃসময়ে দলের জন্য সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গতকাল রাতে মির্জা ফখরুল ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে টেলিফোন করেন। টেলিফোনে তিনি বলেন যে, নির্বাচনের সময় তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। সেসময় তিনি অনেক ঝামেলার মধ্যে থাকার কারণে হয়তো অনেকের ফোন ধরতে পারেননি। তবে এটা তার ইচ্ছাকৃত ছিল না। এসময় ফখরুল বলেন, যে এজন্য যদি তিনি (মওদুদ) দুঃখ বা মনোঃকষ্ট পান তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সঙ্গে তিনি মওদুদকে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসে দলের সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। ফখরুল ফোন করেন বিএনপির আরেক সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেও। তাকেও একই রকম অনুরোধ করেন ফখরুল।
জানা গেছে যে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনীহার কারণে এবং মির্জা ফখরুল ইসলামের একনায়কতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে দলের সিনিয়র নেতারা গত কিছুদিন ধরেই দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না। এমনকি তাদের অনিচ্ছার কারণে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকও ডাকা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে দলের কার্যক্রম। এই স্থবিরতা কাটাতেই পদক্ষেপ নিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।