নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯
দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আশংকাজনক অবস্থায় উন্নততর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় চিকিৎসকেরা তার আশা ছেড়ে দেয়ার সংবাদ প্রকাশের পরপরই জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মুষড়ে পড়েন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির সিএমএইচ হাসপাতালের বেডে বসা অবস্থায় একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর নেতা-কর্মীরা নিশ্চিত হন তাদের প্রিয় নেতা হয়তো তাদের মাঝ থেকে যে কোন সময় বিদায় নেবেন। এরশাদের সহোদর জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবণতির বিষয়টি স্বীকার করেন।
রোববার জাতীয় পার্টির কাকরাইলস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনেকটা শোকের আবহ লক্ষ্য করা গেছে। সবার একই কথা অভিভাবকশূন্য হতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘদিনের অফিস সহকারী ফরহাদ মিয়া বলেন, স্যার (এরশাদ) না থাকা মানেই জাতীয় পার্টির সবাই এতিম। স্যারের মত ভালবাসার মানুষ জাতীয় পার্টিতে দ্বিতীয়টা নেই। তার মতে, স্যার (এরশাদ) যেভাবে সবার খোঁজ-খবর রাখতেন অন্য কোন নেতা তা কখনোই রাখতেন না এমনকি ভবিষ্যতেও রাখবেন না। জাপা চেয়ারম্যানের এমন অবস্থায় অনেকেই ভেঙে পড়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেন, আমাদের নেতা এরশাদ। তাকে ঘিরেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। স্যারের অবর্তমানে পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি চিন্তাগ্রস্ত। মীর আব্দুস সবুর আসুদ সাবেক রাষ্ট্রপতির আরোগ্য কামনা করেন।
ক্রন্দনরত অবস্থায় জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু বলেন, স্যার (এরশাদ) না থাকলে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়বো। সন্তানদের ভালবাসার পিতা হারিয়ে গেলে সে সন্তান অনাদরেই বড় হবে। জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ প্রশ্নে এমন অভিব্যক্তি অনেকেরই। নেতা-কর্মীদের মতে, স্যারকে যে অবস্থায় সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে আদৌও তিনি সুস্থভাবে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সবাই সন্দিহান।
জাপা চেয়ারম্যান আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এরশাদের সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং হুসেইন মোর্শেদের সহধর্মিনী রুখসানা খান মোর্শেদ।
এদিকে, জাপার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের অবর্তমানে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশ থাকাকালীন পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।