নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার কমতি নেই। কিন্তু বিপত্তি অন্যখাানে। নির্বাচনের মাঠে তিনজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের মাঝে মাত্র একজনের উপস্থিতি নজর কাড়ার মতো। বাকি দুজনের মাঠে কোন প্রচার-প্রচারণা নেই বললেই চলে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিনই তিনি কর্মী সভা করে ভোটারদের দরজায়-দরজায় কড়া নাড়ছেন। অপরদিকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী শাফিন আহমেদ এখনো মাঠে সরব হননি। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও নেই কোন সরব প্রচারণা। এ বিষয়ে শাফিন আহমেদ বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, তিনি মাঠে আছেন এবং ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও প্রচার-প্রচারণা তেমন নেই বললেই চলে।
তবে এসব কিছুকে ছাপিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রতিটি ওর্য়াডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির ভাণ্ডার নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভোটারদের বাড়িতে-বাড়িতে। ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,আওয়ামী লীগ থেকেই একাধিক প্রার্থী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। সেক্ষেত্রে মাঠে কাউন্সিলরদের প্রচার-প্রচারণাই সবচেয়ে বেশি জমজমাট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম সাবেক মেয়র মরহুম আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও আন্তরিকভাবে আতিকুল ইসলামের জন্য কাজ করছে। এতোকিছুর পরও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এদিকে, জাতীয় পার্টি থেকে সঙ্গীতশিল্পী শাফিন আহমেদকে মনোনয়ন দেয়া হলেও উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের। মাঠের নেতা-কর্মীরাও খুব বেশি উৎসাহী নয় নির্বাচন নিয়ে। তবে শাফিন আহমেদ নিজের ভক্ত-অনুসারী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীনিয়ে মাঠে অল্প বিস্তর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।